ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০ জন পড়েছেন

ভারতের হায়দরাবাদে পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তার সাহসী পদক্ষেপে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের তিন সদস্য। গত ৮ আগস্ট বান্দলাগুদা থানায় ওই তরুণীর অভিযোগ দায়েরের পর এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশি ওই তরুণী জনিয়েছেন, ছয় মাস আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়। প্রথমে সীমান্ত পেরিয়ে নৌকায় কলকাতায় আনা হয়, পরে ট্রেনে তুলে পাঠানো হয় হায়দরাবাদে। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।

তিনি জানান, তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাজেরা বেগম, শাহনাজ ফাতিমা ও সমীর নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া মেহদিপট্টনম এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আরও তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই—এই অজুহাতে তাদের ভয় দেখাত। সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি তরুণী পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়ে চক্রটির আসল চেহারা সামনে আনেন। বর্তমানে উদ্ধারকৃত সকলকেই রেসকিউ হোমে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় রূপা ও সরোয়ার নামে পাচারচক্রের আরও দুই সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এই চক্রের শিকড় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে টেনে আনা এবং পরে জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় ঠেলে দেওয়া—এটাই তাদের নকশা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের হায়দরাবাদে পাচার হওয়া এক বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তার সাহসী পদক্ষেপে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের তিন সদস্য। গত ৮ আগস্ট বান্দলাগুদা থানায় ওই তরুণীর অভিযোগ দায়েরের পর এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশি ওই তরুণী জনিয়েছেন, ছয় মাস আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়। প্রথমে সীমান্ত পেরিয়ে নৌকায় কলকাতায় আনা হয়, পরে ট্রেনে তুলে পাঠানো হয় হায়দরাবাদে। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।

তিনি জানান, তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাজেরা বেগম, শাহনাজ ফাতিমা ও সমীর নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া মেহদিপট্টনম এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আরও তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই—এই অজুহাতে তাদের ভয় দেখাত। সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি তরুণী পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়ে চক্রটির আসল চেহারা সামনে আনেন। বর্তমানে উদ্ধারকৃত সকলকেই রেসকিউ হোমে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় রূপা ও সরোয়ার নামে পাচারচক্রের আরও দুই সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এই চক্রের শিকড় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে টেনে আনা এবং পরে জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় ঠেলে দেওয়া—এটাই তাদের নকশা।