প্রসেনজিতের কোন কথায় চোখে পানি এলো চঞ্চলের
প্রসেনজিতের কোন কথায় চোখে পানি এলো চঞ্চলের

- আপডেট সময় : ০৫:১২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪ জন পড়েছেন
যতই সমস্যা থাকুক দুই বাংলার মধ্যে শিল্পীদের মিলিয়ে দেয় বারবার শিল্প। দুই বাংলার শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ঢালিউড অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি এখন টালিউডেও কাজ করে চলেছেন সমান তালে। সেই আলোচিত সিনেমা ‘মনের মানুষ’-এ জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন।
এবার সহকর্মী তথা বন্ধু চঞ্চল চৌধুরীর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎ এমন কী বললেন, যা শুনে চোখে পানি এলো অভিনেতার? তবে শুধু প্রসেনজিৎ নন, চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল অভিনেত্রী জয়া আহসানকেও।
সম্প্রতি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। সেই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ওপারে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও জয়া আহসান। চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যে কথা বললেন এ তারকাদ্বয়।
প্রসেনজিৎ বলেন, আজ যে মানুষটিকে নিয়ে আমি কথা বলব, সেই মানুষটি আমার খুব মনের মানুষ, কাছের মানুষ। ওর অভিনয় নিয়ে আলোচনা করার যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। আমি ওর প্রায় সব কাজ দেখে থাকলেও আমাদের প্রথম আলাপ হয় ‘মনের মানুষ’ সিনেমায়।
তিনি বলেন, ওর সঙ্গে কাজ করার আগে, আমি ওর একটি সিনেমা দেখেছিলাম ‘মনপুরা’। সেই সিনেমায় ওর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পরে যখন শুনেছিলাম, আমরা একসঙ্গে ‘মনের মানুষ’ করব, ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। মনের মানুষ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার পর আমরা ভীষণ ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছি, মাসে একবার হলেও ওর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয় বলে জানান এ অভিনেতা।
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ের প্রশংসা করে প্রসেনজিৎ বলেন, আমি যেমন ওকে ভালোবাসি তার থেকেও বেশি ওকে শ্রদ্ধা করি। ওর ‘পদাতিক’ সিনেমা দেখে আমি এতটাই আপ্লুত হয়েছিলাম যে, আমার বলতে বাধা নেই— ও যদি আমার থেকে ছোট না হতো, তাহলে হয়তো ওর পায়ে হাত দিয়ে আমি প্রণাম করতাম।
তিনি বলেন, মৃণাল জেঠুর চরিত্রে অভিনয় করা এতটা সোজা কাজ ছিল না, যেটা ও করে দেখিয়েছে। বন্ধু তথা সহকর্মীর মুখে এ কথা শুনে চোখে পানি আসে চঞ্চল চৌধুরীর।
প্রসেনজিৎ শুধু নন, চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন জয়া আহসানও। অভিনেত্রী বলেন, চঞ্চল চৌধুরী শুধু একজন আর্টিস্ট বা অভিনেতা নন, তিনি একজন ইনস্টিটিউট। তিনি যেভাবে নিজের কাজের প্রতি ডেডিকেশন রাখেন, সেটি সত্যি শেখার বিষয়। কিছু বছর বা কিছু দিন অভিনয় করে যে অভিনেতারা নিজেদের বড় বলে মনে করেন, চঞ্চল চৌধুরী তাদের কেউ নন।
জয়া আহসান বলেন, একজন সহকর্মী হিসাবে আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। একজন মানুষ হিসেবে শিখেছি যে, একজন এত বড় অভিনেতা হওয়ার পরও কীভাবে নিজেকে ধরে রাখতে হয়। আমি সৌভাগ্যবতী ওর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পেরেছি আমি।
প্রসেনজিৎ ও জয়ার কথা শুনে আপ্লুত চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। এত বড়মাপের দুই মানুষ আমাকে নিয়ে যা বললেন, তা শুনে আমি বাকরুদ্ধ। আমি অভিনয় করি, এটা আমার পেশা এবং নেশা— দুটোই। কিন্তু এতটা সম্মান বুম্বাদার থেকে পাব, ভাবিনি। জয়ার সঙ্গেও আমি কাজ করেছি, হয়তো বেশি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করা হয়নি, কিন্তু ওর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। দুই বাংলায় যেভাবে ও একসঙ্গে কাজ করছে, তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।