ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
না.গঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তর নিয়ে যা বললেন রাজিব-সজল-সাহেদসহ কর্মকর্তারা শহরজুড়ে সাটানো আজমেরী ওসমানের পোস্টার ছিড়ে ফেললেন ছাত্রনেতা আরাফাত ফতুল্লায় র‍্যাবে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান, ৪ লাখ টাকা জরিমানা ফতুল্লায় ভোক্তাঅধিদপ্তরের অভিযান, ২ ফার্মেসিকে জরিমানা দাবারু মুনতাহার পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিসুল হক রূপগঞ্জে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে উধাও সমবায় সমিতির কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জে সুইচগিয়ারসহ আটক ২ মুসলিমনগরের বেকারী ব্যবসায়ী মনির হোসেন প্রতারনায় দায়ে গ্রেফতার এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সরকারের বিষয় নয়, প্রস্তুতি দরকার এখনই
দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী চান না ৮৯ শতাংশ মানুষ

দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী চান না ৮৯ শতাংশ মানুষ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না- এমন বিধানের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশের ৮৯ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আসন বণ্টন চান ৭১ শতাংশ মানুষ।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের জন্য জনমত যাচাইয়ের ফলাফল প্রকাশ করে। মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৪০টি প্রশ্নে সারা দেশের ১,৩৭৩ জনের মতামত এবং ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে জরিপটি করা হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদনেতা হতে পারবেন না—এমন প্রস্তাব সমর্থন করেছেন ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা। নিম্নকক্ষে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নারী আসন সংরক্ষণের পক্ষে রয়েছেন ৬৩ শতাংশ এবং উচ্চকক্ষে নারীদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের পক্ষে রয়েছেন ৬৯ শতাংশ মানুষ।

বিরোধী দল থেকে নিম্নকক্ষে একজন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা, আর উচ্চকক্ষে এ পদে বিরোধী দলের মনোনয়ন চান ৮২ শতাংশ। নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগের এমন কার্যক্রম, যা ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে, তা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন ৮৭ শতাংশ মানুষ।

জরিপে অংশ নেওয়া ৮৬ শতাংশ মানুষ নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেট প্রকাশের পক্ষে মত দিয়েছেন। ৮৮ শতাংশ নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণ ও অসত্য তথ্য দিলে প্রার্থিতা বা ফলাফল বাতিল করার পক্ষে। সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্তদের দলীয় সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জরিপের তথ্য প্রমাণ করে—জনগণ সংস্কারের পক্ষে। বিদ্যমান পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এসবের আমূল পরিবর্তন জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী চান না ৮৯ শতাংশ মানুষ

দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী চান না ৮৯ শতাংশ মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:১৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না- এমন বিধানের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশের ৮৯ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আসন বণ্টন চান ৭১ শতাংশ মানুষ।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের জন্য জনমত যাচাইয়ের ফলাফল প্রকাশ করে। মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৪০টি প্রশ্নে সারা দেশের ১,৩৭৩ জনের মতামত এবং ১৫টি নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে জরিপটি করা হয়।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদনেতা হতে পারবেন না—এমন প্রস্তাব সমর্থন করেছেন ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা। নিম্নকক্ষে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নারী আসন সংরক্ষণের পক্ষে রয়েছেন ৬৩ শতাংশ এবং উচ্চকক্ষে নারীদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের পক্ষে রয়েছেন ৬৯ শতাংশ মানুষ।

বিরোধী দল থেকে নিম্নকক্ষে একজন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা, আর উচ্চকক্ষে এ পদে বিরোধী দলের মনোনয়ন চান ৮২ শতাংশ। নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগের এমন কার্যক্রম, যা ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে, তা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন ৮৭ শতাংশ মানুষ।

জরিপে অংশ নেওয়া ৮৬ শতাংশ মানুষ নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেট প্রকাশের পক্ষে মত দিয়েছেন। ৮৮ শতাংশ নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণ ও অসত্য তথ্য দিলে প্রার্থিতা বা ফলাফল বাতিল করার পক্ষে। সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্তদের দলীয় সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জরিপের তথ্য প্রমাণ করে—জনগণ সংস্কারের পক্ষে। বিদ্যমান পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এসবের আমূল পরিবর্তন জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।