ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আওয়ামী ক্যাডার পলাশ ও মুক্তার বেপরোয়া

আওয়ামী ক্যাডার পলাশ ও মুক্তার বেপরোয়া

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / ৭ জন পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের শেল্টারে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী পলাশ ও তার বোন জামাই মুক্তার। বর্তমানে এলাকায় এরা ইকবালের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আলোচিত হয়ে উঠেছে। পলাশ, মুক্তার তাদের বাহিনীর অত্যাচারে ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক ব্যবসা ও মারামারিসহ এমন কোন কাজ নেই যা তারা না করে থাকে।
মিতালি মাকের্ট, সাহেবপাড়া, রহিম মাকের্ট, কান্দাপাড়া, মৌচাক বাস ষ্ট্যান্ড, সালুহাজী রোড, চৌধরীপাড়া, মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, আব্দুল আলীর পুল, হাজেরা মাকের্ট, বসুহাজী মাকের্ট, আমজাদ মাকের্ট ও জালকুড়ি বিল (দশপাই) সহ আশ-পাশ এলাকার সাধারণ মানুষ তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ বাহিনীর আতংকে দিনযাপন করতে হয় স্থানীয়দের। এদের অত্যাচারের ভয়ে কেউই মূখ খুলতে সাহস পায়না। এমনকি নিরাপত্তা সংকটে থানা পুলিশের সহায়তায় নিতে পারছেনা।
ভুক্তভোগীরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের ছিল মধুর সর্ম্পক। তারা দুজই আওয়ামী নির্বাচনের সময় গলায় নৌকার মাফলার লাগিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে তারা দুজন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে মিশে আবার বিএনপির নেতা হয়ে গেছে।
গত ৫ জুলাই আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে নাসিক ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক ব্যবসা ও মারামারিসহ এমন কোন কাজ নেই যা তারা করেনি। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে পারেনা। বলতে গেলে তাদেরকে আওয়ামী টেক দিয়ে মারধরকরে হাসপাতালে বা থানা পুলিশের হাতে দেওয়া হয়।
গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। সাহেবপাড়া এলাকায় জামাই মোক্তারের নেতৃত্বে রয়েছ আসাদুল, সোহেল, চটপটি নাজমূল, মাচ্ছা জাহিদসহ ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। পলাশ, জসিম ও সাইফুলের নেতৃতে রয়েছে প্রায় এক থেকে দেড়শ জনের একটি বিশাল সন্ত্রাসী দল এদের মধ্যে রয়েছে একটি কিশোরগ্যং গ্রুপ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত এদের লাগাম টেনে না ধরলে পুরো এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এদের রুখতে আইনশৃংখলাবাহিনীসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আওয়ামী ক্যাডার পলাশ ও মুক্তার বেপরোয়া

আওয়ামী ক্যাডার পলাশ ও মুক্তার বেপরোয়া

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের শেল্টারে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী পলাশ ও তার বোন জামাই মুক্তার। বর্তমানে এলাকায় এরা ইকবালের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আলোচিত হয়ে উঠেছে। পলাশ, মুক্তার তাদের বাহিনীর অত্যাচারে ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক ব্যবসা ও মারামারিসহ এমন কোন কাজ নেই যা তারা না করে থাকে।
মিতালি মাকের্ট, সাহেবপাড়া, রহিম মাকের্ট, কান্দাপাড়া, মৌচাক বাস ষ্ট্যান্ড, সালুহাজী রোড, চৌধরীপাড়া, মিজমিজি দক্ষিনপাড়া, আব্দুল আলীর পুল, হাজেরা মাকের্ট, বসুহাজী মাকের্ট, আমজাদ মাকের্ট ও জালকুড়ি বিল (দশপাই) সহ আশ-পাশ এলাকার সাধারণ মানুষ তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ বাহিনীর আতংকে দিনযাপন করতে হয় স্থানীয়দের। এদের অত্যাচারের ভয়ে কেউই মূখ খুলতে সাহস পায়না। এমনকি নিরাপত্তা সংকটে থানা পুলিশের সহায়তায় নিতে পারছেনা।
ভুক্তভোগীরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের ছিল মধুর সর্ম্পক। তারা দুজই আওয়ামী নির্বাচনের সময় গলায় নৌকার মাফলার লাগিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে তারা দুজন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের সাথে মিশে আবার বিএনপির নেতা হয়ে গেছে।
গত ৫ জুলাই আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে নাসিক ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় চাঁদাবাজি, জমিদখল, মাদক ব্যবসা ও মারামারিসহ এমন কোন কাজ নেই যা তারা করেনি। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে পারেনা। বলতে গেলে তাদেরকে আওয়ামী টেক দিয়ে মারধরকরে হাসপাতালে বা থানা পুলিশের হাতে দেওয়া হয়।
গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। সাহেবপাড়া এলাকায় জামাই মোক্তারের নেতৃত্বে রয়েছ আসাদুল, সোহেল, চটপটি নাজমূল, মাচ্ছা জাহিদসহ ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। পলাশ, জসিম ও সাইফুলের নেতৃতে রয়েছে প্রায় এক থেকে দেড়শ জনের একটি বিশাল সন্ত্রাসী দল এদের মধ্যে রয়েছে একটি কিশোরগ্যং গ্রুপ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত এদের লাগাম টেনে না ধরলে পুরো এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এদের রুখতে আইনশৃংখলাবাহিনীসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।