ইসরাইল আক্রমণ করলে আরও ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ইরানের
ইসরাইল আক্রমণ করলে আরও ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ইরানের

- আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / ১ জন পড়েছেন
ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরাইল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তাহলে তারা আরও শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো সম্ভাব্য ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি ডিফাপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আল-কুদস দখলদার শাসন যদি কোনো ধরনের আগ্রাসন চালায়, আমাদের জবাব হবে আরও বেশি শক্তিশালী, তীব্র, কার্যকর এবং এমন ফল বয়ে আনবে যা তাদের গভীর অনুশোচনায় ফেলবে।’
বিশ্বের বিশ্লেষকদের মতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে শেকারচি বলেন, ‘আমরা বারো দিনের যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি এবং জায়নবাদী শাসনের উপর কঠোর আঘাত হেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাল্টা হামলার মাধ্যমে আমরা এই অপরাধী শাসনকে তাদের আগ্রাসন বন্ধে বাধ্য করেছি।’
শেকারচি বলেন, ‘জায়নবাদী শাসন যদি আবার কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা শক্তিশালী প্রতিশোধের মুখোমুখি হবে।’
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি মোহাম্মদ নাঈনি শুক্রবার বলেন, ইসরাইল যদি ইরানের বিরুদ্ধে আবার কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইরান আর কোনো সীমারেখা মানবে না।
১৩ জুন ইসরাইল কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের উপর আক্রমণ চালায়। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিহত হন।
ইসরাইলি হামলায় ইরানের সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনা, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেবা কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা এবং গ্রামীণ জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অসংখ্য বেসামরিক মানুষ হতাহত হন। এই হামলায় নয় শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়।
এর প্রতিশোধে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে একটি পাল্টা অভিযান পরিচালনা করে। এই হামলায় ইরান প্রথমবারের মতো তাদের নতুন প্রজন্মের দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
শত শত ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সামরিক, গোয়েন্দা, শিল্প, জ্বালানি এবং গবেষণা স্থাপনায় আঘাত হানে।
২৪ জুন ইসরাইল একতরফাভাবে তাদের হামলা বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে জানানো হয়।