দোকান ভাঙলেন জামায়াত নেতা, পেটালো বিএনপি কর্মীরা!
দোকান ভাঙলেন জামায়াত নেতা, পেটালো বিএনপি কর্মীরা!

- আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / ৩ জন পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় এটেল মাটি রেস্টুরেন্ট নিয়ে মালিকানা বিরোধের জেরে সোমবার সকালে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। জামায়াত নেতা সাঈদ সারোয়ার নিজে একটি বুলডোজার এনে দোকান ভাঙতে গেলে বিএনপির কর্মীরা তাকে বাধা দেয় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এটেল মাটি রেস্টুরেন্টটি চাষাঢ়া পৌর মার্কেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জমজমাট দোকান হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দোকানটির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। একপক্ষে রয়েছেন জামায়াত নেতা সাঈদ সারোয়ার, যিনি দাবি করছেন তিনি দোকানটির আসল মালিক এবং বৈধভাবে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়েছেন। অন্যদিকে রয়েছেন আশিকুর রহমান, যিনি নিজেকে দোকানটির বৈধ লিজ গ্রহীতা হিসেবে দাবি করছেন। আশিকুর রহমান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানাযায়।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে জামায়াত নেতা সাঈদ সারোয়ার নিজেই একটি বুলডোজার নিয়ে এসে এটেল মাটি রেস্টুরেন্টটি ভাঙতে শুরু করেন। তার সঙ্গে কয়েকজন লোক ছিল যারা পুরোনো স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের দোকানদার ও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে হতবাক হয়ে যান।
ভাঙচুরের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন। তিনি জামায়াত নেতা সাঈদকে প্রশ্ন করেন, আপনি কীভাবে দোকান নিজে ভেঙে দেন? আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে? সাঈদ উত্তর দেন, “আমার কাছে এই দোকানের মালিকের দেওয়া পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি রয়েছে। আমি নতুন করে ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুরাতন স্থাপনাটি সরাচ্ছি।
এমন সময় হঠাৎ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির একদল কর্মী এসে সাঈদ ও তার লোকজনকে ঘিরে ফেলে। শুরু হয় কথাকাটাকাটি, যা দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আশিকুরের অনুসারীরা সাঈদকে মারধর করে এবং ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পোঁছান মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা।
হামলা ও দোকান ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত নেতা সাঈদ সারোয়ার বলেন, আমার কাছে এই দোকানের মালিকের দেওয়া পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি রয়েছে। আমি নতুন করে ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুরাতন স্থাপনাটি সরাচ্ছি। এর মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা ঘটনাস্থলে আসলে তাঁর উপস্থিতে আমরা উপর হামলা করেন তারা কর্মীরা।
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা এই বিষয়ে বলেন, আমি ওইখানে গিয়ে কাউকে মেরেছি এমন কোন প্রমাণ নেই আমার জানামতে। তবে ঐ দোকানটি আমরা নাসিক থেকে লিজ নিয়েছি তাই আমাদের দোকান ভাঙ্গার কারণ আনতে আমরা সেখানে গিয়েছি। কিন্তু সাঈদ সাবেব উনি উনার জায়গা বলে দাবি করেছেন ঠিক আছে যদি এটা উনার জায়গা হয় তাহলে উনি গিয়ে নাসিকের সাথে যোগাযোগ করুক আমরাতো নাসিকের থেকে লিজ নিয়েছি আমরাতো তাকে চিনিনা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) নাসির হোসেন জানায়, এই ঘটনায় জুলহাস নামে একজন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।