ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

নাসিকের উদাসীনতায় নারায়ণগঞ্জ শরহে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

 সাব্বির হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ৫০ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। ঘরে ও বাইরে কিংবা কর্মস্থলে কোথাও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। আর তাই সামনে বর্ষাকালকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গুর আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নগরবাসী চিন্তিত থাকলেও এতে তেমন মাথাব্যথা নেই নাসিকের।

সম্প্রতি শহরের কালিবাজার এলাকায় শায়েস্তাখান সড়কে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে সড়কের নির্মাণ কাজ। তবে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে ডেঙ্গুর বাসস্থান। নির্মাণ কাজের পাশাপাশি নাসিকের সড়কে জমে থাকা ময়লা পানি পরিস্কারের কথা থাকলেও  তাঁদের উদাসীনতায় এই জমে থাকা ময়লা পানি থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ।

নাসিকের এমন উদাসীনতা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বইছে ব্যাপক সমালোচনা। শুধু বসতঘর বাড়ি অফিস-আদালত নয় মশার উপদ্রব থেকে চলতি পথেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে ডেঙ্গুর উপদ্রব শুরু হলে সেটি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে শহরে বৃদ্ধি পাওয়া মশার উপদ্রবের পরও নাসিকের কোনো ব্যবস্থা না থাকার পাশাপাশি সামনের বৃষ্টির দিনকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গুর আগাম কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কালিবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, এই সড়কের জন্য একেতো আমাদের ব্যবসার ক্ষতি এর সাথে এইখানে জমে থাকা নোংরা পানির জন্য ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি বেড়ে যাওয়ায় এখন আরও অতিষ্ঠ। মশার কামড়ে ঠিকভাবে দোকানে বসতেও পারিনা।

নগরীর আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শুভ মন্ডল বলেন, মশার যন্ত্রনায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনে কিংবা রাতে মশার জন্য কোথাও বসতে কিংবা শুতে পারছি না। ঘরে-বাইরে মশার ব্যাপক বিস্তর ঘটেছে। দ্রুত এ মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামনে নাসিককে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।

নাসিকের নগর পরিকল্পনাবীদ মঈনুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের  চেষ্টা করবো।

নাসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা মেডিক্যাল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী বলেন,নারায়ণগঞ্জের ডেঙ্গু বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় আছি, কাজ চলছে। বর্ষা আসার আগে আমরা দ্রুত ডেঙ্গু নিধনের ব্যবস্থা করবো।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাসিকের উদাসীনতায় নারায়ণগঞ্জ শরহে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। ঘরে ও বাইরে কিংবা কর্মস্থলে কোথাও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। আর তাই সামনে বর্ষাকালকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গুর আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নগরবাসী চিন্তিত থাকলেও এতে তেমন মাথাব্যথা নেই নাসিকের।

সম্প্রতি শহরের কালিবাজার এলাকায় শায়েস্তাখান সড়কে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে সড়কের নির্মাণ কাজ। তবে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে ডেঙ্গুর বাসস্থান। নির্মাণ কাজের পাশাপাশি নাসিকের সড়কে জমে থাকা ময়লা পানি পরিস্কারের কথা থাকলেও  তাঁদের উদাসীনতায় এই জমে থাকা ময়লা পানি থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ।

নাসিকের এমন উদাসীনতা নিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বইছে ব্যাপক সমালোচনা। শুধু বসতঘর বাড়ি অফিস-আদালত নয় মশার উপদ্রব থেকে চলতি পথেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে ডেঙ্গুর উপদ্রব শুরু হলে সেটি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে শহরে বৃদ্ধি পাওয়া মশার উপদ্রবের পরও নাসিকের কোনো ব্যবস্থা না থাকার পাশাপাশি সামনের বৃষ্টির দিনকে কেন্দ্র করে ডেঙ্গুর আগাম কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কালিবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, এই সড়কের জন্য একেতো আমাদের ব্যবসার ক্ষতি এর সাথে এইখানে জমে থাকা নোংরা পানির জন্য ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি বেড়ে যাওয়ায় এখন আরও অতিষ্ঠ। মশার কামড়ে ঠিকভাবে দোকানে বসতেও পারিনা।

নগরীর আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শুভ মন্ডল বলেন, মশার যন্ত্রনায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনে কিংবা রাতে মশার জন্য কোথাও বসতে কিংবা শুতে পারছি না। ঘরে-বাইরে মশার ব্যাপক বিস্তর ঘটেছে। দ্রুত এ মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামনে নাসিককে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।

নাসিকের নগর পরিকল্পনাবীদ মঈনুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের  চেষ্টা করবো।

নাসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা মেডিক্যাল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী বলেন,নারায়ণগঞ্জের ডেঙ্গু বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় আছি, কাজ চলছে। বর্ষা আসার আগে আমরা দ্রুত ডেঙ্গু নিধনের ব্যবস্থা করবো।