ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার জন্মদিনে নাসিক ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির দোয়া মাহফিল অবশেষে নতুন নামফলক স্থাপন সিদ্ধিরগঞ্জে ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ফতুল্লার উন্নয়ন না করলে তাঁদের অবস্থাও হবে শামীম ওসমানের থেকেও খারাপ:  জীবন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তন জন্মর্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি’র দোয়া  খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মাসুদুজ্জামানের উদ্যোগে শতাধিক মসজিদে দোয়া প্রসেনজিতের কোন কথায় চোখে পানি এলো চঞ্চলের অনন্ত সিংয়ের জীবনী নিয়ে সিনেমা করছেন জিৎ শ্বশুরবাড়িতে আরেকটা বিশ্বকাপ জিততে নতুন ভূমিকায় ম্যাক্সওয়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র চুক্তি নিয়ে নতুন সুর পুতিনের

অবশেষে নতুন নামফলক স্থাপন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ১০:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্ক’-এ নতুন নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। এর পূর্ববর্তী নাম ছিল ‘শেখ রাসেল নগর পার্ক’।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নগরীর বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দল থেকে পার্কের নাম পরিবর্তনের দাবি ওঠে। সে সময় পার্কের বাবুরাইল প্রান্তে থাকা শেখ রাসেলের ম্যুরালে কালো রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয় এবং তা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। একইভাবে ডিআইটি অংশে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে থাকা ম্যুরালেও কালো রঙ মাখানো হয়।

এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. নূর কুতুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে প্রশাসনিক আদেশ বা স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সে প্রেক্ষিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি নাসিকের স্থানীয় সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির ৫ম সাধারণ সভায় ‘শেখ রাসেল নগর পার্ক’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্ক’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা কার্যকর হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে। এরপর নতুন নামফলক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগরীর দেওভোগ এলাকায় প্রায় ১৮ একর জায়গায় শেখ রাসেলের নামে এ পার্ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পার্ক নির্মাণের আগে এটি ছিল একটি পরিত্যক্ত ডোবা, মাদক কেনাবেচার আস্তানা।

২০১০ সালে রাজউক এটিকে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ডিএপি) অনুসারে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে তৎকালীন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জিমখানা লেক খনন, সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ নির্মাণকাজ শেষে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অবশেষে নতুন নামফলক স্থাপন

আপডেট সময় : ১০:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্ক’-এ নতুন নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। এর পূর্ববর্তী নাম ছিল ‘শেখ রাসেল নগর পার্ক’।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নগরীর বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দল থেকে পার্কের নাম পরিবর্তনের দাবি ওঠে। সে সময় পার্কের বাবুরাইল প্রান্তে থাকা শেখ রাসেলের ম্যুরালে কালো রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয় এবং তা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। একইভাবে ডিআইটি অংশে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে থাকা ম্যুরালেও কালো রঙ মাখানো হয়।

এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব (উপসচিব) মো. নূর কুতুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে প্রশাসনিক আদেশ বা স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সে প্রেক্ষিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি নাসিকের স্থানীয় সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির ৫ম সাধারণ সভায় ‘শেখ রাসেল নগর পার্ক’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি পার্ক’ নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা কার্যকর হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে। এরপর নতুন নামফলক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগরীর দেওভোগ এলাকায় প্রায় ১৮ একর জায়গায় শেখ রাসেলের নামে এ পার্ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পার্ক নির্মাণের আগে এটি ছিল একটি পরিত্যক্ত ডোবা, মাদক কেনাবেচার আস্তানা।

২০১০ সালে রাজউক এটিকে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ডিএপি) অনুসারে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে তৎকালীন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জিমখানা লেক খনন, সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ নির্মাণকাজ শেষে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।