ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৭ জন পড়েছেন

ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ্গি দল বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করেছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর শতাধিক মানুষ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ব্যারিকেড ভাঙার কারণে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, তবে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে। হাইকমিশনের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং পুলিশের পাশাপাশি প্যারামিলিটারি বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভের মূল কারণ হিসেবে ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামের এক যুবকের হত্যাকাণ্ডকে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবারও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফিরে যান।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বরও প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়েছিল। সেসময় ভারতের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বাংলাদেশের সরকারের উদ্বেগ জানানো হয় এবং কিছু হামলাকারীর ভারতে পালানোর বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ্গি দল বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করেছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর শতাধিক মানুষ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ব্যারিকেড ভাঙার কারণে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, তবে নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে। হাইকমিশনের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং পুলিশের পাশাপাশি প্যারামিলিটারি বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভের মূল কারণ হিসেবে ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামের এক যুবকের হত্যাকাণ্ডকে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবারও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফিরে যান।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বরও প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়েছিল। সেসময় ভারতের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বাংলাদেশের সরকারের উদ্বেগ জানানো হয় এবং কিছু হামলাকারীর ভারতে পালানোর বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।