ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, নইলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২ জন পড়েছেন

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখার নির্দেশনা দিয়ে ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের এলাকাছাড়া করতে হবে। তাদের দৌড়ের ওপর রাখতে হবে। তা না হলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান হাদির রুহের শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, শিগগিরই জয়েন্ট অপারেশন (যৌথ অভিযান) পরিচালিত হবে। জয়েন্ট অপারেশনের কয়েকটা অবজেক্টিভ থাকবে। তার মধ্যে প্রথমত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে ইসি বলেন, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে শান্তি এবং নিরাপত্তার আবহ তৈরি করতে হবে। ডেপ্লয়মেন্টের ডিউরেশনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রিক ডেপ্লয়মেন্ট হয় পাঁচদিন। এর সঙ্গে বাজেটের ইমপ্লিকেশনস আছে। আমরা চেষ্টা করছি পাঁচদিনকে বাড়িয়ে ছয়দিন করা যায় কিনা। তাতে আপনাদের হয়ত ফ্লেক্সিবিলিটি একটু বাড়বে।

চেকপোস্ট বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেকপয়েন্ট অপারেশন সারাদেশে করতে হবে। কিছু হবে মোবাইল চেকপয়েন্ট এবং সব বাহিনীকে এটা সমন্বয় করতে হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি আছে। এই কমিটিগুলো কাজ করবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য একটা সেল থাকতে হবে। নির্বাচন ঘিরে সেই সেলগুলোকে আপনারা অ্যাকটিভ করবেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যেখানে সব বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবে সেখানে আমরা থ্রি সি কমান্ড কন্ট্রোল কো-অর্ডিনেশন করতে বলেছি। কমান্ড থাকবে স্ব স্ব বাহিনীর হাতে। কেউ কারো কমান্ড নিয়ে নেবে না। তবে কো-অর্ডিনেশনটা সেলের মাধ্যমে হবে, যেন কোথাও ডুপ্লিকেশন অফ এফোর্ট না হয়।

তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকার মানুষ কিন্তু জানে, কারা ক্রিমিনাল কারা দুষ্ট লোক। এখন বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু ভোটমুখী। মানুষ চায় না খারাপ কিছু হোক।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, নইলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখার নির্দেশনা দিয়ে ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের এলাকাছাড়া করতে হবে। তাদের দৌড়ের ওপর রাখতে হবে। তা না হলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান হাদির রুহের শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, শিগগিরই জয়েন্ট অপারেশন (যৌথ অভিযান) পরিচালিত হবে। জয়েন্ট অপারেশনের কয়েকটা অবজেক্টিভ থাকবে। তার মধ্যে প্রথমত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে ইসি বলেন, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে শান্তি এবং নিরাপত্তার আবহ তৈরি করতে হবে। ডেপ্লয়মেন্টের ডিউরেশনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রিক ডেপ্লয়মেন্ট হয় পাঁচদিন। এর সঙ্গে বাজেটের ইমপ্লিকেশনস আছে। আমরা চেষ্টা করছি পাঁচদিনকে বাড়িয়ে ছয়দিন করা যায় কিনা। তাতে আপনাদের হয়ত ফ্লেক্সিবিলিটি একটু বাড়বে।

চেকপোস্ট বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেকপয়েন্ট অপারেশন সারাদেশে করতে হবে। কিছু হবে মোবাইল চেকপয়েন্ট এবং সব বাহিনীকে এটা সমন্বয় করতে হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি আছে। এই কমিটিগুলো কাজ করবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য একটা সেল থাকতে হবে। নির্বাচন ঘিরে সেই সেলগুলোকে আপনারা অ্যাকটিভ করবেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যেখানে সব বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবে সেখানে আমরা থ্রি সি কমান্ড কন্ট্রোল কো-অর্ডিনেশন করতে বলেছি। কমান্ড থাকবে স্ব স্ব বাহিনীর হাতে। কেউ কারো কমান্ড নিয়ে নেবে না। তবে কো-অর্ডিনেশনটা সেলের মাধ্যমে হবে, যেন কোথাও ডুপ্লিকেশন অফ এফোর্ট না হয়।

তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকার মানুষ কিন্তু জানে, কারা ক্রিমিনাল কারা দুষ্ট লোক। এখন বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু ভোটমুখী। মানুষ চায় না খারাপ কিছু হোক।