ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাজাহানপুরে ট্রাকের নিচে ঢুকে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত, আহত ২ নারায়ণগঞ্জ ক্লাব পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ফের এম সোলায়মানের নিরংকুশ বিজয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইসির উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ফতুল্লায় ফেরি থেকে ট্রাকসহ পাঁচ যান ধলেশ্বরী নদীতে, নিহত ৩ শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নারায়ণগঞ্জ ক্লাব নির্বাচন: বিপুল ভোটে জয়ের পথে এম. সোলায়মান জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ হলেন নাবিলা দুই বছর পর ওমরাহ করতে গিয়ে ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ওমর সানীর ছক্কা মেরে আহত করে সেবা করলেন পান্ডিয়া

শীতেও স্বস্তি ফেরেনি সবজি বাজারে, নানা অজুহাতে বাড়ছে দাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২০ জন পড়েছেন

মৌসুমেও বাজারে সবজির দাম চড়া। বেশিরভাগ সবজির দাম দুই মাসেরও বেশি সময় ধরেই উচ্চ অবস্থানে স্থির রয়েছে। ফলে দৈনন্দিন বাজারের চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে রয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজি বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।

আজকের বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধা কপিও (মাঝারি) প্রতি পিস ৪০ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও অনেক জায়গায় ১১০–১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ডিম ও মুরগির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৬০–১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় সবজির দাম বেশি থাকার প্রসঙ্গে বিক্রেতা রাকিব বলেন, ‘এখন বাজারে সবজি আছে, তারপরও দাম কমছে না। এটা আমি নিজেই চিন্তা করে পাই না। পাইকাররা বলেন সবজির সাপ্লাই কম, চাহিদা বেশি। তাই দাম কমে না। আবার বলেন হঠাৎ যে রকম বৃষ্টি হয়েছিল সেগুলোর ক্ষতি এখনও পোষাতে পারেনি। অনেক চারা নষ্ট হয়েছে। তাই দাম বেশি। আমদানি করলে নাকি দাম কমে যাবে।’

ছুটির দিনে খিলক্ষেতে বাজার করতে আসা রিফাত সরকার সবজির দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শীতের সময় সব ধরনের সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখছি উলটোটা, শীত এসেছে ঠিকই কিন্তু সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। এমন বাড়তি দাম আগে কখনো দেখিনি। তবুও বাধ্য হয়ে বাসায় খাবার জন্য সবজি কিনতে হচ্ছে, তবে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম, এখন সেটা আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে। কষ্ট লাগে এসব দেখার কেহ নেই।’

সবজি দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা জানান, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে আমাদের কেনা দাম বেশি পড়ছে, ফলে বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শীতেও স্বস্তি ফেরেনি সবজি বাজারে, নানা অজুহাতে বাড়ছে দাম

আপডেট সময় : ০৪:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মৌসুমেও বাজারে সবজির দাম চড়া। বেশিরভাগ সবজির দাম দুই মাসেরও বেশি সময় ধরেই উচ্চ অবস্থানে স্থির রয়েছে। ফলে দৈনন্দিন বাজারের চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে রয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজি বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।

আজকের বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধা কপিও (মাঝারি) প্রতি পিস ৪০ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও অনেক জায়গায় ১১০–১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ডিম ও মুরগির বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা, আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৬০–১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় সবজির দাম বেশি থাকার প্রসঙ্গে বিক্রেতা রাকিব বলেন, ‘এখন বাজারে সবজি আছে, তারপরও দাম কমছে না। এটা আমি নিজেই চিন্তা করে পাই না। পাইকাররা বলেন সবজির সাপ্লাই কম, চাহিদা বেশি। তাই দাম কমে না। আবার বলেন হঠাৎ যে রকম বৃষ্টি হয়েছিল সেগুলোর ক্ষতি এখনও পোষাতে পারেনি। অনেক চারা নষ্ট হয়েছে। তাই দাম বেশি। আমদানি করলে নাকি দাম কমে যাবে।’

ছুটির দিনে খিলক্ষেতে বাজার করতে আসা রিফাত সরকার সবজির দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শীতের সময় সব ধরনের সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখছি উলটোটা, শীত এসেছে ঠিকই কিন্তু সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। এমন বাড়তি দাম আগে কখনো দেখিনি। তবুও বাধ্য হয়ে বাসায় খাবার জন্য সবজি কিনতে হচ্ছে, তবে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম, এখন সেটা আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে। কষ্ট লাগে এসব দেখার কেহ নেই।’

সবজি দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা জানান, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে আমাদের কেনা দাম বেশি পড়ছে, ফলে বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’