ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারে যোগদানের ইঙ্গিত পিপিপির

পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারে যোগদানের ইঙ্গিত পিপিপির

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ১১ জন পড়েছেন

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমঝোতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সম্ভাব্যভাবে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে আছি। এখন এমন সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে যে, যদি উভয় দলের মধ্যে এমন কোনো সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে আমরা জাতীয় এজেন্ডা এগিয়ে নিতে পারি, তবে তা ভালো হবে এবং আমি তা স্বাগত জানাব।’

তবে কোনো চূড়ান্ত আলোচনা বা রোডম্যাপের কথা স্বীকার না করে আসিফ জানান, এটি তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেওয়া মতামত, কোনো অভ্যন্তরীণ তথ্যের ভিত্তিতে নয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পিপিপি পাকিস্তানে প্রেসিডেন্সি এবং গভর্নরের মতো সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করলেও ফেডারেল মন্ত্রিসভায় তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তবে সম্প্রতি বাজেট পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে পিপিপি পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থেকেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে এই ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তবে পিপিপির সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন জানিয়েছেন, এখনই তাদের দল ফেডারেল সরকারে যোগ দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা করছে না। তবে ভবিষ্যতে প্রস্তাব এলে দল তা বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিকে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরার দায়িত্ব দেন। এতে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের আস্থা আরও বাড়ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এই রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দেশটির অর্থনীতি ও আঞ্চলিক কূটনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারে যোগদানের ইঙ্গিত পিপিপির

পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকারে যোগদানের ইঙ্গিত পিপিপির

আপডেট সময় : ০২:০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমঝোতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সম্ভাব্যভাবে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে আছি। এখন এমন সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে যে, যদি উভয় দলের মধ্যে এমন কোনো সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে আমরা জাতীয় এজেন্ডা এগিয়ে নিতে পারি, তবে তা ভালো হবে এবং আমি তা স্বাগত জানাব।’

তবে কোনো চূড়ান্ত আলোচনা বা রোডম্যাপের কথা স্বীকার না করে আসিফ জানান, এটি তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেওয়া মতামত, কোনো অভ্যন্তরীণ তথ্যের ভিত্তিতে নয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পিপিপি পাকিস্তানে প্রেসিডেন্সি এবং গভর্নরের মতো সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করলেও ফেডারেল মন্ত্রিসভায় তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তবে সম্প্রতি বাজেট পাসসহ গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে পিপিপি পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থেকেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে এই ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তবে পিপিপির সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন জানিয়েছেন, এখনই তাদের দল ফেডারেল সরকারে যোগ দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা করছে না। তবে ভবিষ্যতে প্রস্তাব এলে দল তা বিবেচনা করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিকে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরার দায়িত্ব দেন। এতে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের আস্থা আরও বাড়ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এই রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দেশটির অর্থনীতি ও আঞ্চলিক কূটনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।