ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সঙ্কুচিত শহরের প্রবেশমুখ, ভোগান্তি

থমকে আছে লিংক রোডের নির্মাণ কাজ

অর্ণব আল আমীন
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ১৬ জন পড়েছেন

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের নিরবচ্ছিন্ন ও যানজটমুক্ত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সরকার ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (সাইনবোর্ড-চাষাড়া) ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়। তবে সময় গড়িয়েছে পাঁচ বছরের বেশি, কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। ফলে এ সড়কে প্রতিদিনের যানজট ও দুর্ভোগ এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী।
চাঁনমারী-চাষাড়া অংশে কাজ থেমে থাকায় সংকুচিত পথ দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবৈধ অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলদারিত্ব। বিশেষ করে চাষাড়া মোড় ঘিরে এদের দৌরাত্ম্য চোখে পরার মতো। যানজটের এই ধকল গিয়ে পড়ে পঞ্চবটি রোড, বি.বি. রোড, কালিরবাজার, ২নং ও ১নং রেলগেট হয়ে পুরো শহরে।
সদ্য শুরু হওয়া এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরুর পরেও যানজটের কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। শহরের তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থাকায় পরীক্ষার্থীরা সহ অভিভাবকরা থাকে চরম দুঃশ্চিন্তায়। সময় মতো পরীক্ষা হলে যেতে পারবে কিনা সে আশঙ্কায়।
৮ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা এবং কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ২০২২ সালের জুন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথমে এক বছর ও পরে আরও দুই বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯০ কোটি টাকায়। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ছয় লেনের পাশাপাশি নির্মাণাধীন সার্ভিস লেনের কাজও অসম্পূর্ণ। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, খোলা ড্রেন ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যান চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। একদিকে সড়ক সংস্কারের দীর্ঘসূত্রিতা, অন্যদিকে শহরের একমাত্র প্রবেশমুখে যানজটের যন্ত্রণা যেন দ্বিগুণ গ্লানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে।
এই রোড ঘিরেই রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা কারাগার, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পিবিআই, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও সেবাকেন্দ্র। ফলে অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ, বিচারপ্রার্থীরা ও রোগীরা যানজটে পড়েই শহরে প্রবেশ বা শহর ত্যাগ করছেন।
এছাড়াও লিংক রোড দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ, ট্রাক এবং গার্মেন্টস, হোসিয়ারি, লবণ, সিমেন্টসহ নানা শিল্পপণ্যের পরিবহনযান। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জে নতুন নতুন কলকারখানা গড়ে ওঠায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ সে অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সড়কে নির্মাণের কথা রয়েছে প্রশস্ত পেভমেন্ট, সার্ভিস লেন, হার্ড শোল্ডার, আরসিসি ডিভাইডার, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও বাস-বে। কিন্তু এখনো এসব কাজের অনেক অংশ বাকি। বিশেষত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবৈধ দখলমুক্তকরণ না হওয়ায় সড়কের বেশ কিছু অংশে কাজ থমকে আছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ উপ-বিভাগ-১ এর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ মজুমদার জানান, ডিসি অফিস পার হয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অংশে জায়গা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। সঙ্কুচিত থাকা এই রাস্তার বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রগতি আশা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, লিংক রোডের কাজ করার সময় বেশ ভোগান্তির স্বীকার হলেও আশায় ছিলাম যানজটমুক্ত নারায়ণগঞ্জের। ধুলাবালি, ভাঙাচোরা রাস্তা, যানজট সব মিলে চলাফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের যানজটের মুখোমুখি হতে হয়। সকাল কিংবা দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা রাত সকল সময়ে যানজট লেগেই থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শহরের প্রবেশমুখ হিসেবে বিবেচিত এই চাঁনমারি-চাষাড়া রোড যদি আধুনিক ও কার্যকর ছয় লেনে রূপান্তরিত না হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর যানচাপ কমবে না। এ ছাড়া শুধু নির্মাণ করলেই হবে না, তার সঙ্গে প্রয়োজন অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, সুশৃঙ্খল স্ট্যান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিকল্প রাস্তার সংযুক্তিকরণ।
জনগণের দাবির ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কয়েকটি পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, রিকশা ও লেগুনার নির্ধারিত রুট চালু, এবং চাষাড়াকে কেন্দ্র করে একটি ট্রাফিক মডার্নাইজেশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়। তবে এর বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিত।
একই সঙ্গে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে। বারবার সময় ও বাজেট বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত গতিতে কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং ঠিকাদার নিয়োগের সুনির্দিষ্ট জবাবদিহিতার দাবি তুলেছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে এমন দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যেভাবে ছয় লেনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি, তা শুধু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যর্থতা নয়, এটি এক ধরনের পরিকল্পনাগত দুর্যোগ। যার মাসুল দিচ্ছেন প্রতিদিনের যাত্রী, শ্রমিক, রোগী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সঙ্কুচিত শহরের প্রবেশমুখ, ভোগান্তি

থমকে আছে লিংক রোডের নির্মাণ কাজ

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের নিরবচ্ছিন্ন ও যানজটমুক্ত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সরকার ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (সাইনবোর্ড-চাষাড়া) ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়। তবে সময় গড়িয়েছে পাঁচ বছরের বেশি, কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। ফলে এ সড়কে প্রতিদিনের যানজট ও দুর্ভোগ এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী।
চাঁনমারী-চাষাড়া অংশে কাজ থেমে থাকায় সংকুচিত পথ দিয়ে চলছে ভারী যানবাহন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অবৈধ অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলদারিত্ব। বিশেষ করে চাষাড়া মোড় ঘিরে এদের দৌরাত্ম্য চোখে পরার মতো। যানজটের এই ধকল গিয়ে পড়ে পঞ্চবটি রোড, বি.বি. রোড, কালিরবাজার, ২নং ও ১নং রেলগেট হয়ে পুরো শহরে।
সদ্য শুরু হওয়া এইচ.এস.সি পরীক্ষা শুরুর পরেও যানজটের কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। শহরের তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থাকায় পরীক্ষার্থীরা সহ অভিভাবকরা থাকে চরম দুঃশ্চিন্তায়। সময় মতো পরীক্ষা হলে যেতে পারবে কিনা সে আশঙ্কায়।
৮ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা এবং কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ২০২২ সালের জুন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথমে এক বছর ও পরে আরও দুই বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯০ কোটি টাকায়। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ছয় লেনের পাশাপাশি নির্মাণাধীন সার্ভিস লেনের কাজও অসম্পূর্ণ। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, খোলা ড্রেন ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যান চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। একদিকে সড়ক সংস্কারের দীর্ঘসূত্রিতা, অন্যদিকে শহরের একমাত্র প্রবেশমুখে যানজটের যন্ত্রণা যেন দ্বিগুণ গ্লানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে।
এই রোড ঘিরেই রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা কারাগার, বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, পিবিআই, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও সেবাকেন্দ্র। ফলে অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ, বিচারপ্রার্থীরা ও রোগীরা যানজটে পড়েই শহরে প্রবেশ বা শহর ত্যাগ করছেন।
এছাড়াও লিংক রোড দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ, ট্রাক এবং গার্মেন্টস, হোসিয়ারি, লবণ, সিমেন্টসহ নানা শিল্পপণ্যের পরিবহনযান। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জে নতুন নতুন কলকারখানা গড়ে ওঠায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ সে অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ হয়নি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সড়কে নির্মাণের কথা রয়েছে প্রশস্ত পেভমেন্ট, সার্ভিস লেন, হার্ড শোল্ডার, আরসিসি ডিভাইডার, ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও বাস-বে। কিন্তু এখনো এসব কাজের অনেক অংশ বাকি। বিশেষত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অবৈধ দখলমুক্তকরণ না হওয়ায় সড়কের বেশ কিছু অংশে কাজ থমকে আছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ উপ-বিভাগ-১ এর উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ মজুমদার জানান, ডিসি অফিস পার হয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অংশে জায়গা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। সঙ্কুচিত থাকা এই রাস্তার বিষয়ে সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রগতি আশা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, লিংক রোডের কাজ করার সময় বেশ ভোগান্তির স্বীকার হলেও আশায় ছিলাম যানজটমুক্ত নারায়ণগঞ্জের। ধুলাবালি, ভাঙাচোরা রাস্তা, যানজট সব মিলে চলাফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের যানজটের মুখোমুখি হতে হয়। সকাল কিংবা দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা রাত সকল সময়ে যানজট লেগেই থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শহরের প্রবেশমুখ হিসেবে বিবেচিত এই চাঁনমারি-চাষাড়া রোড যদি আধুনিক ও কার্যকর ছয় লেনে রূপান্তরিত না হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর যানচাপ কমবে না। এ ছাড়া শুধু নির্মাণ করলেই হবে না, তার সঙ্গে প্রয়োজন অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, সুশৃঙ্খল স্ট্যান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিকল্প রাস্তার সংযুক্তিকরণ।
জনগণের দাবির ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কয়েকটি পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, রিকশা ও লেগুনার নির্ধারিত রুট চালু, এবং চাষাড়াকে কেন্দ্র করে একটি ট্রাফিক মডার্নাইজেশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়। তবে এর বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিত।
একই সঙ্গে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে। বারবার সময় ও বাজেট বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত গতিতে কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং ঠিকাদার নিয়োগের সুনির্দিষ্ট জবাবদিহিতার দাবি তুলেছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে এমন দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যেভাবে ছয় লেনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি, তা শুধু প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যর্থতা নয়, এটি এক ধরনের পরিকল্পনাগত দুর্যোগ। যার মাসুল দিচ্ছেন প্রতিদিনের যাত্রী, শ্রমিক, রোগী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।