ইসরাইলকে রসদ দেওয়া দুই কোম্পানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করল নরওয়ের কোম্পানি
ইসরাইলকে রসদ দেওয়া দুই কোম্পানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করল নরওয়ের কোম্পানি

- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ৪ জন পড়েছেন
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কাছে সরঞ্জাম বিক্রি করা দুটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে নরওয়ের সবথেকে বড় পেনশন কোম্পানি কেএলপি।
সরঞ্জামগুলো গাজায় হামলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর কেএলপি কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানি দুটির একটি হল যুক্তরাষ্ট্রের ‘অশকশ করপোরেশন’। ট্রাক ও সামরিক যানবাহন তৈরি করে থাকে এ কোম্পানি।
আরেকটি হল জার্মানির ‘থুইসেনক্রুপ’, যেটি লিফট ও শিল্প যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জামও উৎপাদন করে।
‘কেএলপি ক্যাপিটালফরভাল্টনিং’ এর বিনিয়োগপ্রধান কিরণ আজিজ আল-জাজিরাকে বলেন, ২০২৪ সালের জুনে কেএলপি জাতিসংঘেরর প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছে কিছু কোম্পানি ইসরাইলি বাহিনীকে অস্ত্র অথবা সরঞ্জাম বা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে। সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে গাজায়।
“আমাদের অবস্থান হল অশকশ ও থুইসেনক্রুপ আমাদের বিনিয়োগ নীতি লঙ্ঘন করছে। যে কারণে আমাদের বিনিয়োগ পরিমণ্ডল থেকে তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
কেএলপির হিসাবে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তারা অশকশ করপোরেশনে ১৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। আর থুইসেনক্রুপে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ১০ লাখ ডলার।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কেএলপি নরওয়ের সবথেকে বড় বিনিয়োগ কোম্পানি, যেটি ১১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের তহবিল পরিচালনা করে।
সরকারি এ বিনিয়োগ তহবিল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নরওয়ের পৌরসভাগুলো। পেনশন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৯ লাখ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই পৌরসভার কর্মী।
কেএলপি বলছে, কোম্পানি দুটির সঙ্গে যোগাযোগ করেই সম্পর্ক ছেদ করা হয়েছে। অশকশ নিশ্চিত করেছে যে তারা ইসরাইলি বাহিনীর কাছে যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে, এখনও করছে। এসব সরঞ্জামের বেশিরভাগই যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ। সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে গাজায়।
থুইসেনক্রুপ কেএলপি-কে বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত তারা ইসরাইলি নৌবাহিনীকে ‘এসএ’এআর ৬’ ধরনের চারটি যুদ্ধজাহাজ দিয়েছে।
চলতি বছরের শেষে ইসরাইলি নৌবাহিনীকে একটি সাবমেরিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে থুইসেনক্রুপের।
সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কোনো কোম্পানি থেকে কেএলপির মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২১ সালে ১৬টি কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছিল নরওয়ের এ কোম্পানি।
এর মধ্যে টেলিকম জায়ান্ট মটোরোলাও ছিল। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি অবৈধ বসতি স্থাপনের সঙ্গে মটোরোলার সংযোগের তথ্যে সরে আসে কেএলপি।
একই বছর মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ভারতের আদানি গ্রুপের আদানি পোর্টস থেকেও সরে আসার কথা জানায় কেএলপি।