ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শহীদ আরমান মোল্লা : অন্ধকারে তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ

শহীদ আরমান মোল্লা : অন্ধকারে তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১০ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল দিনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা আরমান মোল্লা (৩৬)। ২০২৪ সালের ২১ জুলাই, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আড়াইহাজারের শেখেরচর ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
শহীদ আরমান মোল্লা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার কলাগাছিয়া নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ইছব মোল্লা এবং মায়ের নাম জোবেদা আক্তার। পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন আরমান। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি, যাঁর কাঁধেই ভর করে টিকে ছিল তার ষাটোর্ধ্ব পিতা-মাতা, স্ত্রী এবং তিনটি অবুঝ শিশু।
অভাবের সংসারে থেকেও স্বপ্ন দেখতেন আরমান। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন এই ছিল তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। বড় মেয়েকে দারুত তাওহীদ সালফিয়া মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান, আর একমাত্র ছেলেকে ভর্তি করান একই মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে। স্বল্প আয়ের মধ্যেও তিনি সন্তানদের পড়াশোনায় আপস করেননি। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন থেমে গেছে বুলেটের গর্জনে।
২১ জুলাই দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ব্যক্তিগত কাজে শেখেরচর ইউনিয়ন পরিষদে যান আরমান মোল্লা। এ সময় সেখানে অবস্থানরত পুলিশ বিনা উসকানিতে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বুকে ঢুকে পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায় গুলি। কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আরমান। আশেপাশের লোকজন যখন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়, ততক্ষণে সময় শেষ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ আরমান মোল্লার মৃত্যু কোনো একক ঘটনা নয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কোটা সংস্কার, শিক্ষা ও চাকরিতে সমতা, এবং পুলিশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে নামে। সরকার আন্দোলন দমনে বরাবরের মতোই কঠোর অবস্থান নেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের ইন্টারনেট সংযোগ। চারদিকে খবরের ব্ল্যাকআউট। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে সেদিন একের পর এক তরুণের প্রাণ ঝরে পড়ে। সেই তালিকায় একজন সাধারণ দিনমজুর, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা হিসেবে আরমান মোল্লার নাম যুক্ত হয়। অথচ তিনি কোনো মিছিলে ছিলেন না, কোনো সংঘর্ষে জড়াননি শুধু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় উপস্থিত থাকার অপরাধে প্রাণ দিতে হলো তাকে।
স্বামী হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন আরমানের স্ত্রী। আরমানের তিনটি শিশুসন্তান বড় মেয়ে মাহি (১০), রাফি (৭) আফরামনি (৩)কে নিয়ে স্ত্রী সালমা বেগম এখন আশ্রয় নিয়েছেন নরসিংদীর মাধবদীতে তাঁর বাবার বাড়িতে। শহীদের শ্বশুর আপাতত তাদের খাবার ও ওষুধপথ্যের ব্যবস্থা করছেন, কিন্তু কতদিন পারবেন? শহীদ আরমানের স্ত্রী শারীরিকভাবে কর্মক্ষম নন, তাই সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার পথও যেন রুদ্ধ। তিন বছরের ছোট মেয়ে আফরা মনি বারবার বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। বড় মেয়েটি বোবা হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেটি বাবার মৃত্যু মানতে পারছে না। পরিবার এখন গভীর দুশ্চিন্তায়, এই শিশুগুলোর ভবিষ্যৎ কী?
ছোট মেয়ে আফরামনির বয়স এখন তিন চলছে। আফরামনি মাত্র দুই বছর বয়সেই তার বাবাকে হারায়। কিন্তু বাবার স্মৃতি তার চোখে এখনও সজীব, সতেজ। এমনকি মাঝে মাঝে আফরা তার বাবাকে স্বপ্নে দেখে বলেও জানান সালমা।
সালমা বেগম বলেন, ‘সবাই ভুইলা গেলেও আমার ছোট মাইয়াডা তার বাপেরে ভুলতে পারে নাই। ঘুমের ভিত্রেও বাপরে ডাকে! বাপেরে স্বপ্ন দেইখা বাস্তবে দেখছে মনে কইরা বইলা ওঠে, ‘আব্বু জামা ময়লা, জামা খুলো।’ আমার বুকডা ফাইট্টা যাইতে চায়।’
আরমান মোল্লা যখন সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি করে ঘর্মাক্ত হয়ে ময়লা কাপড়ে বাসায় ফিরতেন, তখন বাবাকে কাপড় খুলতে বলত ছোট্ট আফরা। তাকে জড়িয়ে ধরে মজা খাওয়ার আবদার করত। সেই স্মৃতি এখনও তার শিশুমনে জ্বলজ্যান্ত হয়ে গেঁথে আছে বলে জানান সালমা।
সালমা বলেন, সকালে ওর আব্বু ওরে ডাক দিয়া উঠাইত। হের লিগা ওর মরণের পর অনেকদিন সকালে ঘুম থিকা উঠলেই আফরা বাপেরে খুঁজত, আর না পাইয়া কানত। এখনও রাইত অইলে কয়, ‘মা, আব্বুরে কেক নিয়া আইতে কও, আব্বু আইলেই ঘুমামু।’
মৃত্যুর পর শহীদ আরমান মোল্লার মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। কলাগাছিয়া নয়াপাড়া গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয়রা কান্না চাপতে পারেননি। সকলে বলছেন, আরমান কোনো রাজনীতিক ছিলেন না, কোনো উগ্রবাদীও নন তিনি ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয়, নিরীহ মানুষ। তার এভাবে মৃত্যু নিছক একটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড।
শহীদ আরমানের পরিবার, প্রতিবেশী এবং স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন পুলিশ তাকে গুলি করলো? কী অপরাধ ছিল তার? একজন খেটে খাওয়া মানুষকেও কি আজ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে?”
তারা শহীদ আরমানের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ ও শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি বুলেট থামিয়ে দিলো একজন পিতা, একজন স্বপ্নবাজ শ্রমজীবী মানুষের জীবন। শহীদ আরমান মোল্লা এখন শুধুই স্মৃতি। তার স্বপ্নগুলো পড়ে আছে ভাঙাচোরা অবস্থায়। সন্তানরা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করে, “আমার আব্বু কই?” কোনো উত্তর নেই, আছে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
আন্দোলনের এই অগ্নিগর্ভ সময়ে আরমান মোল্লার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে সাধারণ মানুষের পক্ষের একজন নিরীহ শহীদ হিসেবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শহীদ আরমান মোল্লা : অন্ধকারে তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ

শহীদ আরমান মোল্লা : অন্ধকারে তিন সন্তানের ভবিষ্যৎ

আপডেট সময় : ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল দিনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা আরমান মোল্লা (৩৬)। ২০২৪ সালের ২১ জুলাই, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আড়াইহাজারের শেখেরচর ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
শহীদ আরমান মোল্লা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার কলাগাছিয়া নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ইছব মোল্লা এবং মায়ের নাম জোবেদা আক্তার। পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন আরমান। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি, যাঁর কাঁধেই ভর করে টিকে ছিল তার ষাটোর্ধ্ব পিতা-মাতা, স্ত্রী এবং তিনটি অবুঝ শিশু।
অভাবের সংসারে থেকেও স্বপ্ন দেখতেন আরমান। সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন এই ছিল তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। বড় মেয়েকে দারুত তাওহীদ সালফিয়া মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান, আর একমাত্র ছেলেকে ভর্তি করান একই মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে। স্বল্প আয়ের মধ্যেও তিনি সন্তানদের পড়াশোনায় আপস করেননি। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন থেমে গেছে বুলেটের গর্জনে।
২১ জুলাই দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ব্যক্তিগত কাজে শেখেরচর ইউনিয়ন পরিষদে যান আরমান মোল্লা। এ সময় সেখানে অবস্থানরত পুলিশ বিনা উসকানিতে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বুকে ঢুকে পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায় গুলি। কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আরমান। আশেপাশের লোকজন যখন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়, ততক্ষণে সময় শেষ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ আরমান মোল্লার মৃত্যু কোনো একক ঘটনা নয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসজুড়ে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কোটা সংস্কার, শিক্ষা ও চাকরিতে সমতা, এবং পুলিশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে নামে। সরকার আন্দোলন দমনে বরাবরের মতোই কঠোর অবস্থান নেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের ইন্টারনেট সংযোগ। চারদিকে খবরের ব্ল্যাকআউট। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে সেদিন একের পর এক তরুণের প্রাণ ঝরে পড়ে। সেই তালিকায় একজন সাধারণ দিনমজুর, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা হিসেবে আরমান মোল্লার নাম যুক্ত হয়। অথচ তিনি কোনো মিছিলে ছিলেন না, কোনো সংঘর্ষে জড়াননি শুধু ভুল সময়ে ভুল জায়গায় উপস্থিত থাকার অপরাধে প্রাণ দিতে হলো তাকে।
স্বামী হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন আরমানের স্ত্রী। আরমানের তিনটি শিশুসন্তান বড় মেয়ে মাহি (১০), রাফি (৭) আফরামনি (৩)কে নিয়ে স্ত্রী সালমা বেগম এখন আশ্রয় নিয়েছেন নরসিংদীর মাধবদীতে তাঁর বাবার বাড়িতে। শহীদের শ্বশুর আপাতত তাদের খাবার ও ওষুধপথ্যের ব্যবস্থা করছেন, কিন্তু কতদিন পারবেন? শহীদ আরমানের স্ত্রী শারীরিকভাবে কর্মক্ষম নন, তাই সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার পথও যেন রুদ্ধ। তিন বছরের ছোট মেয়ে আফরা মনি বারবার বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। বড় মেয়েটি বোবা হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেটি বাবার মৃত্যু মানতে পারছে না। পরিবার এখন গভীর দুশ্চিন্তায়, এই শিশুগুলোর ভবিষ্যৎ কী?
ছোট মেয়ে আফরামনির বয়স এখন তিন চলছে। আফরামনি মাত্র দুই বছর বয়সেই তার বাবাকে হারায়। কিন্তু বাবার স্মৃতি তার চোখে এখনও সজীব, সতেজ। এমনকি মাঝে মাঝে আফরা তার বাবাকে স্বপ্নে দেখে বলেও জানান সালমা।
সালমা বেগম বলেন, ‘সবাই ভুইলা গেলেও আমার ছোট মাইয়াডা তার বাপেরে ভুলতে পারে নাই। ঘুমের ভিত্রেও বাপরে ডাকে! বাপেরে স্বপ্ন দেইখা বাস্তবে দেখছে মনে কইরা বইলা ওঠে, ‘আব্বু জামা ময়লা, জামা খুলো।’ আমার বুকডা ফাইট্টা যাইতে চায়।’
আরমান মোল্লা যখন সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি করে ঘর্মাক্ত হয়ে ময়লা কাপড়ে বাসায় ফিরতেন, তখন বাবাকে কাপড় খুলতে বলত ছোট্ট আফরা। তাকে জড়িয়ে ধরে মজা খাওয়ার আবদার করত। সেই স্মৃতি এখনও তার শিশুমনে জ্বলজ্যান্ত হয়ে গেঁথে আছে বলে জানান সালমা।
সালমা বলেন, সকালে ওর আব্বু ওরে ডাক দিয়া উঠাইত। হের লিগা ওর মরণের পর অনেকদিন সকালে ঘুম থিকা উঠলেই আফরা বাপেরে খুঁজত, আর না পাইয়া কানত। এখনও রাইত অইলে কয়, ‘মা, আব্বুরে কেক নিয়া আইতে কও, আব্বু আইলেই ঘুমামু।’
মৃত্যুর পর শহীদ আরমান মোল্লার মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। কলাগাছিয়া নয়াপাড়া গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্থানীয়রা কান্না চাপতে পারেননি। সকলে বলছেন, আরমান কোনো রাজনীতিক ছিলেন না, কোনো উগ্রবাদীও নন তিনি ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয়, নিরীহ মানুষ। তার এভাবে মৃত্যু নিছক একটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড।
শহীদ আরমানের পরিবার, প্রতিবেশী এবং স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন পুলিশ তাকে গুলি করলো? কী অপরাধ ছিল তার? একজন খেটে খাওয়া মানুষকেও কি আজ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে?”
তারা শহীদ আরমানের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ ও শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি বুলেট থামিয়ে দিলো একজন পিতা, একজন স্বপ্নবাজ শ্রমজীবী মানুষের জীবন। শহীদ আরমান মোল্লা এখন শুধুই স্মৃতি। তার স্বপ্নগুলো পড়ে আছে ভাঙাচোরা অবস্থায়। সন্তানরা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করে, “আমার আব্বু কই?” কোনো উত্তর নেই, আছে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
আন্দোলনের এই অগ্নিগর্ভ সময়ে আরমান মোল্লার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে সাধারণ মানুষের পক্ষের একজন নিরীহ শহীদ হিসেবে।