ইসলামী দলগুলো মানুষের ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে
ইসলামী দলগুলো মানুষের ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৮:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
- / ২০ জন পড়েছেন
সোজাসাপটা রিপোর্ট :
একনেতা আরেক নেতাকে দিগম্বর করে দেয়াটাইতো পাগলামী। নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা পাগলামীতে মেতে আছেন ! এই ফাঁকে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো একদম ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। খলিফাতন্ত্র, খেলাফত, ইসলামি শাসন-এসব আকর্ষণীয় কথায় মানুষের ঘুম ভাঙার আগেই ভোট চাইতে দরজায় কড়া নাড়ছে। যারা আগে নামমাত্র উপস্থিতি দিয়েই চলত, তারা এখন প্রতিটি এলাকায় ৫-৭ জন করে সংগঠক নিযুক্ত করেছে। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতের বিভিন্ন শাখা, এমনকি আনসারুল্লাহ ধারার কর্মীরাও ‘শান্তি ও ইসলামি শাসন’ নামের প্যাকেজ নিয়ে মাঠে নেমেছে।
বন্দরের এক ব্যবসায়ী বলেন, “বিএনপি আমাদের কাছে আসে না। তারা ভোটের সময় আসে, তারপর আর দেখা যায় না। কিন্তু এই নতুন ইসলামী দলগুলোর লোকজন রোজ আসে। দোয়া চায়, মসজিদে আমাদের পাশে বসে, সামাজিক কাজে সাহায্য করে। আমাদের ছেলেমেয়ের চাকরির জন্যও খোঁজ নেয়। তাহলে কার পেছনে যাবো বলেন?”
বিএনপি এখন নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। কে থাকবেন, কে যাবেন, কার কথায় জেলা কমিটি হবে-এসব নিয়ে দলটা যেন অনন্তকাল ধরে বৈঠকের টেবিলে বসে আছে। এদিকে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতের কয়েকটি ভাঙা গোষ্ঠী এবং কিছু নতুন ইসলামী সংগঠন তাদের একেকটি ওয়ার্ডে পাঁচ থেকে সাতজন করে সংগঠক নিয়োগ করেছে। তারা শুধু পোস্টার লাগাচ্ছে না; তারা মানুষের ঘরে ঢুকছে, চা খাচ্ছে, দোয়া চাচ্ছে, ছেলেমেয়েদের চাকরির খোঁজ নিচ্ছে, এমনকি হাসপাতালে রোগী দেখতে যাচ্ছে।
এক মাদ্রাসার শিক্ষক বলেন, “মানুষ শান্তি চায়। আমরা মানুষকে বলি, ইসলামি শাসনে দুর্নীতি থাকবে না, মাদক থাকবে না। এটাই মানুষকে আকৃষ্ট করছে।” একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের জামায়াত নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, “আমরা এখন সংঘবদ্ধ। মানুষ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে ভয় পেত, এখন ভালোবাসতে শুরু করেছে। বিএনপি নিজেদের নেতার ছবিতেই বিভক্ত। আর আমরা মাটি কামড়ে ধরে এগোচ্ছি।”