ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসনের খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু

জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসনের খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / ১৯ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ফতুল্লার কাইয়ুম এলাকার একটি খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এসকল খাল দখল হয়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে বর্ষার মৌসুম আসলেই প্রতি বছর ফতুল্লার লালপুর, শহরের মাসদাইর, জামতলা, কলেজরোড, চাষাঢ়ার একাংশে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালগুলো দখলমুক্ত ও সচল করতে পারলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটা কমে আসবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জানা যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় ৯২ কিলোমিটার খাল রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ কিলোমিটার অবৈধ দখলসহ নানা কারণে একেবারে ব্লক হয়ে গেছে। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। এই ১৭ কিলোমিটাল খালের পানি প্রবাহ সচল রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৯টি খালের ৫৬টি স্পটে প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই এই ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করতে পারবো। সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাকি ছয় কিলোমিটার কালিয়ানি খাল উচ্ছেদ করা হবে। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অঙ্গীকার ছিল আমরা জলাবদ্ধতার সমস্যাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবো। তবে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, আপনারা খালগুলো পুনরুদ্ধারের পর ময়লা আবর্জনা ফেলে এগুলোকে ভরাট করে ফেলবেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসনের খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু

জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসনের খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু

আপডেট সময় : ০৩:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ফতুল্লার কাইয়ুম এলাকার একটি খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এসকল খাল দখল হয়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লাসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে বর্ষার মৌসুম আসলেই প্রতি বছর ফতুল্লার লালপুর, শহরের মাসদাইর, জামতলা, কলেজরোড, চাষাঢ়ার একাংশে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালগুলো দখলমুক্ত ও সচল করতে পারলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটা কমে আসবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জানা যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় ৯২ কিলোমিটার খাল রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ কিলোমিটার অবৈধ দখলসহ নানা কারণে একেবারে ব্লক হয়ে গেছে। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। এই ১৭ কিলোমিটাল খালের পানি প্রবাহ সচল রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৯টি খালের ৫৬টি স্পটে প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই এই ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করতে পারবো। সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাকি ছয় কিলোমিটার কালিয়ানি খাল উচ্ছেদ করা হবে। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অঙ্গীকার ছিল আমরা জলাবদ্ধতার সমস্যাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবো। তবে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, আপনারা খালগুলো পুনরুদ্ধারের পর ময়লা আবর্জনা ফেলে এগুলোকে ভরাট করে ফেলবেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।