না.গঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তর নিয়ে যা বললেন রাজিব-সজল-সাহেদসহ কর্মকর্তারা

- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৬ জন পড়েছেন
সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে “বিএনপি ও সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে কিল্লারপুলস্থ ড্রেজার পরিদপ্তরে আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় শূন্য পদে লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ এবং সিবিএ সভাপতি হুমায়ুন কবীর ও ইসমাইল।
প্রকাশিত সংবাদে আমাদের বিরুদ্ধে যে নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধ টাকা গ্রহণ, বহিরাগতদের নিয়োগে তদবীর ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সাথে আমাদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। আমরা কখনো কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করিনি এবং করবও না। অফিসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাদের নাম উল্লেখ করে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা আমাদের সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি কু-চক্রের অংশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আউটসোসিং প্রক্রিয়ার শূন্য পদে নিয়োগের সাথে আমাদের কোনো প্রকার আর্থিক বা প্রশাসনিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেন, আসলে কি বলার আছে এখানে এরকম মিথ্যা এমন উদ্ভট কিছু কিভাবে সাংবাদিক পত্রিকায় প্রকাশ করে এইটা ভেবেই খুব খারাপ লাগছে যে, বাংলাদেশে এখনো এরকম মিথ্যা বানোয়াট আজগুবি নিউজ প্রকাশিত হয় সত্যিই দুঃখজনক । আসলে বাস্তবতা হলো আমরা এতো বছর জীবনে আমি কখন ড্রেজার অধিদপ্তর অফিস কী রকম সেটাই কখনও দেখি নাই।
তিনি আরও বলেন, আর এই বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা। কাকে নিয়োগ দিবে কি বিষয় নিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি নিউজ দেখলাম যে আমি নাকি ওখানে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছি এবং জনেক এক ব্যক্তিকে নাকি হুমকিও দিয়েছে। আমাকে নিয়ে যা খুশি তা বলেন আমি কিছু বলবো না কিন্তু যখন বিএনপিকে নিয়ে কিছু বলা হয় তখনই আমার কিছু বলার থাকে। কারণ আমি একজন বিএনপি’র কর্মী। বিএনপিকে জড়িয়ে কোন মিথ্যা অসম্মানজনক বানোয়াট নিউজ করা হবে তখন কিন্তু আর চুপ থাকতে পারিনা। যারা মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করেন তাদেরকে আমরা সতর্ক থাকার আহ্বান করছি। আমাদের ইচ্ছের বাইরে হলে কিন্তু দলের সুনামকে অক্ষুন্ন রাখতে আমরা কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব। আর যদি আমি না বিএনপির যেকোনো ব্যক্তি যদি এমন কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার আমাদের বিরুদ্ধে লিখবেন আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কোন প্রকার মিথ্যে নিউজ দয়া করে আপনারা আর করবেন না। এতে করে আমাদের না বিএনপির সুনাম কিন্তু ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটা স্থানীয় পত্রিকায় যেখানে ড্রেজার পরিদপ্তরের কর্তৃক বিভিন্ন চাকরি বাণিজ্যর নামে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আমরা মানুষের থেকে নিচ্ছি এই ধরনের নোংরা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ যেটা যেকোনো ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদের এই হলুদ সাংবাদিকতার কারণে আমাদের মত রাজপথে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে নেতৃত্ব পেয়েছি তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উপর এটা একটা ষড়যন্ত্র বলে মনে করি আমি।
তিনি আরও বলেন, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দাওয়া এটা কারো জন্যই ভালো না এবং ভালো কাজ না। সত্য সত্যই মিথ্যা মিথ্যা। মিথ্যাকে সত্য বানানোর অপচেষ্টা করবেন না। তাহলে কিন্তু আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব। কারণ এখানে আমাদের দলীয় ও ব্যক্তিগত সুনামকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমাদেরকে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবেন না। দয়া করে ভবিষ্যতে যদি এমন কোন কিছু হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে বলবেন। আমরা যদি জড়িত থাকি অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে আমাদের বিরুদ্ধে লেখবেন কিন্তু মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবেন না।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেন, আউটসোর্সিং কি এইটা মনে হয় আমি গতকাল শুনেছি পুরোপুরি ভাবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি শুধু জড়িত না এটা বললে হবে না আমি বিষয়গুলো জানিই না। ইভেন্ট ড্রেজারে অধিদপ্তর অফিসাররা আজ পর্যন্ত বলতে পারবে না কারো সাথে আমার ফোনে কথা হইছে বা সামনাসামনি কথা হইছে। অথচ কিছু স্নেথানীয় পত্রিকায় আমাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করতেছে। বিভিন্নভাবে চরিত্র হরণ করতেছে যেটা খুবই দুঃখজনক।
বিএনপির কর্মী ইসমাইল বলেন, আমি সম্প্রতি গত কালকে লোকাল পত্রিকায় জানতে পারলাম যে ড্রেজার পরিদপ্তরের মাশুকুল রাজিব ভাই নাকি আমার ব্যাপারে আমাদের সাবেক সভাপতি হুমায়ূন সাহেবকে হুমকি প্রধান করেছে এবং আমার জন্য সুপারিশ করেছে। এই কথাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আর দ্বিতীয় হচ্ছে রাজিব ভাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত আমার ঔরকম কোন পরিচিতি নাই ।আর ওনিই বা কেন আমার জন্য সুপারিশ করবে। আমি দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে আসছি এর ভিতরে আমি কখোনোই দেখি নাই মাশুক ইসলাম রাজিব ভাই কোন কাজ কর্ম নিয়ে হস্তক্ষেপ করছে ।
তিনি আরও বলেন, আমিসহ আমার বাবা নামে আওয়ামী লীগের পরিবারের সাথে সংযুক্ত আছি এরকম কিছু ও উল্লেখ করা হয়েছে আসলে এটাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কারন বিগত আমলে ২০২২ ও ২১ অর্থ বছরে আমার বাবাকে বিএনপি পরিবাব হওয়াতে বার বার সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং আমাকে ড্রেজার পরিদপ্তরের নিয়গ থেকে বাতিল করা হয়েছে ওই দোসরদের লোকেরা বিগত সিবিএ যারা ছিলো। আমি বলতে চাই আমিসহ আমার পরিবারের লোকেরা বিএনপির কর্মী এবং আমারা বিএনপি পরিবারের সাথেই আছি ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব তত দিন বিএনপি পরিবাবের সাথেই থাকবো।
এবিষয়ে সিবিএ সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, ড্রেজার অধিদপ্তরে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার শূন্য পথে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়াছে বাণিজ্যের অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট একটি কুচক্রী মহল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ভাই, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ তার নাম জড়িয়ে আমি এবং আমার সেক্রেটারি নাম ব্যবহার করে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। আর সেখানে আমাকে নাকি রাজীব ভাই হুমকি দিয়েছে তা মিথ্যা এবং আমি এমন কোন বক্তব্য দেইনি। আর আউটসোর্সিং মূলত ঠিকাদাররা নিয়োগ দিয়েছে। এতে আমাদের কোন হাত নেই। নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি যাচাই বাছাই করার জন্য অনুরোধ করছি।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার অপারেশন বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বারী বলেন, আউটসোর্সিং পক্রিয়ায় যে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাও বানোয়াট। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেই আর ঠিকাদার তার সুবিধা মতো লোক নিয়োগ দেয় । এখানে আমাদের সরাসরি হস্তক্ষেপের সু্যোগ নেই। তারপরও যেহেতু অভিযোগ আসছে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী সুজয় কুমার সাহা বলেন, ড্রেজার আউটসোর্সিং এর যে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন আমরাতো টেন্ডার করি ঠিকাদারের মাধ্যমে ঠিকাদার জনবল সাপ্লাই দেয়, এইখনে নিয়োগ বানিজ্যের কোনো সম্ভাবনা নেই।