ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় তছনছ কিয়েভসহ কয়েকটি শহর

মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় তছনছ কিয়েভসহ কয়েকটি শহর

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৪ জন পড়েছেন

বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয় দুই নেতার। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এ আলোচনা কোনো দিশা দেখাতে পারেনি। ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কথোপকথনে তেমন লাভ হয়নি’।

এরপরই ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিল রাশিয়া। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই ইউক্রেনে নতুন করে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৩ ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। রাতভর চালানো এ হামলায় অন্তত ২৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ ঘণ্টায় মোট ৫৩৯টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ৪৭৬টি ড্রোন আকাশেই আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে রুশ বাহিনী একসঙ্গে এতো ড্রোন এর আগে ছোড়েনি। ড্রোন হামলার নিরিখে তাই এটি একটি নজির।

এ ছাড়াও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ১১টি ক্রুজ় ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। রাশিয়ার এ হামলার কারণে রাতভর ঘর ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ (শেল্টার) থাকতে হয়েছে ইউক্রেনের বাসিন্দাদেরকে। ভূগর্ভস্থ স্টেশন বা পার্কিং লটে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক শহরে শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। অনেক বহুতল ধ্বংস হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। কিয়েভের রেলস্টেশন এবং একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া- এমন দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাদের গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

রয়টার্সকে ডাচ মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা দরকার। রাশিয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরও জোরদার করার দাবিও তুলেছেন তিনি।

এর আগে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি প্রথমবার ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছিল। এই রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বর্তমানে নিষিদ্ধ।

এদিকে বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কথা হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরেই কথা হয়েছে। অনেক কিছু নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ইরান নিয়ে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কথাবার্তার পর আমি খুশি হতে পারছি না।’

চুক্তির বিষয়ে কথাবার্তা একেবারেই এগোয়নি বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর এ নিয়ে ষষ্ঠবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হলো তার। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ক্ষমতায় আসার আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বিষয়ে তিনি প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। যদিও এখনো সফল হতে পারেননি।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় তছনছ কিয়েভসহ কয়েকটি শহর

মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় তছনছ কিয়েভসহ কয়েকটি শহর

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয় দুই নেতার। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এ আলোচনা কোনো দিশা দেখাতে পারেনি। ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কথোপকথনে তেমন লাভ হয়নি’।

এরপরই ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিল রাশিয়া। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই ইউক্রেনে নতুন করে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৩ ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। রাতভর চালানো এ হামলায় অন্তত ২৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ ঘণ্টায় মোট ৫৩৯টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ৪৭৬টি ড্রোন আকাশেই আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে রুশ বাহিনী একসঙ্গে এতো ড্রোন এর আগে ছোড়েনি। ড্রোন হামলার নিরিখে তাই এটি একটি নজির।

এ ছাড়াও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ১১টি ক্রুজ় ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। রাশিয়ার এ হামলার কারণে রাতভর ঘর ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ (শেল্টার) থাকতে হয়েছে ইউক্রেনের বাসিন্দাদেরকে। ভূগর্ভস্থ স্টেশন বা পার্কিং লটে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক শহরে শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। অনেক বহুতল ধ্বংস হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। কিয়েভের রেলস্টেশন এবং একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া- এমন দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাদের গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

রয়টার্সকে ডাচ মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা দরকার। রাশিয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরও জোরদার করার দাবিও তুলেছেন তিনি।

এর আগে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি প্রথমবার ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছিল। এই রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বর্তমানে নিষিদ্ধ।

এদিকে বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কথা হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরেই কথা হয়েছে। অনেক কিছু নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ইরান নিয়ে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কথাবার্তার পর আমি খুশি হতে পারছি না।’

চুক্তির বিষয়ে কথাবার্তা একেবারেই এগোয়নি বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর এ নিয়ে ষষ্ঠবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হলো তার। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ক্ষমতায় আসার আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বিষয়ে তিনি প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। যদিও এখনো সফল হতে পারেননি।