ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁওয়ে ১০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

সোজাসাপটা রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৫ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অতি বর্ষণে কৃত্রিম বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার বেড়িবাঁধের ভেতরের ১০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশে সেই পানি দূষিত হয়ে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের ভেতরের পানি নিস্কাশনের বেবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও,বাটপাড়া, কাজিপাড়া, দরগাবাড়ী,খিদিরপুর-সহ প্রায় ১০ গ্রামে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা।

তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট,ফসলী জমি ও বাড়ির উঠান।
অনেকের ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে পানি। ফলে বন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৪০ হাজার।মানুষ।বেকার হয়ে গেছেন অনেকে।বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ছেলে মেয়ের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় আসা যাওয়া।

বৃষ্টির পানিতে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।এতে বাড়ছে জনদূর্ভোগ। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির মৌসুম আসলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা। দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি চায় তারা।

বারগাঁও চৌধুরীপাড়ার মো. বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম হলেই বেড়িবাঁধের মানুষ জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে দরিদ্র পরিবারগুলো খাবার সংকটে পড়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য তিনটি পাম্প রয়েছে। তার মধ্যে দুটি পাম্প অচল থাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পাম্প বসানোর। পানি বন্দি যারা দরিদ্র তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোনারগাঁওয়ে ১০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অতি বর্ষণে কৃত্রিম বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার বেড়িবাঁধের ভেতরের ১০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশে সেই পানি দূষিত হয়ে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের ভেতরের পানি নিস্কাশনের বেবস্থা না থাকায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও,বাটপাড়া, কাজিপাড়া, দরগাবাড়ী,খিদিরপুর-সহ প্রায় ১০ গ্রামে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা।

তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট,ফসলী জমি ও বাড়ির উঠান।
অনেকের ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে পানি। ফলে বন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৪০ হাজার।মানুষ।বেকার হয়ে গেছেন অনেকে।বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ছেলে মেয়ের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় আসা যাওয়া।

বৃষ্টির পানিতে কিছু কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।এতে বাড়ছে জনদূর্ভোগ। পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির মৌসুম আসলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা। দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি চায় তারা।

বারগাঁও চৌধুরীপাড়ার মো. বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম হলেই বেড়িবাঁধের মানুষ জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে দরিদ্র পরিবারগুলো খাবার সংকটে পড়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য তিনটি পাম্প রয়েছে। তার মধ্যে দুটি পাম্প অচল থাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত পাম্প বসানোর। পানি বন্দি যারা দরিদ্র তাদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।