ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক

গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০ জন পড়েছেন

গত মাসের শেষদিকে ইসরাইল ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই লুটপাটের শিকার হয়েছে।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ইসরাইলই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই এটি করছে। ইসরাইলের এ কৌশল ‘গাজায় কাঠামোবদ্ধভাবে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও ক্ষুধানীতিরই অংশ।’

তারা অভিযোগ করে, ইসরাইলের মূল উদ্দেশ্য হলো—মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ধ্বংস করে দেওয়া এবং বেসামরিক জনগণের কাছে ত্রাণ না পৌঁছাতে দেওয়া।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গাজায় স্বাস্থ্য, খাদ্য ও সেবা খাতের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রয়োজন।

এমন অবস্থার জন্য ইসরাইল এবং তাদের সহযোগী দেশগুলোকে ‘সম্পূর্ণ দায়ী’ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে সীমান্ত পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে খুলে দিতে হবে যাতে ত্রাণ যথাযথভাবে প্রবেশ করতে পারে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও অনাহারে অন্তত ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯১ জন শিশু।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ইসরাইল পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজার সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, যার ফলে শিশুখাদ্য, ওষুধ এবং ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রীর প্রবেশও বন্ধ হয়ে আছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক

গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

গত মাসের শেষদিকে ইসরাইল ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই লুটপাটের শিকার হয়েছে।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, ইসরাইলই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই এটি করছে। ইসরাইলের এ কৌশল ‘গাজায় কাঠামোবদ্ধভাবে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও ক্ষুধানীতিরই অংশ।’

তারা অভিযোগ করে, ইসরাইলের মূল উদ্দেশ্য হলো—মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ধ্বংস করে দেওয়া এবং বেসামরিক জনগণের কাছে ত্রাণ না পৌঁছাতে দেওয়া।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গাজায় স্বাস্থ্য, খাদ্য ও সেবা খাতের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রয়োজন।

এমন অবস্থার জন্য ইসরাইল এবং তাদের সহযোগী দেশগুলোকে ‘সম্পূর্ণ দায়ী’ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে সীমান্ত পয়েন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে খুলে দিতে হবে যাতে ত্রাণ যথাযথভাবে প্রবেশ করতে পারে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও অনাহারে অন্তত ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯১ জন শিশু।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ইসরাইল পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজার সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, যার ফলে শিশুখাদ্য, ওষুধ এবং ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রীর প্রবেশও বন্ধ হয়ে আছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি