ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিংয়ের রড কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩২ জন পড়েছেন
বগুড়ার ধুনটে মানাস নদীর ওপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মীয়মাণ পাইলিং থেকে রড খুলে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে ঠিকাদারের লোকজন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ ছাড়া কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। সঠিক নজরদারির মাধ্যমে কাজের মান ঠিক রেখে, এই সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার গোসাইবাড়ী সাতমাথা-জোড়শিমুল সড়কের মানাস নদীর কুটির ঘাট এলাকায় নির্মীয়মাণ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৭ দশমিক ৩১ মিটার। সেতুটি ১২৮টি পাইলিংয়ের ওপর নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এর নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছেন ইথেন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

গত ১২ মার্চ ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ ১৯ মার্চ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২৮টি পাইলিংয়ের মধ্যে ১০০টির কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ২৮টির কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিটি পাইলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার, যার পুরো অংশই মাটির নিচে স্থাপন করার কথা।স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান হোসেন, নিয়ামত আলী ও স্বাধীনসহ আরো অনেকে অভিযোগ করেন, মাটির নিচে পাইলিংয়ের পুরো অংশ না ঢুকিয়ে ১০ থেকে ১২ মিটার অংশ ঢুকানো হচ্ছে। আর পাইলিংয়ের ওপরের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে রড বের করে তা স্থানীয়দের কাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়ানির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসেন বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে সেতু নির্মাণকাজে জড়িতারা কিছুটা অনিয়ম করেছে।

কিন্ত আর কোনো প্রাকার অনিয়ম হবে না।’ তবে এ বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন তিনি।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিংয়ের রড কাটা কিংবা বাজারে বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কাজ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিংয়ের রড কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার ধুনটে মানাস নদীর ওপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মীয়মাণ পাইলিং থেকে রড খুলে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে ঠিকাদারের লোকজন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ ছাড়া কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। সঠিক নজরদারির মাধ্যমে কাজের মান ঠিক রেখে, এই সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার গোসাইবাড়ী সাতমাথা-জোড়শিমুল সড়কের মানাস নদীর কুটির ঘাট এলাকায় নির্মীয়মাণ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৭ দশমিক ৩১ মিটার। সেতুটি ১২৮টি পাইলিংয়ের ওপর নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এর নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছেন ইথেন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

গত ১২ মার্চ ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ ১৯ মার্চ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২৮টি পাইলিংয়ের মধ্যে ১০০টির কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি ২৮টির কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিটি পাইলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার, যার পুরো অংশই মাটির নিচে স্থাপন করার কথা।স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান হোসেন, নিয়ামত আলী ও স্বাধীনসহ আরো অনেকে অভিযোগ করেন, মাটির নিচে পাইলিংয়ের পুরো অংশ না ঢুকিয়ে ১০ থেকে ১২ মিটার অংশ ঢুকানো হচ্ছে। আর পাইলিংয়ের ওপরের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে রড বের করে তা স্থানীয়দের কাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়ানির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসেন বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে সেতু নির্মাণকাজে জড়িতারা কিছুটা অনিয়ম করেছে।

কিন্ত আর কোনো প্রাকার অনিয়ম হবে না।’ তবে এ বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন তিনি।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মীয়মাণ সেতুর পাইলিংয়ের রড কাটা কিংবা বাজারে বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কাজ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’