আমাদের এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে: আবিদুল

- আপডেট সময় : ০৭:০৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৬ জন পড়েছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখনই কোনো কেন্দ্রে গিয়েছি, আমাদের বারবার এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের সময় নষ্ট করানো হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আবিদুল অভিযোগ করে বলেন, ‘রোকেয়া হলের এক মেয়ে হলের ভোট কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ভাই আমাদের যে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়েছে তাতে আগে থেকে সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের নামে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। এটা শুধু রোকেয়া হলের ক্ষেত্রে হয়নি। এমন ঘটনা অমর একুশে হলের ভোট কেন্দ্রেও হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সুতরাং দুইটা কেন্দ্রে যেহেতু প্রমাণ পেয়েছি সেহেতু অন্য জায়গায়ও হতে পারে। আমরা জানি না কত ব্যালটে এমন করা হয়েছে, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি এখনো।’
ভোট গণনার ক্ষেত্রে কোনই কারসাজি হলে তা প্রতিহতের ডাক দিয়ে এই ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘ব্যালট নম্বর বিতরণ করায় এক ছাত্রীর ছাত্রত্ব কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে আছি। ভোট গণণার সময় কারসাজি করার চেষ্টা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে।’
প্রসঙ্গত, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। এখন ফলাফলের অপেক্ষা। আটটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ ভোটের ব্যালট গণনা করা হবে ১৪টি মেশিনে। এগুলোর কোনোটির স্ক্যানিং স্পিড- ঘণ্টায় ৫০০০, কোনোটির ৮০০০ পাতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন থেকে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন পদে ৬২ জন ছাত্রী রয়েছেন। আর প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন।