ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজেমেরীর ওসমানের কিশোরগ্যাং লিডার ইভন খুন আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, যে নির্দেশনা দিল সরকার দ্রুতই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের মিছিল: ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ সরকারের পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন দেখছেন প্রেসসচিব কিভাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে জাপান ‘আ.লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা কলকাতায় আরাম-আয়েশে ছিল’ হাটহাজারী মাদরাসায় হামলার ঘটনায় খেলাফত মজলিসের নিন্দা স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও একটি দেশের এমন বেহাল অবস্থা পৃথিবীর কোথাও নেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পৃথিবীর কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না : শফিকুল আলম

আজেমেরীর ওসমানের কিশোরগ্যাং লিডার ইভন খুন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৭৩ জন পড়েছেন

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

‎নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর ও সুগন্ধা এলাকার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভন বাহিনী প্রধান ইভন খুন হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরেই পরিকল্পিত ভাবে ইসদাইর এলাকার আপন তিন ভাই সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল, সফিকুল ও বাবু মিলে কুপিয়ে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভনকে  হত্যা করে।

‎রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিকল্পিত ভাবে ৩ ভাই নাহিয়ান আজম ইভন’কে ইসদাইর পৌর ওসমানী মাঠের সামনে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে আহত ইভন’কে স্থানীয়’রা উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জানা গেছে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষণনের কারনে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে ইভন।

‎জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে ইসদাইর বাজারের পাশে পাগলা সাইফুলের মাদক স্পটে ইভন হামলা দিয়ে নগদ টাকা ও মাদক নিয়ে যায়। সে সময় পাগলা সাইফুল ইভনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে আপন ভাই সফিকুলকে সাথে নিয়ে ইভনের বাড়ি অর্থাৎ ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় গিয়ে ইভনের উপর হামলা চালায়।

 

সে সময় ইভনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও ইভনের স্বজন দুই ভাইকে আটকে উল্টো হামলা চালায়। সে ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছিলো সাইফুলের পরিবার। কয়েক মাস পর সে ঘটনা স্থানীয় ভাবে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে মিমাংসাও করেন দু’পক্ষ। পরিবার ও বিভিন্ন সূত্র বলাছে, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকে পরিকল্পিত ভাবে ইভনকে হত্যার উদ্দেশ্য করে কুপিয়ে জখম করে ৩ ভায়ের বাহিনী। পরে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইভন।

‎ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানায়, ঘটনাটি আমি শুনেছি ঢাকা থেকে খবর এসেছে ইভন মারা গেছে। তবে এই ঘটনা ঘটার কারন এখন পর্যন্ত স্পট নয় তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানা যাবে।

‎কে ছিলো এই ইভন?
‎ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আতংকের এক নাম ছিলো কিশোর গ্যাং লিডার ইভন। ইসদাইর এলাকার আজম বাবু ওরফে জামাই বাবুর ছেলে সন্ত্রাসী ইভন গড়ে তুলেছিলো বিশাল কিশোরগ্যাং। ইভনের রয়েছে বিভিন্ন মহল্লায় অর্ধশতাধিক কিশোরগ্যাং। এসব কিশোরগ্যাং বিভিন্ন নামে বেনামে, একেক পাড়া মহল্লা শাসন করে। এমন কোনো অপরাধ কর্মকান্ড নেই নেই যা ইভন ও তার বাহিনী করেনি।

‎মাদক, ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, খুনসহ নিরহ মানুষদের ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা আদায় যেনো তার নিত্যদিনের রুপ নিয়েছে। তুচ্ছ কারণে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া এরপর বাহিনী দ্বারা ডেকে এনে মারধর করা নিত্য ব্যাপার। এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে পিটিয়ে কিংবা কুপিয়ে হত্যা মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে এরা। ইভন ও তার বাহিনীর কাছে অস্ত্র থাকায় ভয়ে মুখ খুলে না কেউ।

‎জানাগেছে, কিশোর বয়স থেকেই নেশার সাথে জড়িয়ে পড়ে ইভন। তখন থেকেই নেশার টাকা জোগাতে নিরহ মানুষদের মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয় ইভন ও তার বাহিনী। ইতিমধ্যেই হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার জেল খাটা আসামী সে।

‎গত ৪ ডিসেম্বর ইয়াবাসহ কিশোর গ্যাং লিডার ইভন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে সে মামলা থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবার শুরু করে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। এর আগে ২০১৩ সালে পূর্ব ইসদাইর জনতা টেক্সটাইল মিলের সামনে প্রকাশ্যে জনগনের সামনে কিশোর ফুটবলার রাসেলকে হত্যা করে ইভন ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
‎হত্যার নেপথ্যে কারণ ছিলো আধিপত্যবিস্তার ও বড় ভাই ছোট ভাই নিয়ে। এই হত্যার পর থেকেই তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একে একে ঘটিয়ে যাচ্ছে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

‎অপর এক সূত্রে জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারী মাসে ফতুল্লার ইসদাইর লেপ তোষক বিক্রেতা কামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুটে নেয় ইভন ও তার সহযোগীরা। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী কামাল ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে উল্টো তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যায় ইভন বাহিনী।

‎এছাড়াও স্থানীয় স্কুল ছাত্র ফারদিনকে অমানুষিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতে আহত করে দুই ঘন্টা তার টর্চার সেলে ফেলে রাখে ইভন বাহিনী, কোন মতে প্রানে বেঁচে যায় ফারদিন।

‎এছাড়াও, বছর খানেক আগে ইভন এক মেয়েকে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করে পরে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে ইভনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ইভনের বাবা আজম বাবু ওরফে জামাই বাবু থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে (ইভন) ছাড়িয়ে নিয়ে আসে এবং পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে।

‎মাদকের টাকা জোগাতে ব্ল্যাকমেইলিং করতে ও ছাড়েনা তারা। সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইউরোপ প্রবাসী এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে সন্ত্রাসী ইভন বাহিনী। অভিযোগ রয়েছে তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের।

‎গত ২৫ মে চাঁদা না দেওয়ায় ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার এখলাছ মন্ডলের ছেলে রুবেলকে কুপিয়ে আহত করে ইভন ও তার বাহিনী। পরে রুবেল ওইদিনই ফতুল্লায় থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

‎ইভনের মৃত্যুর সংবাদে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আজেমেরীর ওসমানের কিশোরগ্যাং লিডার ইভন খুন

আপডেট সময় : ১২:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‎নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর ও সুগন্ধা এলাকার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভন বাহিনী প্রধান ইভন খুন হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরেই পরিকল্পিত ভাবে ইসদাইর এলাকার আপন তিন ভাই সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল, সফিকুল ও বাবু মিলে কুপিয়ে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভনকে  হত্যা করে।

‎রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিকল্পিত ভাবে ৩ ভাই নাহিয়ান আজম ইভন’কে ইসদাইর পৌর ওসমানী মাঠের সামনে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে আহত ইভন’কে স্থানীয়’রা উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জানা গেছে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষণনের কারনে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে ইভন।

‎জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে ইসদাইর বাজারের পাশে পাগলা সাইফুলের মাদক স্পটে ইভন হামলা দিয়ে নগদ টাকা ও মাদক নিয়ে যায়। সে সময় পাগলা সাইফুল ইভনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে আপন ভাই সফিকুলকে সাথে নিয়ে ইভনের বাড়ি অর্থাৎ ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় গিয়ে ইভনের উপর হামলা চালায়।

 

সে সময় ইভনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও ইভনের স্বজন দুই ভাইকে আটকে উল্টো হামলা চালায়। সে ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছিলো সাইফুলের পরিবার। কয়েক মাস পর সে ঘটনা স্থানীয় ভাবে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে মিমাংসাও করেন দু’পক্ষ। পরিবার ও বিভিন্ন সূত্র বলাছে, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকে পরিকল্পিত ভাবে ইভনকে হত্যার উদ্দেশ্য করে কুপিয়ে জখম করে ৩ ভায়ের বাহিনী। পরে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইভন।

‎ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানায়, ঘটনাটি আমি শুনেছি ঢাকা থেকে খবর এসেছে ইভন মারা গেছে। তবে এই ঘটনা ঘটার কারন এখন পর্যন্ত স্পট নয় তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানা যাবে।

‎কে ছিলো এই ইভন?
‎ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আতংকের এক নাম ছিলো কিশোর গ্যাং লিডার ইভন। ইসদাইর এলাকার আজম বাবু ওরফে জামাই বাবুর ছেলে সন্ত্রাসী ইভন গড়ে তুলেছিলো বিশাল কিশোরগ্যাং। ইভনের রয়েছে বিভিন্ন মহল্লায় অর্ধশতাধিক কিশোরগ্যাং। এসব কিশোরগ্যাং বিভিন্ন নামে বেনামে, একেক পাড়া মহল্লা শাসন করে। এমন কোনো অপরাধ কর্মকান্ড নেই নেই যা ইভন ও তার বাহিনী করেনি।

‎মাদক, ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, খুনসহ নিরহ মানুষদের ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা আদায় যেনো তার নিত্যদিনের রুপ নিয়েছে। তুচ্ছ কারণে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া এরপর বাহিনী দ্বারা ডেকে এনে মারধর করা নিত্য ব্যাপার। এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে পিটিয়ে কিংবা কুপিয়ে হত্যা মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে এরা। ইভন ও তার বাহিনীর কাছে অস্ত্র থাকায় ভয়ে মুখ খুলে না কেউ।

‎জানাগেছে, কিশোর বয়স থেকেই নেশার সাথে জড়িয়ে পড়ে ইভন। তখন থেকেই নেশার টাকা জোগাতে নিরহ মানুষদের মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয় ইভন ও তার বাহিনী। ইতিমধ্যেই হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার জেল খাটা আসামী সে।

‎গত ৪ ডিসেম্বর ইয়াবাসহ কিশোর গ্যাং লিডার ইভন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে সে মামলা থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবার শুরু করে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। এর আগে ২০১৩ সালে পূর্ব ইসদাইর জনতা টেক্সটাইল মিলের সামনে প্রকাশ্যে জনগনের সামনে কিশোর ফুটবলার রাসেলকে হত্যা করে ইভন ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
‎হত্যার নেপথ্যে কারণ ছিলো আধিপত্যবিস্তার ও বড় ভাই ছোট ভাই নিয়ে। এই হত্যার পর থেকেই তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একে একে ঘটিয়ে যাচ্ছে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

‎অপর এক সূত্রে জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারী মাসে ফতুল্লার ইসদাইর লেপ তোষক বিক্রেতা কামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকাসহ ক্যাশ বাক্স লুটে নেয় ইভন ও তার সহযোগীরা। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী কামাল ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে উল্টো তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যায় ইভন বাহিনী।

‎এছাড়াও স্থানীয় স্কুল ছাত্র ফারদিনকে অমানুষিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতে আহত করে দুই ঘন্টা তার টর্চার সেলে ফেলে রাখে ইভন বাহিনী, কোন মতে প্রানে বেঁচে যায় ফারদিন।

‎এছাড়াও, বছর খানেক আগে ইভন এক মেয়েকে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করে পরে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে ইভনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ইভনের বাবা আজম বাবু ওরফে জামাই বাবু থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে (ইভন) ছাড়িয়ে নিয়ে আসে এবং পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে।

‎মাদকের টাকা জোগাতে ব্ল্যাকমেইলিং করতে ও ছাড়েনা তারা। সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইউরোপ প্রবাসী এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে সন্ত্রাসী ইভন বাহিনী। অভিযোগ রয়েছে তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের।

‎গত ২৫ মে চাঁদা না দেওয়ায় ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার এখলাছ মন্ডলের ছেলে রুবেলকে কুপিয়ে আহত করে ইভন ও তার বাহিনী। পরে রুবেল ওইদিনই ফতুল্লায় থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

‎ইভনের মৃত্যুর সংবাদে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা।