নেপালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২০ জন পড়েছেন
কাঠমান্ডুতে চলমান সহিংস বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) রাজধানীর দল্লু এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খনালের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে তার স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার প্রাণ হারান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া অবস্থায় গুরুতর দগ্ধ হন তিনি। পরে কির্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
বিক্ষোভকারীরা শুধু খনালের বাড়ি নয়, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ও অন্য শীর্ষ নেতাদের বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। নিজ বাসভবন পুড়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন অলি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ তৈরি করতে’ তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পৌডেলকে (৬৫) রাজধানীর রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা তাড়া করে ধরে লাথি ও ঘুষি মেরে নির্যাতন করছে। এ দৃশ্য আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে
প্রথমে ফেসবুক, এক্স (টুইটার) ও ইউটিউবসহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম সরকার বন্ধ করে দিলে তরুণ প্রজন্ম ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই জেন জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ সোমবার রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়, যখন পুলিশ গুলি চালিয়ে অন্তত ১৯ জনকে হত্যা করে। এতে ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে।
যদিও মঙ্গলবার সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তারপরও আন্দোলন থামেনি। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন ও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করে। রাজধানীর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সেনা হেলিকপ্টারে মন্ত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত হলেও পুলিশের গুলিতে তরুণদের মৃত্যুই আন্দোলনকে তীব্র আকার দেয়। এখন বিক্ষোভের মূল দাবি দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক অভিজাতদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
নেপাল চীন ও ভারতের মাঝে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক দেশ। চলমান অস্থিরতা শুধু দেশটির ভেতর নয়, আঞ্চলিক পর্যায়েও উদ্বেগ তৈরি করছে।