ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজেমেরীর ওসমানের কিশোরগ্যাং লিডার ইভন খুন আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, যে নির্দেশনা দিল সরকার দ্রুতই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের মিছিল: ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ সরকারের পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন দেখছেন প্রেসসচিব কিভাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে জাপান ‘আ.লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা কলকাতায় আরাম-আয়েশে ছিল’ হাটহাজারী মাদরাসায় হামলার ঘটনায় খেলাফত মজলিসের নিন্দা স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও একটি দেশের এমন বেহাল অবস্থা পৃথিবীর কোথাও নেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পৃথিবীর কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না : শফিকুল আলম

রাজনীতির ওপরে সবকিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে : খালেদ মুহিউদ্দীন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ জন পড়েছেন
সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেছেন, রাজনীতির ওপরে সবকিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে। একটা সরকার পড়ে গেছে সরকারি চাকরিতে কোটার জন্য। আন্দোলনটা এটলিস্ট সেই কারণেই শুরু হয়েছিল। কৃষকদের আন্দোলনের জন্য অনেক দেশে সরকার পড়ে গেছে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্য পড়ে গেছে। সুতরাং রাজনীতি এত বড় একটা ব্যাপার যে প্রতিটা জিনিসই ওকে কোনো না কোনভাবে আঘাত করে। কোন না কোনভাবে পিঞ্চ করে বা প্রভাব করে।সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যে প্রভাবটা কোন কোন সময় সে প্রভাবটা হচ্ছে সরল রৈখিক। একদিকে ১০ বাড়ালে ১০ প্রভাব পড়লো, অনেক সময় এটা উল্টা। মুক্ত গণমাধ্যম বলতে, সরকারের প্রভাব বলতে আমি বুঝি সরকার বা প্রভাবশালী কেউ যদি কোনো রিপোর্টে, কোনো কথায় বিরক্ত না হয় তাইলে বুঝে নিবেন আপনি ভুল পথে আছেন। কিন্তু সতর্কতা হলো আজাইরা গুজব, হ্যান ত্যান বলবেন না।

আপনাকে বলতে হবে আপনার জায়গাটা ঠিক রেখে।তিনি বলেন, যা কিছু এডিটেড না তাকে জার্নালিজম মনে করি না। আমি জার্নালিজম প্রায় ৩৩ বছর পড়ি, পড়াই— করি, করাই। তা যা কিছুই হইতে পারে। জার্নালিজমের চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে।

জার্নালিজমের চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ কিছু হতে পারে। অনেক বেশি কিছু হতে পারে। কিন্তু জার্নালিজম না। আমার হিসাব হচ্ছে সরল।খালেদ বলেন, মানুষ প্রচলিত একটা কথা এখন খুব বলে যে, আমরা  গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারায় ফেলছি। সেই আস্থাটা আমরা কোথায় হারায়ছি আসলে? আমরা আস্থাটা গণমাধ্যমের ওপর হারাইছি কারণ— আমরা দেখছি গণমাধ্যম তার মত করে তার স্টাইলে এজেন্ডা সেট করে। অনেক ক্ষেত্রে সে তার বিনিয়োগকারী অথবা সে যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী অথবা তার যে বিজ্ঞাপনদাতা তাদের হয়ে কথা বলে। কথাটা আরেকজন মানুষের কাছে গিলাইতে চায়। একটা অডিয়েন্সের কাছে গিলাইতে চায় সত্য বলে তার এজেন্ডাটাকে। যখন মানুষ দেখছে যে না আমাকে তো ওর কথাগুলো গিলাইতে চায় যদিও সেটা সত্য না। সে এটাকে অন্যভাবে প্যাকেজ করে সুতরাং আমি তাকে আর বিশ্বাস করি না।

খালেদ আরো বলেন, বিশ্বাস না করতে গিয়ে সে হচ্ছ এমন কিছু লোকের ওপর বিশ্বাস করা শুরু করল যে লোক তার জানাটাকে বুস্ট করে। গণমাধ্যমের প্রতি সাধারণ একজন ভোক্তার এখন আর ফ্যাক্ট দরকার নাই। তার দরকার হচ্ছে বায়াস। মনে করেন আমি সাদা দলের সাপোর্টার। আমি খালি খুঁজবো কে সাদা দলের হয়ে কথা বলে। কে সাদা দলের হয়ে খুব জোরে কালো দলকে একটা গালি দিতে পারে। এমনভাবে দেয় মনে হয় যে স্ক্রিন ফুইরা বাইর হয়ে চলে আসতেছে। ওইটা যে করতে পারে আমি হচ্ছে সেই গণমাধ্যমরে আপন ভাবি।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজনীতির ওপরে সবকিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে : খালেদ মুহিউদ্দীন

আপডেট সময় : ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেছেন, রাজনীতির ওপরে সবকিছুরই মারাত্মক প্রভাব আছে। একটা সরকার পড়ে গেছে সরকারি চাকরিতে কোটার জন্য। আন্দোলনটা এটলিস্ট সেই কারণেই শুরু হয়েছিল। কৃষকদের আন্দোলনের জন্য অনেক দেশে সরকার পড়ে গেছে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্য পড়ে গেছে। সুতরাং রাজনীতি এত বড় একটা ব্যাপার যে প্রতিটা জিনিসই ওকে কোনো না কোনভাবে আঘাত করে। কোন না কোনভাবে পিঞ্চ করে বা প্রভাব করে।সম্প্রতি বেসরকারি এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যে প্রভাবটা কোন কোন সময় সে প্রভাবটা হচ্ছে সরল রৈখিক। একদিকে ১০ বাড়ালে ১০ প্রভাব পড়লো, অনেক সময় এটা উল্টা। মুক্ত গণমাধ্যম বলতে, সরকারের প্রভাব বলতে আমি বুঝি সরকার বা প্রভাবশালী কেউ যদি কোনো রিপোর্টে, কোনো কথায় বিরক্ত না হয় তাইলে বুঝে নিবেন আপনি ভুল পথে আছেন। কিন্তু সতর্কতা হলো আজাইরা গুজব, হ্যান ত্যান বলবেন না।

আপনাকে বলতে হবে আপনার জায়গাটা ঠিক রেখে।তিনি বলেন, যা কিছু এডিটেড না তাকে জার্নালিজম মনে করি না। আমি জার্নালিজম প্রায় ৩৩ বছর পড়ি, পড়াই— করি, করাই। তা যা কিছুই হইতে পারে। জার্নালিজমের চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে।

জার্নালিজমের চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ কিছু হতে পারে। অনেক বেশি কিছু হতে পারে। কিন্তু জার্নালিজম না। আমার হিসাব হচ্ছে সরল।খালেদ বলেন, মানুষ প্রচলিত একটা কথা এখন খুব বলে যে, আমরা  গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারায় ফেলছি। সেই আস্থাটা আমরা কোথায় হারায়ছি আসলে? আমরা আস্থাটা গণমাধ্যমের ওপর হারাইছি কারণ— আমরা দেখছি গণমাধ্যম তার মত করে তার স্টাইলে এজেন্ডা সেট করে। অনেক ক্ষেত্রে সে তার বিনিয়োগকারী অথবা সে যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী অথবা তার যে বিজ্ঞাপনদাতা তাদের হয়ে কথা বলে। কথাটা আরেকজন মানুষের কাছে গিলাইতে চায়। একটা অডিয়েন্সের কাছে গিলাইতে চায় সত্য বলে তার এজেন্ডাটাকে। যখন মানুষ দেখছে যে না আমাকে তো ওর কথাগুলো গিলাইতে চায় যদিও সেটা সত্য না। সে এটাকে অন্যভাবে প্যাকেজ করে সুতরাং আমি তাকে আর বিশ্বাস করি না।

খালেদ আরো বলেন, বিশ্বাস না করতে গিয়ে সে হচ্ছ এমন কিছু লোকের ওপর বিশ্বাস করা শুরু করল যে লোক তার জানাটাকে বুস্ট করে। গণমাধ্যমের প্রতি সাধারণ একজন ভোক্তার এখন আর ফ্যাক্ট দরকার নাই। তার দরকার হচ্ছে বায়াস। মনে করেন আমি সাদা দলের সাপোর্টার। আমি খালি খুঁজবো কে সাদা দলের হয়ে কথা বলে। কে সাদা দলের হয়ে খুব জোরে কালো দলকে একটা গালি দিতে পারে। এমনভাবে দেয় মনে হয় যে স্ক্রিন ফুইরা বাইর হয়ে চলে আসতেছে। ওইটা যে করতে পারে আমি হচ্ছে সেই গণমাধ্যমরে আপন ভাবি।