চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, মসজিদ-মাদরাসা ও দ্বিনি প্রতিষ্ঠানসমূহে আঘাত করা মানে দেশের মুসলমানদের ঈমানি আবেগকে আহত করা। এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা নয়, বরং জাতির আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত।
আজ রবিবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সমন্বয়ক হাসান জুনাইদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাটহাজারী মাদরাসা শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা, ঐতিহ্য ও আন্দোলনের অগ্রণী কেন্দ্র। বিগত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিটি অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ মাদরাসার অবদান সর্বজনবিদিত। এমন একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানে ন্যক্কারজনক হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় শতাধিক ছাত্র আহত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
তারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, এই হামলাকারীদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তাদের কার্যকলাপ ছিল পরিকল্পিত উসকানি ছাড়া কিছুই নয়। এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা নয়, বরং জাতির আত্মপরিচয়ের ওপর আঘাত।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের জোর দাবি—অবিলম্বে হামলাকারী এবং অনলাইন-অফলাইনে হামলার উস্কানিদাতাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা বা আক্রমণের সাহস না পায়।
তাঁরা আহত ছাত্রদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একই সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আহ্বান জানান, যেন তারা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানান, বিভেদ সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন এবং শান্তি-সৌহার্দ্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন।
তাঁরা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, হাটহাজারী মাদরাসার ঐতিহ্য ও ত্যাগ কখনো ব্যর্থ হবে না। হামলাকারীরা যেখান থেকেই আসুক না কেন, তারা যেন সঠিক পথে ফিরে আসে—সেটিই হবে জাতির জন্য কল্যাণকর।