নারী ফুটবলে আরেকটি ইতিহাসের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৬:৫১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫ জন পড়েছেন
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আর মাত্র এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। লাওসে চলমান এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার।
এই ম্যাচে জয় নয়, এমনকি ড্র করলেই প্রথমবারের মতো মূলপর্বে জায়গা করে ইতিহাস গড়বে লাল-সবুজের তরুণীরা।
তবে হারলেও আশা শেষ হয়ে যাবে না। অন্য গ্রুপগুলোর রানার্সআপদের মধ্যে অন্যতম সেরা হলে এখনো সুযোগ থাকবে মূলপর্বে ওঠার। তবু পিটার বাটলারের শিষ্যদের লক্ষ্য স্পষ্ট—পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি ভাগ্য নিশ্চিত করা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা চোখে পড়ার মতো। গত মাসে মিয়ানমারে সিনিয়র নারী দলের ঐতিহাসিক জয় এখনো টাটকা স্মৃতিতে। শক্তিশালী স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল তারা। এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলও চাইছে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে।
তবে প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ কোরিয়া, লড়াইটা যে সহজ হবে না তা ভালো করেই জানেন প্রধান কোচ বাটলার। তার মতে, এএফসির মঞ্চ সাফ টুর্নামেন্টের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ফলাফল যাই হোক, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে তরুণীদের জন্য বড় এক শেখার সুযোগ।
ম্যাচের আগের দিন শনিবার বাটলার খেলোয়াড়দের চাপমুক্ত রাখতে মাঠের অনুশীলন না করিয়ে রাখেন রিকভারি সেশন। খেলোয়াড়রা অংশ নেন হালকা স্ট্রেচিং, জিম ও পুল সেশনে। যারা এখনো ম্যাচ টাইম পাননি, তাদের জন্য ছিল আলাদা প্রশিক্ষণ। শেষে দলীয় বৈঠকে শেষ মুহূর্তের নির্দেশনা দেন কোচ।
সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার অনন্যা জানিয়েছেন, খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে প্রস্তুত এবং আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘দুটি ম্যাচেই আমরা ভালো খেলেছি। দক্ষিণ কোরিয়া শক্তিশালী হলেও আমরা আশাবাদী যে ভালো কিছু করতে পারব। দেশবাসীর দোয়া ও সমর্থন আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। ’
গ্রুপে এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচে তিমুর লেস্তেকে উড়িয়ে দিয়েছে ৮-০ গোলে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষের ম্যাচটি শুধু আরেকটি জয় নয়—বরং দেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়ে উঠতে পারে।