ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন

৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ১৯ জন পড়েছেন

স্বৈরতন্ত্রের শিকড় উপড়ে ফেলার প্রত্যয়ে ৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।মঙ্গলবার দলটির নিয়মিত বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ইউনুস আহমদ বলেন, ২৪ এর জুলাই আমাদের ইতিহাসের অম্লান এক স্মৃতি। একই সঙ্গে বেদনা ও প্রতিজ্ঞার উপলক্ষ্য। স্বাধীন দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ে এতগুলো মানুষ যাদের অধিকাংশই তরুণ মারা যাওয়া আমাদের জন্য বেদনা ও কষ্টের অনুভূতি তৈরি করে। এই কষ্ট ও বেদনার নীল আরও গাঢ় হয়ে আসে যখন তাদের আত্মহুতির এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন না করার বাস্তবতা সামনে আসে। জুলাইয়ে এই সূচনাকালে বেদনার্ত হৃদয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাদের শাহাদাতের লক্ষ্য সংস্কার ও বিচার বাস্তবায়ন করার প্রতিজ্ঞা করছি।

ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, জুলাইয়ের চেতনা ছিল দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করা। সেই চেতনাকে জনমনে স্থায়ী করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৩৬ দিনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিসমূহ হলো-

১. স্বৈরাচারের ১৫ বছরের অপরাধের খতিয়ান ও তা প্রতিরোধে ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম দেশব্যাপী তুলে ধরে স্বৈরাচারের স্মৃতির প্রতি ঘৃণা অব্যাহত রাখা।

২. শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া, হাদিয়া ও সম্মাননা দেওয়া।

৩. শহীদদের কবর জিয়ারত করা ও দোয়ার আয়োজন করা।

৪. ৫ আগস্ট সারা দেশে আওয়ামী নিপীড়নের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা এবং বিভাগীয় শহরে গণমিছিল আয়োজন করা।

৫. ২৫ জুলাই ঢাকায় যুব জমায়েত।

৬. ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ‘ভয় নাই-প্রতিবাদেই মুক্তি’ শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল।

৭. জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ।

৮. আগামী ১ আগস্ট জেলা, থানা শহরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও গণমিছিল।

এছাড়াও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন নিজস্ব আয়োজনে ৩৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।

আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন উত্তম: চরমোনাই পির
ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন উত্তম: চরমোনাই পির
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব দেশবাসীর সহায়তা ও সমর্থন কামনা করেন এবং জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সমর্থন ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, এবিএম জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজী শেখ মুহাম্মাদ নুর উন নাবী, মাওলানা মনসুর আহমদ সাকী প্রমুখ।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন

৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় : ০১:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

স্বৈরতন্ত্রের শিকড় উপড়ে ফেলার প্রত্যয়ে ৩৬ দিনের ‘চেতনায় জুলাই’ কর্মসূচি পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।মঙ্গলবার দলটির নিয়মিত বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ইউনুস আহমদ বলেন, ২৪ এর জুলাই আমাদের ইতিহাসের অম্লান এক স্মৃতি। একই সঙ্গে বেদনা ও প্রতিজ্ঞার উপলক্ষ্য। স্বাধীন দেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ে এতগুলো মানুষ যাদের অধিকাংশই তরুণ মারা যাওয়া আমাদের জন্য বেদনা ও কষ্টের অনুভূতি তৈরি করে। এই কষ্ট ও বেদনার নীল আরও গাঢ় হয়ে আসে যখন তাদের আত্মহুতির এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন না করার বাস্তবতা সামনে আসে। জুলাইয়ে এই সূচনাকালে বেদনার্ত হৃদয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাদের শাহাদাতের লক্ষ্য সংস্কার ও বিচার বাস্তবায়ন করার প্রতিজ্ঞা করছি।

ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, জুলাইয়ের চেতনা ছিল দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করা। সেই চেতনাকে জনমনে স্থায়ী করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৩৬ দিনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিসমূহ হলো-

১. স্বৈরাচারের ১৫ বছরের অপরাধের খতিয়ান ও তা প্রতিরোধে ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রম দেশব্যাপী তুলে ধরে স্বৈরাচারের স্মৃতির প্রতি ঘৃণা অব্যাহত রাখা।

২. শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া, হাদিয়া ও সম্মাননা দেওয়া।

৩. শহীদদের কবর জিয়ারত করা ও দোয়ার আয়োজন করা।

৪. ৫ আগস্ট সারা দেশে আওয়ামী নিপীড়নের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা এবং বিভাগীয় শহরে গণমিছিল আয়োজন করা।

৫. ২৫ জুলাই ঢাকায় যুব জমায়েত।

৬. ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ‘ভয় নাই-প্রতিবাদেই মুক্তি’ শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল।

৭. জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ।

৮. আগামী ১ আগস্ট জেলা, থানা শহরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও গণমিছিল।

এছাড়াও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন নিজস্ব আয়োজনে ৩৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।

আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন উত্তম: চরমোনাই পির
ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন উত্তম: চরমোনাই পির
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব দেশবাসীর সহায়তা ও সমর্থন কামনা করেন এবং জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সমর্থন ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, এবিএম জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজী শেখ মুহাম্মাদ নুর উন নাবী, মাওলানা মনসুর আহমদ সাকী প্রমুখ।