নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জেনোসাইড হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ডা. শফিকুর
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৬ জন পড়েছেন
র্বাচনের দিন গণভোট হলে ভয়াবহ ঝুঁকি দেখা দিতে পারে: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি হয়নি। এই পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব রাজনৈতিক শক্তিরই, আর এর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তার মতে, নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল হলে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের চকবাজার প্যারেড মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,
“নির্বাচনের দিন গণভোটের আয়োজন আমরা চাই না। কারণ এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে গণহত্যার মতো ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।”
হেলিকপ্টারযোগে প্যারেড মাঠে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি আকবর শাহ থানার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বড় মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। পরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। রাত ১০টায় বিমানে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত আমির বলেন,
“জনগণের স্বার্থে পিআর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জরুরি। আমরা ক্ষমতায় গেলেও এ পদ্ধতি কার্যকর করার অঙ্গীকার করছি।”
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আপাতত সম্ভব নয়; তাই অবাস্তব কোনো দাবি উত্থাপন করতে চান না।
“আমি জামায়াতের বিজয় চাই না, জনগণের বিজয় চাই। নির্বাচনের দিন গণভোট হলে পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত দিকে যেতে পারে,”—যোগ করেন তিনি।
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়েও দেশ প্রত্যাশিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মতো সম্পদসমৃদ্ধ অঞ্চল থেকেও দেশের সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পায়নি। দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং সৎ নেতৃত্বের অভাবকে তিনি এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন।
“২০২৪ সালের সম্ভাবনাকে আমরা আর হারাতে চাই না,”—বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান নিয়েই তারা এগোতে চান। তিনি বলেন,
“দেশের মালিক জনগণ। কোনো পরিবার বা দলের হাতে দেশের রাজনীতি বন্ধক রাখতে চাই না।”
শিক্ষা সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, তাদের অগ্রাধিকার থাকবে দুর্নীতি দমন এবং শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক সমাজ গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিয়ে মন্তব্য করতে আগ্রহী নন জানিয়ে তিনি বলেন,
“আমাদের সামনে এত ইতিবাচক কর্মসূচি রয়েছে যে কাউকে খোঁচানোর বা খোঁচার জবাব দেওয়ার সময় নেই।”

























