ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে শহীদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়: তারেক রহমান পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার: নৌ উপদেষ্টা চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা হতাশ: নুর মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিলেন নাহিদ বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবি নাহিদ ইসলামের প্যারিসে রেড অ্যালার্ট জারি
পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আরএমপির

পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আরএমপির

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • / ২ জন পড়েছেন

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি। তবে এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। আরএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, গত আগস্টের আন্দোলন, সহিংসতা, সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন থানা ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ধকল কাটিয়ে পুলিশ ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা।

একদিকে ক্ষয়ক্ষতির ধকল, অন্যদিকে সাহসিকতা ও পুনর্গঠনের স্বাক্ষর- এই দ্বৈত চ্যালেঞ্জ নিয়ে মঙ্গলবার ৩৪ বছরে পা দিল রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ। ১৯৯২ সালের ১ জুলাই রাজশাহীর চারটি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ।

এদিকে দিনের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে নগরীর কাজীহাটায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে সদর দপ্তর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও মোটর শোভাযাত্রা বের হয়। র‌্যালি ও শোভাযাত্রা সদর দপ্তর সংলগ্ন কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় সদর দপ্তরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কাটা হয় কেক। পরে আরএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম উদ্দিন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফজলুল হক, সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল ব্যারিষ্টার জিল্লুর রহমান, র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাসুদ পারভেজ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আকতার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ৫ আগষ্ট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রম ডিসপ্লেতে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আরএমপির উপ-কমিশনারের (সদর) দায়িত্বে নিয়োজিত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনস হলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

সভাপতির বক্তব্যে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ১৯৯২ সালের ১ জুলাই মাত্র চারটি থানা নিয়ে গঠিত রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বর্তমান থানার সংখ্যা ১২টি। আরএমপি বর্তমানে ৪৭২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নাগরিক সেবা দিচ্ছে। আরএমপির মোট অনুমোদিত জনবল ৩ হাজার ৪১৪ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে গত মে পর্যন্ত আরএমপির ১২ থানায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬২৫টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৫ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন।

এদিকে গত জুলাই আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন পরবর্তী সহিংসতায় আরএমপি এলাকায় মোট ২৯টি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় নামীয় আসামির সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৫ জন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার মামলাগুলোতে এজাহার নামীয় গ্রেফতার আসামির সংখ্যা ২২৪ জন ও সন্দেহজনক গ্রেফতারের সংখ্যা ২৫৪ জন।

আলোচনায় আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিটে পরিণত হয়েছে। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরএমপির সকল স্তরের কর্মকর্তা পুলিশ সদস্য ও কর্মচারিরা নিরলসভাবে সেবা প্রদান করছেন। পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া পৃথক এক বার্তায় আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে জনগণের নিরাপত্তা বিধান আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। গত বছরটি আমাদের জন্য একটি কঠিন অগ্নিপরীক্ষার বছর ছিল। আগস্টের নজিরবিহীন সহিংসতায় আমরা আমাদের অবকাঠামো ও মনোবল- উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু আমি বিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে বলছি, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে বের হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আরএমপির ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি প্রধান স্থাপনা এখন সম্পূর্ণ, পোড়া যানবাহনের বড় একটি অংশ আবার সচল হয়েছে। লুট হওয়া ১৬৪টি অস্ত্রের মধ্যে ১৪৭টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীর দৃঢ়তার প্রমাণ।

তিনি আরও বলেন, “লুট হওয়া বাকি ১৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, প্রতিটি অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে। জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। এই সংকটকালীন সময়েও আমাদের অপরাধ দমন অভিযান থেমে থাকেনি।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, আলোচিত সব মামলার আসামি গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার এবং নাগরিক সেবা, বিশেষ করে হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় জনগণের সহযোগিতা আমাদের মূল শক্তি। নগরবাসীর আস্থা নিয়েই আমরা একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত রাজশাহী গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আরএমপি এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সকল চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আরএমপির

পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আরএমপির

আপডেট সময় : ০৫:১১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি। তবে এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। আরএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, গত আগস্টের আন্দোলন, সহিংসতা, সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন থানা ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ধকল কাটিয়ে পুলিশ ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা।

একদিকে ক্ষয়ক্ষতির ধকল, অন্যদিকে সাহসিকতা ও পুনর্গঠনের স্বাক্ষর- এই দ্বৈত চ্যালেঞ্জ নিয়ে মঙ্গলবার ৩৪ বছরে পা দিল রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ। ১৯৯২ সালের ১ জুলাই রাজশাহীর চারটি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ।

এদিকে দিনের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে নগরীর কাজীহাটায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে সদর দপ্তর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও মোটর শোভাযাত্রা বের হয়। র‌্যালি ও শোভাযাত্রা সদর দপ্তর সংলগ্ন কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় সদর দপ্তরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কাটা হয় কেক। পরে আরএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যদের মধ্যে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম উদ্দিন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফজলুল হক, সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল ব্যারিষ্টার জিল্লুর রহমান, র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাসুদ পারভেজ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আকতার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ৫ আগষ্ট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রম ডিসপ্লেতে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আরএমপির উপ-কমিশনারের (সদর) দায়িত্বে নিয়োজিত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনস হলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

সভাপতির বক্তব্যে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ১৯৯২ সালের ১ জুলাই মাত্র চারটি থানা নিয়ে গঠিত রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বর্তমান থানার সংখ্যা ১২টি। আরএমপি বর্তমানে ৪৭২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নাগরিক সেবা দিচ্ছে। আরএমপির মোট অনুমোদিত জনবল ৩ হাজার ৪১৪ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে গত মে পর্যন্ত আরএমপির ১২ থানায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬২৫টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৫ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন।

এদিকে গত জুলাই আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন পরবর্তী সহিংসতায় আরএমপি এলাকায় মোট ২৯টি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় নামীয় আসামির সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৫ জন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার মামলাগুলোতে এজাহার নামীয় গ্রেফতার আসামির সংখ্যা ২২৪ জন ও সন্দেহজনক গ্রেফতারের সংখ্যা ২৫৪ জন।

আলোচনায় আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিটে পরিণত হয়েছে। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরএমপির সকল স্তরের কর্মকর্তা পুলিশ সদস্য ও কর্মচারিরা নিরলসভাবে সেবা প্রদান করছেন। পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া পৃথক এক বার্তায় আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, পোড়া ক্ষতকে শক্তিতে রূপান্তর করে জনগণের নিরাপত্তা বিধান আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। গত বছরটি আমাদের জন্য একটি কঠিন অগ্নিপরীক্ষার বছর ছিল। আগস্টের নজিরবিহীন সহিংসতায় আমরা আমাদের অবকাঠামো ও মনোবল- উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু আমি বিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে বলছি, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে বের হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আরএমপির ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি প্রধান স্থাপনা এখন সম্পূর্ণ, পোড়া যানবাহনের বড় একটি অংশ আবার সচল হয়েছে। লুট হওয়া ১৬৪টি অস্ত্রের মধ্যে ১৪৭টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীর দৃঢ়তার প্রমাণ।

তিনি আরও বলেন, “লুট হওয়া বাকি ১৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, প্রতিটি অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে। জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। এই সংকটকালীন সময়েও আমাদের অপরাধ দমন অভিযান থেমে থাকেনি।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, আলোচিত সব মামলার আসামি গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার এবং নাগরিক সেবা, বিশেষ করে হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় জনগণের সহযোগিতা আমাদের মূল শক্তি। নগরবাসীর আস্থা নিয়েই আমরা একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত রাজশাহী গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আরএমপি এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সকল চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।