বন্দরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ৩৭ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকায় অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস মিয়া (৬০) ও মেহেদী (৩৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও সাতজন। শনিবার (২১ জুন) রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো এলাকা।সংঘর্ষের পর রাতে ও রবিবার সকাল পর্যন্ত র্যাব-১১ ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে উভয় পক্ষের মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হলেন—নান্নু খলিফার ছেলে মো. শান্ত (২৫), আলম চাঁনের ছেলে মো. রবিন (২৮), মো. সেলিমের ছেলে মো. সোহেল (৩০), মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. কবির (৩৫), এবং কবির হোসেনের ছেলে মো. ফাহিম (২২)। এদের সবাই হাফেজী বাগ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপ ও রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাবু-মেহেদী পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ সদস্য পারভেজের বাবা কুদ্দুস মিয়াকে লক্ষ্য করে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠের সামনে মেহেদী ও তার সহযোগীরা হেঁটে যাওয়ার সময় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মেহেদী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে পিটুনি ও ছুরিকাঘাত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই দুই হত্যাকা-ের পর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। মোতায়েন করা হয় র্যাব-১১, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সেনাবাহিনী ও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হাফেজীবাগসহ আশপাশের এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে এবং চলছে নজরদারি।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, “অধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে কুদ্দুস ও মেহেদী নিহত হয়েছেন। লাশ দু’টি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উভয় পক্ষের পক্ষ থেকেই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”স্থানীয়রা জানান, হাফেজীবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী বাবু-মেহেদী গ্রুপ এবং মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার বলয় বিস্তারকে ঘিরেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।