ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ৪০ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে কবলে পড়েছে দেড় শতাধিক শিল্প কারখানাগুলো। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বন্ধের হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা।
তিন মাস যাবৎ গ্যাস সংকট থাকায় চরম বিপাকে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো। কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) এবং ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং কারখানা পরিদর্শনের আসেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর চেয়ারম্যান মোঃ রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ।
এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসে গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরের জন্য কাজ করছি।
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআই এ নেমে আসায় কারখানা রানিং রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমান ত্রিশ শতাংশে নেমে এসেছে। কেবল গ্যাসের অভাবে অনেক বায়ারের অর্ডার নিতে পারছি না। যে কয়টা অর্ডার রয়েছে লোকসান হলেও বায়ারদের সঠিক সময়ে পন্য সরবরাহের জন্য তিনগুন বেশি ব্যয়ে কারখানায় বর্তমানে গ্যাসের বদলে তুষ-চালিত বয়লার ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, যদি স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ থাকতো তাহলে প্রতি বছরে মিথিলা গ্রুপই প্রায় একশ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। এসময় কারখানার মালিকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান।
তিতাসের এমডির কাছে গ্যাসের অস্বাভাবিক উঠানামা বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিতাসের এমডি।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, সারাদেশেই গ্যাসের সাপ্লাই কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সাপ্লাই হচ্ছে আড়াইহাজার উপজেলা হচ্ছে সর্বশেষ প্রান্ত। ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য কাজ করছে।
এ সময় পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ, মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল খান, পরিচালক কায়েস খান, মাহবুব খান হিমেল পেট্টোবাংলা ও তিতাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আড়াইহাজারে গ্যাস সংকটে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তীব্র গ্যাস সংকটে কবলে পড়েছে দেড় শতাধিক শিল্প কারখানাগুলো। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বন্ধের হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা।
তিন মাস যাবৎ গ্যাস সংকট থাকায় চরম বিপাকে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো। কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) এবং ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং কারখানা পরিদর্শনের আসেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর চেয়ারম্যান মোঃ রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ।
এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ দেখতে এসে গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এই সংকট উত্তরের জন্য কাজ করছি।
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআই এ নেমে আসায় কারখানা রানিং রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমান ত্রিশ শতাংশে নেমে এসেছে। কেবল গ্যাসের অভাবে অনেক বায়ারের অর্ডার নিতে পারছি না। যে কয়টা অর্ডার রয়েছে লোকসান হলেও বায়ারদের সঠিক সময়ে পন্য সরবরাহের জন্য তিনগুন বেশি ব্যয়ে কারখানায় বর্তমানে গ্যাসের বদলে তুষ-চালিত বয়লার ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, যদি স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ থাকতো তাহলে প্রতি বছরে মিথিলা গ্রুপই প্রায় একশ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত। এসময় কারখানার মালিকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান।
তিতাসের এমডির কাছে গ্যাসের অস্বাভাবিক উঠানামা বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিতাসের এমডি।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান, সারাদেশেই গ্যাসের সাপ্লাই কম। অন্যদিকে যেখান থেকে গ্যাস সাপ্লাই হচ্ছে আড়াইহাজার উপজেলা হচ্ছে সর্বশেষ প্রান্ত। ফলে অন্য মিল কারখানাগুলো গ্যাস টানার পরে আড়াইহাজার এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য কাজ করছে।
এ সময় পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ, মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল খান, পরিচালক কায়েস খান, মাহবুব খান হিমেল পেট্টোবাংলা ও তিতাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।