অবৈধ ভাবে দখলে রেখে অফিস বানিয়েছেন শাহেন শাহ
অবৈধ ভাবে দখলে রেখে অফিস বানিয়েছেন শাহেন শাহ

- আপডেট সময় : ০৩:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪২ জন পড়েছেন
সোজাসাপটা রিপোর্ট
কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের প্রায় ১০ মাসেও কার্যালয় ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহেন শাহ আহম্মেদ। বন্দর থানা বিএনপির এই প্রতাপশালী সভাপতি প্রভাব খাটিয়ে কার্যালয়টি অবৈধ ভাবে দখলে রেখে দলীয় ও ব্যক্তিগত কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্পোরেশনের কর্মী এবং সেবাগ্রহীতাদের।
জানা গেছে, নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্দরের আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কের (সাবেক সোনাইবিবি রোড) সোনাকান্দা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব মার্কেটে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয় গড়ে তোলা হয়। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় রয়েছে প্রায় ৭০০ স্কয়ার ফুটের বড় একটি কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষ। তৃতীয় তলার কক্ষটি এখন ব্যক্তিগত ও দলীয় অফিস হিসাবে ব্যবহার করছেন শাহেন শাহ। দোতলার কক্ষগুলোতেও প্রায়ই তাঁর দলীয় কার্যক্রমের ব্যানার-ফেস্টুনের মতো জিনিসপত্র রাখা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সচিব নুর কুতুবুল আলম সাবেক কাউন্সিলর শাহেন শাহ আহম্মেদকে তাঁর দখলে থাকা কার্যালয়টি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেন। এর পরও তিনি দখল ছাড়েননি।
এ ব্যাপারে থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শাহেন শাহ বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের কাছে লিখিত আবেদন করেছি তিন মাস সময় দেওয়ার জন্য। কারণ, নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির কোনো দলীয় কার্যালয় নেই। মহানগর বিএনপির নেতারা এখানে এসে বসেন। তাই সিটি করপোরেশনের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, নোটিশ দেওয়ার পরও সাবেক কাউন্সিলর কার্যালটির দখল ছাড়েননি। তাঁকে আরেকবার নোটিশ দেওয়া হবে। এর পরও কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ের সোনাকান্দা, দড়িসোনাকান্দা, মাহমুদনগর, বেপারিপাড়া, ফরাজিকান্দা, হাজীপুরসহ বেশ কয়েটি এলাকা নিয়ে গঠিত ২০ নম্বর ওয়ার্ড। জনসংখ্যা ৩০ হাজার ৪৮৪ জন। সাবেক কাউন্সিলর কার্যালয় দখল করে রাখায় দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। নানা কাজে সেবা নিতে আসা লোকজনও বসার জায়গা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলরদের অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ, রাশেদ মিয়া ও আবুল মিয়াসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ১০ মাস আগে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের পদ থেকে অপসারণ করেছে সরকার। কিন্তু কাউন্সিলর শাহেন শাহ তাঁর কার্যালয় না ছেড়ে সেখানে প্রতিদিন বিচার, সালিশসহ ব্যক্তিগত ও দলীয় কার্যক্রম, মিটিং, কর্মিসভা পরিচালনা করছেন।