ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করছে: ফয়জুল করিম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯ জন পড়েছেন

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন। বিএনপি দাবি করে যে তাদের ৯০ শতাংশ ভোট আছে, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে তাদের আসন ২৭০ ছাড়িয়ে যাবে এবং তারা সহজেই সরকার গঠন করতে পারবে।

এতে করে কোনো কোয়ালিশন বা দুর্বল সরকার গঠনের ঝুঁকি থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে’ অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যদি সরকার এই দাবিতে গড়িমসি করে, তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে তাদের দাবি আদায় করবে। অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য ক্ষমতায় আসেনি। তাদের তিনটি প্রধান দায়িত্ব রয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। সংস্কার ও বিচার ছাড়া শুধু নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হলে কোনো দলের একক আধিপত্য থাকবে না এবং জনগণের ভোট নষ্ট হবে না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এই পদ্ধতির পক্ষে। এই পদ্ধতিতে সব দলের, সব মতের এবং সব ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিরা সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে রাস্তায় আন্দোলন বা বিশৃঙ্খলা করার প্রয়োজন হবে না, বরং আলোচনা ও সমস্যার সমাধান হবে সংসদেই। এর ফলে সংসদ আরও বেশি শক্তিশালী ও প্রতিনিধিত্বশীল হবে।

ফয়জুল করিম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি পিআর পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে গণভোটের আয়োজন করা হোক। জনগণ যদি এই পদ্ধতি চায়, তাহলে সরকারকে তা মেনে নিতে হবে। অন্যথায়, জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে বাধ্য করবে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফয়জুল করিম বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া ইসলামের সংস্কৃতির পরিপন্থী। আপনারা কি সব পরিবারকে নাস্তিক বানাতে চান? গানের শিক্ষকের বদলে ইংরেজি এবং কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দেন। বর্তমানে প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চান্স পাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাইমারি শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং সেখানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, যদি সরকার জনগণের এই দাবি না মানে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে সরকার কোনো নির্দিষ্ট দলের দিকে ঝুঁকে গেছে এবং তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আশা করি আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না, সরকার জনগণের দাবি মেনে নেবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করছে: ফয়জুল করিম

আপডেট সময় : ০৪:৪০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন। বিএনপি দাবি করে যে তাদের ৯০ শতাংশ ভোট আছে, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে তাদের আসন ২৭০ ছাড়িয়ে যাবে এবং তারা সহজেই সরকার গঠন করতে পারবে।

এতে করে কোনো কোয়ালিশন বা দুর্বল সরকার গঠনের ঝুঁকি থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে’ অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যদি সরকার এই দাবিতে গড়িমসি করে, তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে তাদের দাবি আদায় করবে। অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য ক্ষমতায় আসেনি। তাদের তিনটি প্রধান দায়িত্ব রয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। সংস্কার ও বিচার ছাড়া শুধু নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হলে কোনো দলের একক আধিপত্য থাকবে না এবং জনগণের ভোট নষ্ট হবে না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এই পদ্ধতির পক্ষে। এই পদ্ধতিতে সব দলের, সব মতের এবং সব ধর্মের মানুষের প্রতিনিধিরা সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে রাস্তায় আন্দোলন বা বিশৃঙ্খলা করার প্রয়োজন হবে না, বরং আলোচনা ও সমস্যার সমাধান হবে সংসদেই। এর ফলে সংসদ আরও বেশি শক্তিশালী ও প্রতিনিধিত্বশীল হবে।

ফয়জুল করিম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি পিআর পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে গণভোটের আয়োজন করা হোক। জনগণ যদি এই পদ্ধতি চায়, তাহলে সরকারকে তা মেনে নিতে হবে। অন্যথায়, জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে বাধ্য করবে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফয়জুল করিম বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া ইসলামের সংস্কৃতির পরিপন্থী। আপনারা কি সব পরিবারকে নাস্তিক বানাতে চান? গানের শিক্ষকের বদলে ইংরেজি এবং কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ দেন। বর্তমানে প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চান্স পাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাইমারি শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং সেখানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, যদি সরকার জনগণের এই দাবি না মানে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে সরকার কোনো নির্দিষ্ট দলের দিকে ঝুঁকে গেছে এবং তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। আশা করি আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না, সরকার জনগণের দাবি মেনে নেবে।