ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ জন পড়েছেন
যশোরের মনিরামপুরে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালক মিন্টু হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরূপ ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার সাব্বির উপজেলার হাকোবা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে।

এসআই অরূপ ঘোষ বলেন, ‘হাকোবা এলাকার ভ্যানচালক মিন্টু এবং তার দুই ভাই সেন্টু ও পিকুলকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তাদের মা আমেনা বেগম থানায় একটি মামলা করেন। সেই ঘটনায় ফারুক ও সাব্বির নামের দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হলে সাব্বির নামের অপর একজনকে প্রধান আসামি করা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে অভিযুক্ত সাব্বির ভ্যানচালক সেন্টুর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের উত্তর গেট মোড়ে সেন্টুর একটি চায়ের দোকান আছে। চাঁদা না পেলে তার দোকানটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন সাব্বির। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় দোকানে চাঁদা দাবি করলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে সাব্বির পাঁচ-ছয়জন সঙ্গী নিয়ে এসে সেন্টু, তার বড় ভাই মিন্টু এবং মেজো ভাই পিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাদের বৃদ্ধ মা-বাবাকেও মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিন্টুকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৬:১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যশোরের মনিরামপুরে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালক মিন্টু হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরূপ ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার সাব্বির উপজেলার হাকোবা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে।

এসআই অরূপ ঘোষ বলেন, ‘হাকোবা এলাকার ভ্যানচালক মিন্টু এবং তার দুই ভাই সেন্টু ও পিকুলকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তাদের মা আমেনা বেগম থানায় একটি মামলা করেন। সেই ঘটনায় ফারুক ও সাব্বির নামের দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হলে সাব্বির নামের অপর একজনকে প্রধান আসামি করা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে অভিযুক্ত সাব্বির ভ্যানচালক সেন্টুর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের উত্তর গেট মোড়ে সেন্টুর একটি চায়ের দোকান আছে। চাঁদা না পেলে তার দোকানটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন সাব্বির। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় দোকানে চাঁদা দাবি করলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে সাব্বির পাঁচ-ছয়জন সঙ্গী নিয়ে এসে সেন্টু, তার বড় ভাই মিন্টু এবং মেজো ভাই পিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাদের বৃদ্ধ মা-বাবাকেও মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিন্টুকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।