ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ জন পড়েছেন

দুবাইয়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সিআইডি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা করেছে। মামলাটি কোতয়ালী থানা, সিএমপি, চট্টগ্রামে দায়ের করা হয়েছে।

আরও দেখুন
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খবর
একাডেমিতে ভর্তি সহায়তা সেবা
ইউক্রেন সংকটের প্রভাব নিয়ে রিপোর্ট
প্রকৌশলীদের জন্য পেশাদারী বই
মঞ্চ-৭১ বই বা স্মারক
সংবাদপত্র
দৈনিক সংবাদপত্র
বাংলাদেশের রাজনীতি

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাবেক মন্ত্রী ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় ২২৬টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এসব স্থাপনা ক্রয়ের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৬৮ দিরহাম। এছাড়া তার স্ত্রী দুবাইয়ের আল বারশা সাউথ থার্ড এলাকায় দুটি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, যার মূল্য ২২ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৬৯ দিরহাম।

অভিযান ও অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুবাই ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংকে মোট চারটি হিসাব ব্যবহার করেছেন। এসব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় দিরহাম ও মার্কিন ডলারে লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১১ কোটি ২৬ লক্ষ ৬ হাজার ৭৯৫ টাকা।

পাচারকৃত অর্থ ব্যবহার করে সাবেক মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী রাস আল খাইমাহ ইকোনোমিক জোন -এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিল্ডিং ও কন্সট্রাকশন ম্যাটারিয়াল প্রোডাক্ট ব্যবসার জন্য ‘জেবা ট্রেডিন এফজেডই’ এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসার জন্য ‘র্যাপিড র্যাপ্টর এফজেডই’। এসব বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিচয়ও যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি ২০১৪ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তিনবার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও রুকমীলা জামান এবং অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে অভিযোগের সব তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত সদস্যদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতার।

সিআইডি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়, কোম্পানি নিবন্ধন এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে। এটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং দেশের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এটি একটি গুরুতর মামলা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

আপডেট সময় : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুবাইয়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সিআইডি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা করেছে। মামলাটি কোতয়ালী থানা, সিএমপি, চট্টগ্রামে দায়ের করা হয়েছে।

আরও দেখুন
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খবর
একাডেমিতে ভর্তি সহায়তা সেবা
ইউক্রেন সংকটের প্রভাব নিয়ে রিপোর্ট
প্রকৌশলীদের জন্য পেশাদারী বই
মঞ্চ-৭১ বই বা স্মারক
সংবাদপত্র
দৈনিক সংবাদপত্র
বাংলাদেশের রাজনীতি

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাবেক মন্ত্রী ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় ২২৬টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এসব স্থাপনা ক্রয়ের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৬৮ দিরহাম। এছাড়া তার স্ত্রী দুবাইয়ের আল বারশা সাউথ থার্ড এলাকায় দুটি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, যার মূল্য ২২ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৬৯ দিরহাম।

অভিযান ও অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দুবাই ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংকে মোট চারটি হিসাব ব্যবহার করেছেন। এসব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় দিরহাম ও মার্কিন ডলারে লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১১ কোটি ২৬ লক্ষ ৬ হাজার ৭৯৫ টাকা।

পাচারকৃত অর্থ ব্যবহার করে সাবেক মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী রাস আল খাইমাহ ইকোনোমিক জোন -এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিল্ডিং ও কন্সট্রাকশন ম্যাটারিয়াল প্রোডাক্ট ব্যবসার জন্য ‘জেবা ট্রেডিন এফজেডই’ এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসার জন্য ‘র্যাপিড র্যাপ্টর এফজেডই’। এসব বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিচয়ও যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি ২০১৪ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তিনবার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও রুকমীলা জামান এবং অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে অভিযোগের সব তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত সদস্যদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতার।

সিআইডি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়, কোম্পানি নিবন্ধন এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে। এটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং দেশের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এটি একটি গুরুতর মামলা।