ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‎গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ জন পড়েছেন

0-0x0-1-0-{}-0-0#




‎‘গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলা ও এর আশেপাশের এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

‎সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।” তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে নির্ধারিত বর্জ্য ফেলার স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) গড়ে তোলার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন স্থাপনের নির্দেশও দেন তিনি।

‎সভায় আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ; ওয়ার্ডভিত্তিক ডাস্টবিন স্থাপন যেখানে স্থানীয় জনগণ সহজে বর্জ্য ফেলতে পারে;
‎ইউনিয়ন পরিষদ চাইলে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

‎এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসাইন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহম্মেদ, সিটি কর্পোরেশনের উপ-সচিব নূরে কুতুবুল আলম, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা শিরিনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

‎সভায় ফতুল্লা-৩ ও ৪ নম্বর এলাকায় কাজ করা এক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলতে হচ্ছে। বাসাবাড়ি এবং দোকানপাটের পাশে ময়লার স্তূপ পরিবেশ দূষণ করছে।

‎প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, “আমরা নিজেরা যদি সচেতন হই, তাহলেই একটি সুন্দর শহর গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু অনেকে রাস্তাঘাট, ফুটপাত, এমনকি দোকানপাটের সামনেও ময়লা ফেলেন। এর ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

‎সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দোকান মালিক সমিতিকে ময়লা পরিষ্কার ও নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে। এছাড়া, শহরের সৌন্দর্য বজায় রাখতে নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।

‎সভা শেষে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন—শুধু প্রশাসনের উদ্যোগে নয়, নাগরিকদের সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নারায়ণগঞ্জ’ গড়ে তোলা সম্ভব।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‎গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ১২:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫




‎‘গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলা ও এর আশেপাশের এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

‎সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।” তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে নির্ধারিত বর্জ্য ফেলার স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) গড়ে তোলার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন স্থাপনের নির্দেশও দেন তিনি।

‎সভায় আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ; ওয়ার্ডভিত্তিক ডাস্টবিন স্থাপন যেখানে স্থানীয় জনগণ সহজে বর্জ্য ফেলতে পারে;
‎ইউনিয়ন পরিষদ চাইলে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

‎এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসাইন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহম্মেদ, সিটি কর্পোরেশনের উপ-সচিব নূরে কুতুবুল আলম, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র ঘোষ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা শিরিনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

‎সভায় ফতুল্লা-৩ ও ৪ নম্বর এলাকায় কাজ করা এক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলতে হচ্ছে। বাসাবাড়ি এবং দোকানপাটের পাশে ময়লার স্তূপ পরিবেশ দূষণ করছে।

‎প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, “আমরা নিজেরা যদি সচেতন হই, তাহলেই একটি সুন্দর শহর গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু অনেকে রাস্তাঘাট, ফুটপাত, এমনকি দোকানপাটের সামনেও ময়লা ফেলেন। এর ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

‎সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দোকান মালিক সমিতিকে ময়লা পরিষ্কার ও নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে। এছাড়া, শহরের সৌন্দর্য বজায় রাখতে নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।

‎সভা শেষে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন—শুধু প্রশাসনের উদ্যোগে নয়, নাগরিকদের সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নারায়ণগঞ্জ’ গড়ে তোলা সম্ভব।