ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বন্দরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বন্দরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৪ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী সুলতানা শান্তাকে হত্যা মামলার রায়ে আমিরুল ইসলাম বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম বাবু (৩০) সোনারগাঁ থানার বারুদী ওরলাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, ২০১৭ সালে সোনারগাঁ থানার বারুদী রিবর গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে সুলতানা আক্তার শান্তাকে (২২) আমিরুল ইসলাম বাবু পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। পরে শান্তাকে সোনারগাঁয়ের আরেকটি গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ৮ মাস সংসার করেন শান্তা।

এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে সেখান থেকে শান্তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ফের বাবু তাকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী বন্দরের রাজবাড়ী এইচএস সেন রোডে সুলতান মাহমুদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

এ বাড়িতেই বিয়ের দুই মাস পর ২৬ ডিসেম্বর রাতে ফের পারিবারিক কলহের জেরে শান্তাকে মাথায় শিলের আঘাতে হত্যা করে বাবু। এরপর শান্তার মাথায় লবণ ঘষে দেয় এবং পিঠ কেটে সেখানে লবণ দেয়। এর ৩ দিন পর সেই লাশ বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে বুঝতে পারেন শান্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আশপাশের লোকজন ও টহল পুলিশ এগিয়ে এলে বাবু পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাকে আটক করা হয়।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বন্দরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বন্দরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রী সুলতানা শান্তাকে হত্যা মামলার রায়ে আমিরুল ইসলাম বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম বাবু (৩০) সোনারগাঁ থানার বারুদী ওরলাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, ২০১৭ সালে সোনারগাঁ থানার বারুদী রিবর গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে সুলতানা আক্তার শান্তাকে (২২) আমিরুল ইসলাম বাবু পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।

পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। পরে শান্তাকে সোনারগাঁয়ের আরেকটি গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ৮ মাস সংসার করেন শান্তা।

এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে সেখান থেকে শান্তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ফের বাবু তাকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী বন্দরের রাজবাড়ী এইচএস সেন রোডে সুলতান মাহমুদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

এ বাড়িতেই বিয়ের দুই মাস পর ২৬ ডিসেম্বর রাতে ফের পারিবারিক কলহের জেরে শান্তাকে মাথায় শিলের আঘাতে হত্যা করে বাবু। এরপর শান্তার মাথায় লবণ ঘষে দেয় এবং পিঠ কেটে সেখানে লবণ দেয়। এর ৩ দিন পর সেই লাশ বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে বুঝতে পারেন শান্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আশপাশের লোকজন ও টহল পুলিশ এগিয়ে এলে বাবু পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাকে আটক করা হয়।