ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
‘অনেক আগেই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল’

‘অনেক আগেই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল’

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক আগেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নানা শান্তিচুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যার জন্য তাকে বহুবার মনোনয়ন দেওয়া হলেও এখনো তিনি এ পুরস্কার পাননি।

ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে লেভিট দাবি করেন, প্রায় প্রতি মাসেই একটা করে শান্তিচুক্তি হচ্ছে। সর্বশেষ থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত দ্বন্দ্বেও ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের ফলে দ্রুত যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়।

ট্রাম্প নিজেও দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য। জুন মাসে তিনি বলেন, ওরা শুধু উদারপন্থীদেরই (লিবারেল) এই পুরস্কার দেয় তাই আমাকে দেয় না।

সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নেতা ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ট্রাম্পকে ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য মনোনীত করেছেন।

তবে যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ট্রাম্প দাবি করেন, এই হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ ছিল যা ইরান সংঘাতের ইতি টেনেছে। তবে তার এই বক্তব্য জাপানের কর্মকর্তারা ‘নৈতিকভাবে অবিবেচক ও অপমানজনক’ বলে নিন্দা জানান।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকার কারণে কম্বোডিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীও ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছেন।

এর আগে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে অবদানের জন্য পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারে মনোনয়নের ব্যাপারটি সমর্থন জানিয়েছে। তবে ভারত এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এই আলোচনায় কোনো তৃতীয় পক্ষ ছিল না।

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে ফেলবেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেই বলেন, এই কথা ছিল ‘সার্কাজম’ এবং তিনি এখন বলছেন, ১০০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব হবে।

এদিকে জুলাইয়ে তার প্রশাসন ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্রসহ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দেয়, যা ইউরোপীয় ন্যাটো মিত্ররা অর্থায়ন করেছে। রাশিয়া এই পদক্ষেপকে উসকানিমূলক দাবি করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র শান্তির নামে যুদ্ধ আরও বাড়াচ্ছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‘অনেক আগেই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল’

‘অনেক আগেই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল’

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক আগেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নানা শান্তিচুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যার জন্য তাকে বহুবার মনোনয়ন দেওয়া হলেও এখনো তিনি এ পুরস্কার পাননি।

ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে লেভিট দাবি করেন, প্রায় প্রতি মাসেই একটা করে শান্তিচুক্তি হচ্ছে। সর্বশেষ থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত দ্বন্দ্বেও ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের ফলে দ্রুত যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়।

ট্রাম্প নিজেও দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য। জুন মাসে তিনি বলেন, ওরা শুধু উদারপন্থীদেরই (লিবারেল) এই পুরস্কার দেয় তাই আমাকে দেয় না।

সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নেতা ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ট্রাম্পকে ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য মনোনীত করেছেন।

তবে যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ট্রাম্প দাবি করেন, এই হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ ছিল যা ইরান সংঘাতের ইতি টেনেছে। তবে তার এই বক্তব্য জাপানের কর্মকর্তারা ‘নৈতিকভাবে অবিবেচক ও অপমানজনক’ বলে নিন্দা জানান।

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকার কারণে কম্বোডিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীও ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছেন।

এর আগে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে অবদানের জন্য পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারে মনোনয়নের ব্যাপারটি সমর্থন জানিয়েছে। তবে ভারত এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এই আলোচনায় কোনো তৃতীয় পক্ষ ছিল না।

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে ফেলবেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেই বলেন, এই কথা ছিল ‘সার্কাজম’ এবং তিনি এখন বলছেন, ১০০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব হবে।

এদিকে জুলাইয়ে তার প্রশাসন ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্রসহ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দেয়, যা ইউরোপীয় ন্যাটো মিত্ররা অর্থায়ন করেছে। রাশিয়া এই পদক্ষেপকে উসকানিমূলক দাবি করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র শান্তির নামে যুদ্ধ আরও বাড়াচ্ছে।