বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে সাবেক শিবির নেতার ওপর হামলার অভিযোগ
বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে সাবেক শিবির নেতার ওপর হামলার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৫:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / ৩৪ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় দোকানের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে চাষাঢ়ার বাগে জান্নাত মসজিদসংলগ্ন পৌর মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় সেখানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য শওকত হাশেম শকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা এবং অন্য কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, পৌর মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোলাম সারোয়ার সাঈদ ও আশিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মধ্যে মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সাঈদের দাবি, তিনি মামলায় জয়ী হয়েছেন এবং দোকানের বৈধ মালিক তিনিই।
এদিন দুপুরে সাঈদ বুলডোজার নিয়ে দোকানে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করলে খবর পেয়ে শওকত হাশেম শকুর কার্যালয়ে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহবুব হাসান জুলহাস ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঈদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। কিছুক্ষণের মধ্যেই শকু ও সাখাওয়াত ইসলাম রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর তাদের উপস্থিতিতে সাঈদের ওপর কিল-ঘুষি ও বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা আশিকুর রহমানের পক্ষে ছিলেন বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার গোলাম সারোয়ার সাঈদ বলেন, ‘দোকানের সম্পূর্ণ জায়গার মালিক আমি। আমি কাউকে আক্রমণ করিনি, শুধু বলেছিলাম– যার যার বৈধ কাগজপত্র আছে তা উপস্থাপন করি। আমি আইন অনুযায়ীই সবকিছু করছিলাম, কিন্তু তারা আমার ওপর যে আঘাত করেছে, তা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অন্যদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, ‘আমি জানতে পারি কেউ একজন বুলডোজার দিয়ে দোকান ভাঙছে। আমি সেখানে গিয়ে তাকে বলি—দেশে আইন আছে, সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে আইনগতভাবে কাজ করুন। জমির মালিক সিটি করপোরেশন, এবং আমিই সেই দোকান ভাড়া নিয়েছি। পাঁচদিন পর দোকান উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল, অথচ কোনো কিছু না বলেই দোকানের শাটার ভেঙে দিয়েছে।’
ঘটনার বিষয়ে শওকত হাশেম শকু বলেন, ‘সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সাঈদ আমাকে জানায়, তার জমিতে যাওয়ার রাস্তা দরকার তাই দোকানটি ভাঙা হয়েছে। আমি তাকে বলি, আপনি যদি জমির মালিক হন তাহলে আইনের মাধ্যমে দোকানের দখল নিতেন, এভাবে ভাঙচুর করা ঠিক হয়নি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’