মামুন হত্যাকান্ডে জড়িতদের বাচাঁতে অপতৎপরতা!

- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
- / ৪৬ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইন হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপষ্টোয় লিপ্ত হয়েছেন হত্যাকারীরা এমনটাই অভিযাগ নিহতের পরিবারের। তারা বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া গোলাম রাব্বানি হোসেন হৃদয় (২৫) ও মোহাম্মদ রাব্বি (২৫) এবং জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ।
মামুন হত্যা মামলায় গ্রেফতার ছয় আসামির বিজ্ঞ আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও রাব্বি ও হৃদয়ের নাম এসেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, সুপরিকল্পিতভাবে মামুন হত্যাকান্ড ভিন্নখাবে প্রবাহিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে হত্যাকারীচক্রটি। হত্যাকান্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথায় কার নির্দেশে কিভাবে সম্পন্ন হয় তার পুরোপুরি বিতরনও কিন্তু গ্রেফতার আসামীরা পুলিশ ও মহামান্য আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারপরও অপরাধ ম্বীকার করে যাওয়া আদালতে আসামীদের দেয়া সেই জবানবন্দি নিয়েও জামিনে এসে তা নিয়ে মিথ্যাচার করছে অন্যতম আসামী জুয়েল।
কয়েকদিন যাবত পুলিশ এবং আদালতে আসামী জুয়েলের জবানবন্দি দেয়াকে জোড়পুর্বক স্বাক্ষ্য নেয়া বলে দাবী করছেন তারা যা পুরোটাই মিথ্যাচার বলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। জামিনে এসে সাংবাদিকদের দেয়া সেই জবানবন্দি সর্ম্পকে নিহত মামুনের পরিবারের দাবী,সে এখন আসামীদেরকে রক্ষা করতে অনড়বরত মিথ্যাচার করছেন। কারন সে নিজেই স্বীকার করেছেন যে,মামুনকে হত্যাকান্ডের দিন ভোর থেকেই জুয়েলকে সেখানে বিচরন করতে দেখা যায়। মামুন হত্যাকান্ডের পর কোন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে কখন আসবেন এবং সেখানে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি জুয়েল নিজেই আরব আলীর কাছ থেকে নিয়ে সজীবের নিকট দিয়ে আসেন যা তিনি নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মামুন হত্যাকান্ড শেষে জুয়েল চট্রগামে নিয়ে পাহাড়ের গুহায় তাবু বেধে কয়েকদিন অবস্থান করেন এবং তাকে তিনবেলা খাবার দিয়ে আসতেন। অবস্থান ত্যাগ করতে জুয়েলকে হত্যাকারীচক্রটি ৫ হাজার টাকা দিয়ে আসলে সে বরিশাল চলে যান এবং সেখানে কয়েকদিন তরমুজের ক্ষেতে কাজ করেন। পরে জুয়েল শরিয়তপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জুয়েলকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ এবং আদালতে দেয়া জবানবন্দিকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে বলে জুয়েল যে দাবী করছেন তা পুরোটাই অপরাধীদেরকে বাচাঁতে কৌশল অবলম্বন করছেন বলে দাবী নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যদের।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন হত্যাকান্ডে দায়ের করা মামলায় ৭ আসামী বৃহস্পতিবার ১৯ জুন আদালতে আত্মসমর্পন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা উভয়পক্ষের আইনজীবিদের শুনানি শেষে আত্মসমর্পণকারী রতন হোসাইন ওরফে রাখাল রতন, শাওন হোসেন, রাকিব প্রধান, নয়ন ওরফে কিলার নয়ন, শাহ আলম, জয়নাল ও রাসেলসহ প্রত্যেককে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আদালতে ৭ আসামীর আত্মসমর্পন এবং তাদেরকে যেন জামিন দেয়া হয় সেকারনেই নাকি জুয়েলকে দিয়ে পুলিশের নামে মিথ্যাচার করে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে এমনটাই দাবী করেছেন নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন,অপরাধীদেরকে বাচাঁতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কে ফেলতেই কঠিন এ চাল চালেন মামুন হোসাইন হত্যাকান্ডের নাটেরগুরুরা।
উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে ফতুল্লার কোতালেরবাগ পাকিস্তানি খাদের সামনে রেললাইনের পাশে মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের একদিন পর নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলায় উল্লেখ করা হয়, আক্তার ও সুমনের নির্দেশে মামুনকে হত্যা করা হয়েছে।