ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেট ফেল তারা

সোজাসাপটা রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ জন পড়েছেন

বিএনপির ভেতরকার প্রবীণ রাজনীতিকদের অস্থিরতা, দৌঁড়ঝাঁপ এবং ক্ষমতার লোভ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তর আলোচনা চলছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া কয়েকজন সাবেক এমপি এখনও ধানের শীষের কান্ডারী হয়ে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তৃণমূল বিএনপি তাদের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করছে স্পষ্ট ভাষায়। বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা, দুঃসময়ে পাশে না থাকা, সুবিধাবাদী আচরণ এবং আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে তারা এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম দীর্ঘসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, জুন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে বিএনপির হয়ে বিজয়ী হয়ে তিনি নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় নানা বিতর্ক এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন রেজাউল।
১/১১ সময়কার সংস্কারপন্থী অবস্থান, দলীয় দুর্দিনে মাঠে না থাকা, নেতা-কর্মীদের বিপদের দিনগুলোতে আত্মগোপনে থাকা—এসব অভিযোগ এখনও তৃণমূল নেতাদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। সোনারগাঁয়ের পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক আড্ডা—সব জায়গায়ই একই প্রশ্ন শোনা যায়, রেজাউল করিমের আর কতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকার চেষ্টা।
স্থানীয়দের ভাষায়, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই নেতা এখন হাঁটতে গেলেও অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ছে। যে ব্যক্তি নিজের শারীরিক অবস্থাই সামলাতে পারেন না, তিনি কীভাবে জনগণের সেবা করবেন? এই প্রশ্ন এখন সোনারগাঁয়ের তৃণমূল বিএনপির সাধারণ কথা। অথচ দলের কঠিন সময়ে পাশে না থেকে এখন আবার মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নানা চক্র-ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামও একইভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। তিনি ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হলেও পরে পরপর দুটি নির্বাচনে হেরে যান। তাঁর রাজনীতির ইতিহাসে রয়েছে আকস্মিক গা-ঢাকা দেওয়া, দুঃসময়ে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ।
হাসিনা সরকারের কঠোর দমন-পীড়নের সময়ে তিনি প্রায় সতেরো বছর আড়ালে ছিলেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। যখন হাজারো বিএনপি নেতা-কর্মী মামলায় জর্জরিত হয়ে গ্রামে গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, কেউ কেউ আটক হয়ে মাসের পর মাস কারাবন্দী ছিলেন। তখন আবুল কালাম ছিলেন নিস্তব্ধ ও অদৃশ্য। নেতা-কর্মীরা বলেন, শুধু সাহায্য-সমর্থন দূরে থাক, তিনি ফোনে যোগাযোগ করতেও সাহস করেননি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই আবার প্রকাশ্যে এসে নিজেকে বিএনপির মূলধারার নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
বয়সের ভারে তিনিও এখন হাঁটাহাঁটিতে অন্যের সহায়তা নেন, তবুও মনোনয়ন পেতে দলের ভেতরে-বাইরে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপি তাকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারছে না। তারা মনে করছে, যে নেতা কঠিন সময়ে পালিয়ে ছিলেন, তাকে আর মূল্যায়ন করার কোনো জায়গা নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপিও তার প্রতি অনুকূল নয়—এমন মন্তব্য অনেক স্থানীয় নেতার।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। যুবদল থেকে শুরু করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে উঠে আসেন আঙ্গুর। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নিজ এলাকায় এখনও পরিচিত মুখ।
তবে তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বড়সড় অভিযোগ। আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি সাম্প্রতিক একটি অডিও ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আঙ্গুর ১/১১ সময় থেকেই দলের উচ্চপর্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় কথা বলতেন। তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে আঙ্গুরের মন্তব্য অত্যন্ত অশ্রাব্য ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলের ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী হিসেবে কাজ করেছেন।
তৃণমূল বিএনপির নেতারা দাবি করছেন, আঙ্গুর নামেই বিএনপি, ভেতরে ভেতরে আওয়ামী প্রভাবের অনুসারী। দুঃসময়ে তিনি কখনোই ত্যাগী কর্মীদের পাশে আসেননি। বরং সুবিধা-অসুবিধার হিসাব করে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এখন অগ্রহণযোগ্য।
নেতা-কর্মীদের যুক্তি, একটি রাজনৈতিক দলে প্রবীণদের মূল্যায়ন অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু যে প্রবীণ নেতারা দলের কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন না, যে নেতা-কর্মীরা গুম, মামলা, হামলা, কারাবন্দী অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি—তাদের প্রতি অবহেলা দেখানো লোকদের এখন ফিরিয়ে আনা হলে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে যাবে।
তাদের মতে, বিএনপির আগামীর রাজনীতি নতুন নেতৃত্ব, ত্যাগী কর্মীদের হাতেই দিতে হবে। বয়সে প্রবীণ, অসুস্থ এবং দীর্ঘদিন দলীয় কাজে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদের মনোনয়ন বা নেতৃত্বে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সার্বিকভাবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ভেতর যে অস্থিরতা, ক্ষমতার লোভ, মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও প্রবীণ নেতাদের পুনরুত্থানের চেষ্টা—এসব নিয়ে সারা জেলার তৃণমূল বিএনপিতে বিরক্তি বাড়ছে। তারা মনে করছে, এই প্রবীণদের রাজনৈতিক যাত্রা এখন অতীত হওয়াই যৌক্তিক। বিএনপিকে এগিয়ে নিতে দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন নেতৃত্ব এবং ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ডেট ফেল তারা

আপডেট সময় : ১২:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভেতরকার প্রবীণ রাজনীতিকদের অস্থিরতা, দৌঁড়ঝাঁপ এবং ক্ষমতার লোভ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তর আলোচনা চলছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া কয়েকজন সাবেক এমপি এখনও ধানের শীষের কান্ডারী হয়ে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তৃণমূল বিএনপি তাদের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করছে স্পষ্ট ভাষায়। বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা, দুঃসময়ে পাশে না থাকা, সুবিধাবাদী আচরণ এবং আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে তারা এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম দীর্ঘসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, জুন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে বিএনপির হয়ে বিজয়ী হয়ে তিনি নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় নানা বিতর্ক এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন রেজাউল।
১/১১ সময়কার সংস্কারপন্থী অবস্থান, দলীয় দুর্দিনে মাঠে না থাকা, নেতা-কর্মীদের বিপদের দিনগুলোতে আত্মগোপনে থাকা—এসব অভিযোগ এখনও তৃণমূল নেতাদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। সোনারগাঁয়ের পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক আড্ডা—সব জায়গায়ই একই প্রশ্ন শোনা যায়, রেজাউল করিমের আর কতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকার চেষ্টা।
স্থানীয়দের ভাষায়, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই নেতা এখন হাঁটতে গেলেও অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ছে। যে ব্যক্তি নিজের শারীরিক অবস্থাই সামলাতে পারেন না, তিনি কীভাবে জনগণের সেবা করবেন? এই প্রশ্ন এখন সোনারগাঁয়ের তৃণমূল বিএনপির সাধারণ কথা। অথচ দলের কঠিন সময়ে পাশে না থেকে এখন আবার মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নানা চক্র-ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামও একইভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। তিনি ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হলেও পরে পরপর দুটি নির্বাচনে হেরে যান। তাঁর রাজনীতির ইতিহাসে রয়েছে আকস্মিক গা-ঢাকা দেওয়া, দুঃসময়ে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ।
হাসিনা সরকারের কঠোর দমন-পীড়নের সময়ে তিনি প্রায় সতেরো বছর আড়ালে ছিলেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। যখন হাজারো বিএনপি নেতা-কর্মী মামলায় জর্জরিত হয়ে গ্রামে গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, কেউ কেউ আটক হয়ে মাসের পর মাস কারাবন্দী ছিলেন। তখন আবুল কালাম ছিলেন নিস্তব্ধ ও অদৃশ্য। নেতা-কর্মীরা বলেন, শুধু সাহায্য-সমর্থন দূরে থাক, তিনি ফোনে যোগাযোগ করতেও সাহস করেননি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই আবার প্রকাশ্যে এসে নিজেকে বিএনপির মূলধারার নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
বয়সের ভারে তিনিও এখন হাঁটাহাঁটিতে অন্যের সহায়তা নেন, তবুও মনোনয়ন পেতে দলের ভেতরে-বাইরে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপি তাকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারছে না। তারা মনে করছে, যে নেতা কঠিন সময়ে পালিয়ে ছিলেন, তাকে আর মূল্যায়ন করার কোনো জায়গা নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপিও তার প্রতি অনুকূল নয়—এমন মন্তব্য অনেক স্থানীয় নেতার।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। যুবদল থেকে শুরু করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে উঠে আসেন আঙ্গুর। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নিজ এলাকায় এখনও পরিচিত মুখ।
তবে তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বড়সড় অভিযোগ। আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি সাম্প্রতিক একটি অডিও ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আঙ্গুর ১/১১ সময় থেকেই দলের উচ্চপর্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় কথা বলতেন। তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে আঙ্গুরের মন্তব্য অত্যন্ত অশ্রাব্য ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলের ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী হিসেবে কাজ করেছেন।
তৃণমূল বিএনপির নেতারা দাবি করছেন, আঙ্গুর নামেই বিএনপি, ভেতরে ভেতরে আওয়ামী প্রভাবের অনুসারী। দুঃসময়ে তিনি কখনোই ত্যাগী কর্মীদের পাশে আসেননি। বরং সুবিধা-অসুবিধার হিসাব করে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এখন অগ্রহণযোগ্য।
নেতা-কর্মীদের যুক্তি, একটি রাজনৈতিক দলে প্রবীণদের মূল্যায়ন অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু যে প্রবীণ নেতারা দলের কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন না, যে নেতা-কর্মীরা গুম, মামলা, হামলা, কারাবন্দী অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি—তাদের প্রতি অবহেলা দেখানো লোকদের এখন ফিরিয়ে আনা হলে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে যাবে।
তাদের মতে, বিএনপির আগামীর রাজনীতি নতুন নেতৃত্ব, ত্যাগী কর্মীদের হাতেই দিতে হবে। বয়সে প্রবীণ, অসুস্থ এবং দীর্ঘদিন দলীয় কাজে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদের মনোনয়ন বা নেতৃত্বে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সার্বিকভাবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ভেতর যে অস্থিরতা, ক্ষমতার লোভ, মনোনয়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও প্রবীণ নেতাদের পুনরুত্থানের চেষ্টা—এসব নিয়ে সারা জেলার তৃণমূল বিএনপিতে বিরক্তি বাড়ছে। তারা মনে করছে, এই প্রবীণদের রাজনৈতিক যাত্রা এখন অতীত হওয়াই যৌক্তিক। বিএনপিকে এগিয়ে নিতে দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন নেতৃত্ব এবং ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন।