ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুনিকে জীবিত গ্রেফতার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ বছরের সবচেয়ে ছোট দিন আজ ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ পৃথিবীতে টিকে থাকা শুধু ডিগ্রি দিয়ে সম্ভব নয়- প্রয়োজন সততা: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা রাসেল গার্মেন্টসে অসন্তোষ, নেপথ্যে মাসুম বিল্লাহ শাজাহানপুরে ট্রাকের নিচে ঢুকে মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত, আহত ২ নারায়ণগঞ্জ ক্লাব পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ফের এম সোলায়মানের নিরংকুশ বিজয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইসির উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ফতুল্লায় ফেরি থেকে ট্রাকসহ পাঁচ যান ধলেশ্বরী নদীতে, নিহত ৩
সাখাওয়াত সহ তার জুনিয়রদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

কোর্টপাড়ায় ৪জনকে পিটিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৪৪ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় ইরফান মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তান সহ ৪জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে তার জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরীরা। এই ঘটনায় সাখাওয়াতকে প্রধান আসামী করে আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে ফতল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন আহত রাজিয়া সুলতানা।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় একজন নারী সহ তিনজন পুরুষকে এলোপাতারি পিটাচ্ছেন সাখাওয়াতের জুনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলামিন শাহ, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন ও মুহুরী হিরন বাদশাহ সহ আরও বেশকজন। প্রকাশ্য দিবালোকে নারীকে কিল ঘুষি মারতেও দেখা যায় সাখাওয়াতের লোকজনকে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হলে সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিবৃতি দেন।

এই ঘটনায় রবিবার বিকেলেই ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আহত ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। তিনি অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রধান আসামী করে আরও ৫জনকে আসামী করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ইসমাঈলের নিকট আমার স্বামী আনুমানিক পচিশ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। উক্ত টাকা বিগত ১ বৎসর যাবৎ বিভিন্ন টালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। এরই জের ধরে সাখাওয়াতের হুকুমে অপরাপর আসামীরা আমার বাসায় এসে প্রতিনিয়ত হামলা/হুমকি ধামকি প্রদান করে। এই নিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ২নং আদালত মামলা নং- ৯২৫/২০২৫ দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পরও তারা আমাকে রাস্তাঘাটে দেখতে পেয়ে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য মারধর করতঃ খুন-জখম করার হুমকি প্রদান করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ অক্টোবর রবিবার দুপুর অনুমান ১২টার সময় উক্ত মামলায় আমি ও আমার স্বামী মোঃ ইরফান মিয়া হাজিরা দেওয়ার জন্য ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী নতুন কোর্টে ভিতরে পৌছলে সাখাওয়াতের নির্দেশে অন্যান্য সকল আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জন আসামীরা আমাকে ও আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমরা গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সাখাওয়াত অন্যান্য সকল আসামীদের আমার স্বামীকে হত্যা করার জন্য নির্দেশ দিলে তাহারা আমাকে ও আমার স্বামীর শরীরে এবং লজ্জাস্থানে এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।

৩নং বিবাদী সহ তাহার গুন্ডা বাহিনীরা আমার চুলের মুঠি ধরে আমার পড়নের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে এবং আমার লজ্জাস্থানে স্থানে কিল, ঘুষি ও অশ্লীল ভাবে হাত দিয়া শ্লীলতা হানি ঘটায়। এসময় আমাদের চিৎকারে আমার ছেলে জিদান (১৭), আব্দুল্লা (৫) আগাইয়া আসলে বিবাদীরা তাদের গলায় চাপ দিয়া শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করতঃ এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর নীলাফোলা জখম করে।

একপর্যায়ে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামী সাখাওয়াত বলে যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় বিবাদীদের হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি বিধায় থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করলাম।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাখাওয়াত সহ তার জুনিয়রদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

কোর্টপাড়ায় ৪জনকে পিটিয়ে জখম

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় ইরফান মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তান সহ ৪জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে তার জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরীরা। এই ঘটনায় সাখাওয়াতকে প্রধান আসামী করে আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে ফতল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন আহত রাজিয়া সুলতানা।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় একজন নারী সহ তিনজন পুরুষকে এলোপাতারি পিটাচ্ছেন সাখাওয়াতের জুনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলামিন শাহ, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন ও মুহুরী হিরন বাদশাহ সহ আরও বেশকজন। প্রকাশ্য দিবালোকে নারীকে কিল ঘুষি মারতেও দেখা যায় সাখাওয়াতের লোকজনকে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হলে সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিবৃতি দেন।

এই ঘটনায় রবিবার বিকেলেই ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার আহত ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। তিনি অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রধান আসামী করে আরও ৫জনকে আসামী করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ইসমাঈলের নিকট আমার স্বামী আনুমানিক পচিশ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। উক্ত টাকা বিগত ১ বৎসর যাবৎ বিভিন্ন টালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। এরই জের ধরে সাখাওয়াতের হুকুমে অপরাপর আসামীরা আমার বাসায় এসে প্রতিনিয়ত হামলা/হুমকি ধামকি প্রদান করে। এই নিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ২নং আদালত মামলা নং- ৯২৫/২০২৫ দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পরও তারা আমাকে রাস্তাঘাটে দেখতে পেয়ে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য মারধর করতঃ খুন-জখম করার হুমকি প্রদান করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ অক্টোবর রবিবার দুপুর অনুমান ১২টার সময় উক্ত মামলায় আমি ও আমার স্বামী মোঃ ইরফান মিয়া হাজিরা দেওয়ার জন্য ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী নতুন কোর্টে ভিতরে পৌছলে সাখাওয়াতের নির্দেশে অন্যান্য সকল আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জন আসামীরা আমাকে ও আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমরা গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সাখাওয়াত অন্যান্য সকল আসামীদের আমার স্বামীকে হত্যা করার জন্য নির্দেশ দিলে তাহারা আমাকে ও আমার স্বামীর শরীরে এবং লজ্জাস্থানে এলোপাথারী ভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।

৩নং বিবাদী সহ তাহার গুন্ডা বাহিনীরা আমার চুলের মুঠি ধরে আমার পড়নের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে এবং আমার লজ্জাস্থানে স্থানে কিল, ঘুষি ও অশ্লীল ভাবে হাত দিয়া শ্লীলতা হানি ঘটায়। এসময় আমাদের চিৎকারে আমার ছেলে জিদান (১৭), আব্দুল্লা (৫) আগাইয়া আসলে বিবাদীরা তাদের গলায় চাপ দিয়া শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করতঃ এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর নীলাফোলা জখম করে।

একপর্যায়ে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামী সাখাওয়াত বলে যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় বিবাদীদের হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি বিধায় থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করলাম।