ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম

ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

‘ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু হাসিনার শাসন সমর্থনই করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরব সম্মতি দিয়েছে। তারা ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে—এই দিক থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের আধিপত্য আর মানতে রাজি নই।’

তুরস্কের গণমাধ্যম ইয়েনি সাফাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক সাদিক কায়েম। শুক্রবার গণমাধ্যমটি তার এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে।

সাদিক কায়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ভারত ও চীনের মতো বিদেশি শক্তির প্রভাব আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? ভবিষ্যতের কূটনীতি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?’

জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কিছু জুনিয়র কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সহানুভূতির ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। তারা বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। যদিও সিনিয়রদের অনেকেই আগের শাসনের সুবিধাভোগী ছিলেন, কিন্তু নতুন প্রজন্ম রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন রচনায় আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন—তাদের রাজনীতিতে স্থান নেই যতক্ষণ না তারা বিচারের মুখোমুখি হন।

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল—জার্মানির চরমপন্থি সংগঠনের মতোই তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।

চীন ও ভারত সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু হাসিনার শাসন সমর্থনই করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরব সম্মতি দিয়েছে। তারা ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে—এই দিক থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের আধিপত্য আর মানতে রাজি নই। আর চীনের সঙ্গে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই—স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে।

এই বিপ্লব কারও দয়া বা বিদেশি হস্তক্ষেপে আসেনি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি এসেছে আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগে। তাই আমাদের কারো কাছে ঋণ নেই, আমরা স্বাধীনভাবে কূটনীতি চালিয়ে যাব—যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত—সবার সঙ্গে সমানভাবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম

ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

‘ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু হাসিনার শাসন সমর্থনই করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরব সম্মতি দিয়েছে। তারা ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে—এই দিক থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের আধিপত্য আর মানতে রাজি নই।’

তুরস্কের গণমাধ্যম ইয়েনি সাফাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক সাদিক কায়েম। শুক্রবার গণমাধ্যমটি তার এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে।

সাদিক কায়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ভারত ও চীনের মতো বিদেশি শক্তির প্রভাব আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? ভবিষ্যতের কূটনীতি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?’

জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কিছু জুনিয়র কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সহানুভূতির ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। তারা বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। যদিও সিনিয়রদের অনেকেই আগের শাসনের সুবিধাভোগী ছিলেন, কিন্তু নতুন প্রজন্ম রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন রচনায় আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন—তাদের রাজনীতিতে স্থান নেই যতক্ষণ না তারা বিচারের মুখোমুখি হন।

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল—জার্মানির চরমপন্থি সংগঠনের মতোই তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।

চীন ও ভারত সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা শুধু হাসিনার শাসন সমর্থনই করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরব সম্মতি দিয়েছে। তারা ভারতের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে—এই দিক থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের আধিপত্য আর মানতে রাজি নই। আর চীনের সঙ্গে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই—স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে।

এই বিপ্লব কারও দয়া বা বিদেশি হস্তক্ষেপে আসেনি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি এসেছে আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগে। তাই আমাদের কারো কাছে ঋণ নেই, আমরা স্বাধীনভাবে কূটনীতি চালিয়ে যাব—যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত—সবার সঙ্গে সমানভাবে।