টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামীকাল ২০ অক্টোবর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এক তথ্য বিবারণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এবার ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস একযোগে পালিত হচ্ছে।পাদ্য- ‘ড্রাইভিং চেঞ্জ উইথ কোয়ালিটি স্ট্যাটিসটিক্সস এন্ড ডাটা ফর এভরিওয়ান’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।’ প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সঠিক ও মানসম্মত উপাত্ত কেবল সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-কে বিশ্বমানের সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে তা উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর, প্রযুক্তিনির্ভর ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, উপাত্তের সর্বজনীন প্রাপ্যতা ও মানসম্মত উপাত্তের ব্যবহার দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং উন্নয়নকে আরও জনমুখী করে তুলবে।’
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের সকল নীতিনির্ধারক, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, পরিকল্পনাবিদ, গবেষক, পরিসংখ্যানবিদ এবং তথ্য ব্যবহারকারীদের সম্মিলিত প্রয়াসে ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান ও উপাত্ত’ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।