ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে : ডা. সায়ন্থ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৮ জন পড়েছেন
সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ। তিনি বলেন, সরকার আগে যাই বলুক এখন তাদের অবস্থান হচ্ছে ইলেকশনটা তারা ফেব্রুয়ারিতে করতে চায়। কারণ এই লোড তারা নিতে পারছে না। তারা একটা এক্সিট মুডে চলে গেছে।

একটা এড হক টাইপ ব্যবস্থাপনা চলে আসছে। আমলা প্রশাসনও তাদেরকে এখন মানতে চায় না। তারাও নিজেরা এখন ঝুঁকি নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। এরে ক্ষেপিয়ে লাভ কি? ওরে ক্ষেপিয়ে লাভ কি? ঝুঁকি বাড়িয়ে লাভ কি? ফলে তাদের একটা যাওয়ার মুড তৈরি হয়ে গেছে।
জনগণের, আমলা প্রশাসন সবারও তাদের বিদায় দেওয়ার একটা মুড তৈরি হয়ে গেছে। ফলে সেই পরিস্থিতিতে সরকার পুরোপুরি নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে।সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অবস্থান শুরু থেকে একটা নির্বাচনের পক্ষে যে, একটা নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সরকার গঠিত হয়ে তাদের হাতে যাক।

সমস্যা কিছু আছে, থাকবে। এটা পর্যায়ক্রমে সমাধান করতে হবে। ব্যবসায়ীরা খুবই মন্দ অবস্থায় আছে। ঝুঁকির মধ্যে আছে। কর্মসংস্থান নাই, বিদেশী দেশী বিনিয়োগ নাই।
তারাও চাচ্ছে ইলেকশনটা হোক।সায়ন্থ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রত্যেকে চায় ইলেকশন হোক। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কেউ কেউ কিছু শর্ত আরোপ করছে। এই শর্তগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক কৌশল এবং তাদের যে নিজস্ব কিছু স্বার্থ আদায়ের বিভিন্ন দলের এজেন্ডা থাকে সেই হিসেবে। সেই কৌশলে তারা যদি ভালো অবস্থানে যায় তাহলে যেটা চাইতেছে সেটা আদায় হবে। আর যদি না হয়, আদায় হবে না। কিন্তু এই আদায় হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে নির্বাচন হবে না সেটা ঘটবে না। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে।

সায়ন্থ আরো বলেন,  জনগণ পিআরটা এখনো গ্রহণ করে নাই। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এখনো নিজেদেরকে ইউরোপ আমেরিকার মতো ভাবে না। তারা বাংলাদেশকে তুলনা করে কিছুটা ইন্ডিয়ার সঙ্গে, কিছুটা পাকিস্তানের সঙ্গে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, নেপালের সঙ্গে। যেটা বোঝে জিওগ্রাফিক্যালি, সোসিও-ইকোনমিক্যালি। সেখানে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা পিআর দিয়ে কোন বেনিফিট পায় নাই। না দুর্নীতি কমেছে, না স্বজনপ্রীতি কমেছে, না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়েছে। মাঝখান থেকে সরকার অস্থির হয়েছে এবং বারবার ভেঙে গেছে। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুতরাং পিআরটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে এখনো স্পষ্ট না।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে : ডা. সায়ন্থ

আপডেট সময় : ০১:৪০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ। তিনি বলেন, সরকার আগে যাই বলুক এখন তাদের অবস্থান হচ্ছে ইলেকশনটা তারা ফেব্রুয়ারিতে করতে চায়। কারণ এই লোড তারা নিতে পারছে না। তারা একটা এক্সিট মুডে চলে গেছে।

একটা এড হক টাইপ ব্যবস্থাপনা চলে আসছে। আমলা প্রশাসনও তাদেরকে এখন মানতে চায় না। তারাও নিজেরা এখন ঝুঁকি নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। এরে ক্ষেপিয়ে লাভ কি? ওরে ক্ষেপিয়ে লাভ কি? ঝুঁকি বাড়িয়ে লাভ কি? ফলে তাদের একটা যাওয়ার মুড তৈরি হয়ে গেছে।
জনগণের, আমলা প্রশাসন সবারও তাদের বিদায় দেওয়ার একটা মুড তৈরি হয়ে গেছে। ফলে সেই পরিস্থিতিতে সরকার পুরোপুরি নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়ার মুডে আছে।সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অবস্থান শুরু থেকে একটা নির্বাচনের পক্ষে যে, একটা নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সরকার গঠিত হয়ে তাদের হাতে যাক।

সমস্যা কিছু আছে, থাকবে। এটা পর্যায়ক্রমে সমাধান করতে হবে। ব্যবসায়ীরা খুবই মন্দ অবস্থায় আছে। ঝুঁকির মধ্যে আছে। কর্মসংস্থান নাই, বিদেশী দেশী বিনিয়োগ নাই।
তারাও চাচ্ছে ইলেকশনটা হোক।সায়ন্থ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রত্যেকে চায় ইলেকশন হোক। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কেউ কেউ কিছু শর্ত আরোপ করছে। এই শর্তগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক কৌশল এবং তাদের যে নিজস্ব কিছু স্বার্থ আদায়ের বিভিন্ন দলের এজেন্ডা থাকে সেই হিসেবে। সেই কৌশলে তারা যদি ভালো অবস্থানে যায় তাহলে যেটা চাইতেছে সেটা আদায় হবে। আর যদি না হয়, আদায় হবে না। কিন্তু এই আদায় হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে নির্বাচন হবে না সেটা ঘটবে না। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে।

সায়ন্থ আরো বলেন,  জনগণ পিআরটা এখনো গ্রহণ করে নাই। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এখনো নিজেদেরকে ইউরোপ আমেরিকার মতো ভাবে না। তারা বাংলাদেশকে তুলনা করে কিছুটা ইন্ডিয়ার সঙ্গে, কিছুটা পাকিস্তানের সঙ্গে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, নেপালের সঙ্গে। যেটা বোঝে জিওগ্রাফিক্যালি, সোসিও-ইকোনমিক্যালি। সেখানে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা পিআর দিয়ে কোন বেনিফিট পায় নাই। না দুর্নীতি কমেছে, না স্বজনপ্রীতি কমেছে, না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়েছে। মাঝখান থেকে সরকার অস্থির হয়েছে এবং বারবার ভেঙে গেছে। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুতরাং পিআরটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে এখনো স্পষ্ট না।