ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘরমুখো মানুষের ঢল, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে তীব্র যানজট

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৮ জন পড়েছেন
শারদীয় দুর্গাপূজার চার দিনের ছুটির কারণে রাজধানী ও আশপাশ থেকেও গ্রামে ফিরতে মানুষের চাপ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম ও ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজার দিকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন প্রায় থেমে থেমে চলেছে। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কেও বিভিন্ন অংশে ধীরগতি ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, এ সময় স্বাভাবিক অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি গাড়ি সড়কে থাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, সাধারণ সময়ে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা যেতে সাধারণত আধা ঘণ্টা লাগলেও এখন এটি ৩–৪ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর গ্রামের বাড়ি যাই; কিন্তু এ বছর যানজট এত বেশি যে কখন পৌঁছাব, বোঝার উপায় নেই।

ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে, ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার এলাকায় গাড়ির গতি অনেকাংশে ধীর হয়ে গেছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগতো, কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা দিয়েছি—নরসিংদীই পার হতে পারিনি। ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম জানালেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে, জ্বালানির খরচ বেড়েছে, মালিক ও চালকের বড় চাপ।পুলিশ জানিয়েছে, ছুটির চাপের সঙ্গে একাধিক এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার জন্য সড়কে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ জিলানী বলেন, অনেক স্থানেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বহু টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঘরমুখো মানুষের ঢল, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে তীব্র যানজট

আপডেট সময় : ০১:৩১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
শারদীয় দুর্গাপূজার চার দিনের ছুটির কারণে রাজধানী ও আশপাশ থেকেও গ্রামে ফিরতে মানুষের চাপ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম ও ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজার দিকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন প্রায় থেমে থেমে চলেছে। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কেও বিভিন্ন অংশে ধীরগতি ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, এ সময় স্বাভাবিক অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি গাড়ি সড়কে থাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, সাধারণ সময়ে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা যেতে সাধারণত আধা ঘণ্টা লাগলেও এখন এটি ৩–৪ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর গ্রামের বাড়ি যাই; কিন্তু এ বছর যানজট এত বেশি যে কখন পৌঁছাব, বোঝার উপায় নেই।

ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে, ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার এলাকায় গাড়ির গতি অনেকাংশে ধীর হয়ে গেছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগতো, কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা দিয়েছি—নরসিংদীই পার হতে পারিনি। ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম জানালেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে, জ্বালানির খরচ বেড়েছে, মালিক ও চালকের বড় চাপ।পুলিশ জানিয়েছে, ছুটির চাপের সঙ্গে একাধিক এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার জন্য সড়কে স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ জিলানী বলেন, অনেক স্থানেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বহু টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।