ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ কি ফিরছে? জানালেন রাশেদ, নাহরিন ও রাজ্জাকী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০১:২২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৫ জন পড়েছেন
বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও দলটি নিষিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় দাবি করেছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।

তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ কিংবা এখনই রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ইতিবাচক কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এরপরও তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনীতির মাঠে হঠাৎ আসা বিষয় আওয়ামী লীগ কি ফিরছে?এ বিষয়ে কথা বলেছেন এডভোকেট আবু হেমা রাজ্জাকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর নাহরিন ইসলাম খান,  এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে উপস্থিত হয়ে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা লক্ষ্য করছি যে তারা নানানভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে।

বিশেষ করে এই যে উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন আমাদের সাথে অনেকের বেশ আগে থেকেই পরিচয়। তারা একটা সময় যেটি বিভিন্ন আলাপে বলার চেষ্টা করল যে ১৬ বছর ধরে যাদেরকে বিএনপি জামাত তকমা দিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে। একযোগে যদি আমরা ফিরিয়ে আনি তাহলে এরা বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। আমরা সরকার চালাতে পারব না।
এরপরে কি করল? যারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল তাদেরকে পুনর্বাসিত করল এবং তারা বলল যে এদেরকে ভয় দেখিয়ে আমরা কাজ করাতে পারব। তার মানে কি? তার মানে শুরু থেকে এটাই সরকারের পলিসি ছিল। তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করবে। দেখেন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অনেকগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলতেন যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না? নিবে কি নিবে না? এটা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত। এরপরে যখন ছাত্রজনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করল তখন সবার চোখে ধুলা দিল।

তারা বলল যে আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টা যখন দেশের বাইরে যান, তিনি সকল গণমাধ্যমকে একই উত্তর দেন যে, ফর দা টাইমবিং ফর দা টাইমবিং এবং আজকে তিনি যে ধরনের জঘন্য বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ। তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে এই বক্তব্য এসেছে। এবং এটা নিয়ে অনেকগুলো দল তারা প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যে, প্রধান উপদেষ্টা যদি ছাত্র জনতার সঙ্গে বেইমানী করেন, তিনি আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, শুরু থেকে যেহেতু এই সরকার পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে। যে কারণে আমি আজকে বলেছি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য যেকোন একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

আমি আজকে আরো যেটি বলেছি যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি যদি মনে করেন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করবেন সেক্ষেত্রে তিনি চাইলে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে পারেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে যেকোন একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিতে পারেন। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে পরিচালনা করার জন্য, অথবা তিনি আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।

মাহফুজ আলম বক্তব্য শেষ হওয়ার আগে আমি উপস্থাপক জিল্লুর রহমান ভাইকে বললাম যে আমার একটি প্রশ্ন আছে যদি মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা বক্তব্য শেষ করে দেন তো সেক্ষেত্রে আমার এই প্রশ্নের কোনো গুরুত্ব থাকবে না। তখন তথ্য উপদেষ্টা আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, আমি তাকে বললাম যে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনাকে আমি বিব্রত করব না। আমি খুব যৌক্তিক একটি প্রশ্ন করব তখন আমি তাকে বললাম যে , আপনি যে বললেন আপনার চোখের সামনে বিএনপি, জামাত, ভিসি, ডিসি সমস্ত প্রশাসনে তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। তো জনগণের ভাগটা কোথায়? এদেশের জনগণ, ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুর্থানের মাধ্যমে আপনাদেরকে জনগণের ভাগ নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু আপনাদের চোখের সামনে বিএনপি জামাত সব ভাগ করে নিল। আর আপনি চুপ করে দেখলেন, এটা তো হইতে পারে না। এর মানে কি? এর মানে আপনি এখন আপনার সরকারের যে ব্যর্থতা এই ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্য এখন বিএনপি ও জামায়াতের উপর দায় দিচ্ছেন।

দেখেন আমি কিন্তু শুরুতে বলেছি যে এই সরকার একদম শুরু থেকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে। এবং বিভিন্ন জায়গায় গণমাধ্যমে খবর এসেছে না? যে কোন কোন উপদেষ্টার সচিব আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল, এসেছে না? আমার দেশ পত্রিকায় সিরিজ নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। এখন যদি মাহফুজ আলেম এসে বলে যে বিএনপি জামাত সব ভাগ করে নিয়েছে ওই যে আওয়ামী লীগের ১৪ সালে যারা নির্বাচন করল ডিসিএসপিরা যারা ১৮ সালে করল, যারা ২৪ সালে করল, ওই সকল আমলা কামলা ওই পুলিশ লীগের সদস্যরা কোথায় এখন? তাদের কয়জনকে পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে?

অর্থাৎ এই যে মাহফুজ আলমরা, মানুষের কিন্তু তাদের উপর অনাস্থার জায়গাটা বাড়ছে এবং তারা অনেকটা ব্যর্থ হওয়ার পথে। এই ব্যর্থতার দায় এখন বিএনপির ঘাড়ে দিয়ে তারা এখন এক ধরনের পাপ মুক্ত হতে চায়। জনগণ তো বোকা না, আমরা তো বোকা না, আমার কাছে স্পষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে যে তারা কিভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে।

দেখেন সর্বশেষ বলি, এই যে প্রধান উপদেষ্টা তিনি আমরা যখন গণঅভ্যুর্থান করেছি, তিনি আমাদের পক্ষে কয়টা বক্তব্য দিয়েছেন? আমরা ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আমাদের পাশে কতটা সময় ছিলেন? কয়টা বক্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল?

দেখেন এই যে উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন এরা কয়দিন মার খেয়েছেন? এরা এখন ভয় পাচ্ছে যে ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগ ফিরে আসে তো সেক্ষেত্রে আমাদের কি হবে। এইজন্য তারা আওয়ামী লীগের প্রতি এখন সফট কর্নার প্রকাশ করছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর নাহরিন ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ তো ছিলই ফিরছে মানেটা কি? কারণ হচ্ছে এই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কথা বলছি শুধু তো ডক্টর ইউনুসকে বললে হবে না, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন তো সবার হাত দিয়ে হচ্ছে। আমি তো দেখছি যে দেশে গত ১৭ বছর ৯৫% মানুষ আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিল তাদেরকে। আবার পুনর্বাসন কি তারা একেক রঙের রূপে থাকে তাই না? আপনি ইলেকশনগুলার কথা দেখেন, ডাকসু জাকসু তাই না? আমরা তো এগুলা চোখের সামনে দিয়ে দেখেছি। যারা ইলেকশনে জিতছেন একটা দলের নামে হ্যা ইসলামিস দল বলেন বা অনেক কিছু তারা কে? বা আমাদের আন্দোলনে যারা ছিলেন তারা আসলে কে? সবাই তো আওয়ামী লীগ।

তাহলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? আওয়ামী লীগ তো ছিল আছে এবং থাকবে। রাশেদ একটা কথা বললেন যে পুলিশের কথা না পুলিশের ডিসিতে আছেন যারা পুলিশের নাকি মনোবল ফেরত আসে না। বলেন তো পুলিশে যখন আপনি চাকরি পেতে চান বা আর্মিতে জয়েন করেন আপনাকে কত সাইকোলজিক্যাল টেস্ট এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

দেশে মানে গত ১৭ বছরের যতগুলো নিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে যদি ৪০%-ই গোপালগঞ্জের হয় এবং তারা যদি বহালতবিয়তা থাকে, সেই দেশে কি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের দরকার আছে? আওয়ামী লীগ আছে। আপনি শিক্ষক নিয়োগের কথা দেখেন। বের হয়েছে না যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মানে ১৭ বছরে কত নিয়োগ হয়েছে? জাহাঙ্গীরনগরে কত নিয়োগ হয়েছে। তাহলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হচ্ছে। আমি আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে বলছি জাহাঙ্গীরনগরে গত আট বছরে যে নিয়োগ গুলা হয়েছে তাদেরকে একটা সার্টিফিকেট দিতে হয়েছে প্রত্যায়ন পত্র। একেবারে আমি দায়িত্ব নিয়ে বললাম যে তার ফুল ফ্যামিলি আওয়ামী লীগ করেছে এ ধরনের একটা প্রত্যায়নপত্র দিয়ে তাকে চাকরির জন্য এপ্লাই করতে বলা হয়েছে, তাহলে আওয়ামী লীগ নাই কোথায়? তাদের চাকরি আছে না? সব জায়গায় আছে।

আমি জানিনা আপনি আওয়ামী লীগ কেননা আপনি জানেন না আমি আওয়ামী লীগ। আমিওতো এপ্লাই করেছিলাম জাহাঙ্গীরনগরে, আমাকে কিন্তু এরকম কোনো প্রত্যায়ণ দিতে হয়নি। কিন্তু গত সাত আট বছর এটা এবং আমি দায়িত্ব নিয়ে বললাম আমার নিজের চোখে দেখা। হ্যাঁ এইটার মধ্যে কোনো দ্বিমত নাই। তো এই যে এবং আপনাকে হয়তো ভেবেছে যে আপনি রিয়েল আওয়ামী লীগ । আর না হ্যাঁ মানে ওইগুলারও বিষয় ছিল তো আসলে, আপনিও খুব ভালো করে জানেন, তার মানে আমি বলতে চাই যে আওয়ামী লীগ ছিল, আওয়ামী লীগ আছে, আওয়ামী লীগ থাকবে।

বহুরূপে থাকবে, বর্ণচোড়া হয়ে থাকবে, এবং বহুর রূপে ফেরত আসবে এটা ডক্টর ইউনুস পুনর্বাসন করুক আর না করুক। তবে হতাশার জায়গাটা হচ্ছে সেই জায়গাটাতে যে আমাদের তো গত এক বছরে আসার জায়গাটা অন্যরকম ছিল। আমরা তো ভেবেছিলাম যে অন্য অনেক কিছু হবে। কিন্তু যখন আমি দেখি যে উপদেষ্টারাও ঠিক সেই একই পথেই হাঁটছেন। আমরা যারা আছি সবাই সেই একই পথেই হাঁটছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে মানে ডক্টর ইউনুস আবার এই বক্তব্যে একটা কথা বলেছি যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ এমনি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

তা আমরা আসলে ওই ন্যায়বিচারের আশায় আছি। কিন্তু যে জাতি যে জনপদের ভবিষ্যতই হচ্ছে, ন্যায়বিচার আশায় বসে থাকবে,  এবং প্রতিনিয়ত প্রতাারিত হবে। সেই জাতির কি হবে আমি সেটা জানি না।

এডভোকেট আবু হেমা রাজ্জাকী বলেন, একটা সরকারকে পালায়ে দিতে বাধ্য করা হইলো। যদি বলি আমরা যে আমি করি নাই সে করে নাই ও করছে ও করছে হবে না আমরা সবাই করছি ইফ ইট এ ফ্যাক্ট সে যাওয়ার পর সরকার নতুন আসল। সরকারটা ছিল কার? আমি কিন্তু বারবার বলছি অনেক টকশোতে বলছি। আওয়ামী লীগ গত ১২ বছর আওয়ামী লীগের জনগণ ছিল প্রজাতন্ত্রের ১৫-১৬ লক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারী। এরা ছিল তার জনগণ। আওয়ামী লীগের জনগণ বলতে এরা। এবং এই জন এই তার এই জনগণ এই প্রজাদনের কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে ওনরা একত্র হয়ে ওরা ছিল বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোকের জন্য ইসরাইল অর্থাৎ সরকার এবং ১৫ লক্ষ লোক ইসরাইল আর বাকি লোকগুলো ছিলাম আমরা প্যালেস্টাইন। অর্থাৎ সে যে নির্যাতন যে টর্চার করছে তাতে ইসরাইল যেভাবে প্যালেস্টাইনরে মারছে আমাদেরকে সেইভাবে টর্চার করছে।

এইবার আসেন এর যখন অর্ধেক সরায় দিলাম এই সরকারটার অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করলাম। তারপর ইনসাগত নেওয়ার পর যখন বলা হলো রাষ্ট্রপতিকে অপসরণ করা হবে। তখন তার পক্ষে যারা বলেছিল যে তাকে সরাইলে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট হবে সেখান থেকে আবার রাজনৈতিক দলের সহায়তা শুরু। এই কথাটা সাংবিধানিক সংকট কি হতো আসলে কিছুই হতো না। কিছুই কেন হবে হাসিনাও তো ছিল সাংবিধানিক সে তো সাংবিধানিক ছিল নাকি অসাংবিধানিক ছিল?

তাকে সরাইলে সমস্যা হবে না এটা এই কথাটা তখন কি হয় ওই পক্ষে যায় এবং রাষ্ট্রপতি বহল তবিয়াতে আছে উনি তো বলছে যে অলরেডি আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি তো বসে আছে এবং আওয়ামী লীগের সময় দায়িত্বশীল যাদেরকে আপনার বিভিন্ন পদে রাখছে বড় বড় পদে। তার কিছু কাস্টডিতে আছে আর সবাই বহাল তবিয়াতে আছে। এবং সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার যে হাসিনাকে পাঠায়া দিয়া যে কি বলে এয়ারক্রাফট বলে না? জাতির যে যে বাহিনীর যেটাই যাক, তারা গিয়া ওইটা নিয়ে আবার ফেরত আইসা আবার চাকরি করতেছে ভেরি সিম্পল।

দুই নম্বর আসেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার একটা কথা আসছিল। তখন দায়িত্বশীল দলরা বলছে এটা জনগণের ব্যাপার আরে হোয়াট ইজ জনগণ আপনি বলতে পারেন এইটা না পরবর্তীতে। তো সেই বক্তব্য তারা মানে সরে গেছে তারা বলেছে রাজনীতি দল নিষিদ্ধ এর পক্ষেই না তারা। সেটা তাহলে বুঝেন তাহলে এগুলো তো তার পক্ষে যায় ওই মুহূর্তে সাইলেন্ট থাকলেও তো চলতো। ইউ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড মাই পয়েন্ট যদি সাইলেন্ট থাকতাম কিছু না বইলা ছাত্র আসছিল রাষ্ট্র ঠিক আছে চুপচাপ থাকি। কিন্তু এইগুলা বলার মানে হচ্ছে যে এটা সমর্থন করা ইনডাইরেক্ট ফর্মে। এইবার আসেন খেশারতটা কোথায় কোথায় দিছি ভিসি প্রভিসি আপনি ভিসি নিয়োগ করতেছেন কেউ বলে জামাতের কেউ বলে প্রভিসি বিএনপির কিচ্ছু আসে যায়? একটা ইউনিভার্সিটি শুধু ভিসি চালায় না। প্রভিসি চালায় না। দা বস নেক্সট টু বস প্রভিসি কিন্তু এখানে তো ৫০০ লোকের রেজিস্টার বিল্ডিং এ কতজন লোক চাকরি করে ওরা কারা? আপনি এক ভিসি কি করবেন?

আপনি যখন আমাদের দেশের থেকে এইযে ফকরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আক্তার এবং এইযে তাহের সাহেব এরা যে গেলেন ইউনূস সাহেবের সাথে। সেখানে টাল্টিপাল্টিটা দেখছেন? যেই গেট থেকে বের হওয়ার কথা না সেই গেট থেকে বের হইল। তাদের গায়ে ডিম মারল এ সিম্পল প্রোটোকলে সম্ভব না। যদি আপনার এম্বাসির লোকের কাছ থেকে ইনফরমেশন লিক না হয় এবং তারা মিসগাইড না করে। তাহলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হয়ে আছে। এবং এখনো রাষ্ট্রপতি আছে, বহল তপিতে আছে। এবং যে সংবিধানটা ফালায়ে থুয়ে চইলা গেল, সেই সংবিধানে কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা নাই, কিছুই নাই। তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি না থাকে আপনি তো ওই সংবিধান চালাইতে পারতেছেন না। অথচ সবাই বলতেছে ওই সংবিধান দিয়ে এই হবে ওই সংবিধানের উর্ধে কিছু করা যাবে না।

আমি সিম্পল কমনসেন্সটা বুঝি না। যেমন ধরেন আপনি কোম্পানিতে এমডি, ডিএমডি, জিএম, এজিএম, ডিজিএম কতগুলা পদ আছে। আছে না? এর ভিতরে হঠাৎ করে যদি একজন এসে বলে আমি তো এই কম্পানির ইডি মানে এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এই পদটা নাই। কিন্তু পরে দেখা গেল যে বোর্ড অফ ডাইরেক্টররা বইসা একটা পদ ক্রিয়েট করছে।

একইভাবে আপনি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটা বানানো হইছে অন্তর্বর্তীকালীন ওই কনস্টিটিউশনে নাই। এই যে ইডি পথটা যেমন নাই, সে ওই অফিসে কাজ করবে কেমনে? যদি এই পদটাই না কেউ তো মানবে না তাকে। এখন এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটা ওটা তো ওই সংবিধানে নাই। তহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন ওই সংবিধান চালাবে কেমনে? এখন ওই সংবিধানের পক্ষে যারা জোরালো যুক্তি দিচ্ছে ওটা দিয়ে আমি বুঝি না। সুতরাং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন নানান ওয়েতে হচ্ছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ কি ফিরছে? জানালেন রাশেদ, নাহরিন ও রাজ্জাকী

আপডেট সময় : ০১:২২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও দলটি নিষিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় দাবি করেছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে।

তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ কিংবা এখনই রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ইতিবাচক কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এরপরও তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনীতির মাঠে হঠাৎ আসা বিষয় আওয়ামী লীগ কি ফিরছে?এ বিষয়ে কথা বলেছেন এডভোকেট আবু হেমা রাজ্জাকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর নাহরিন ইসলাম খান,  এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে উপস্থিত হয়ে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা লক্ষ্য করছি যে তারা নানানভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে।

বিশেষ করে এই যে উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন আমাদের সাথে অনেকের বেশ আগে থেকেই পরিচয়। তারা একটা সময় যেটি বিভিন্ন আলাপে বলার চেষ্টা করল যে ১৬ বছর ধরে যাদেরকে বিএনপি জামাত তকমা দিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে। একযোগে যদি আমরা ফিরিয়ে আনি তাহলে এরা বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। আমরা সরকার চালাতে পারব না।
এরপরে কি করল? যারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল তাদেরকে পুনর্বাসিত করল এবং তারা বলল যে এদেরকে ভয় দেখিয়ে আমরা কাজ করাতে পারব। তার মানে কি? তার মানে শুরু থেকে এটাই সরকারের পলিসি ছিল। তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করবে। দেখেন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অনেকগুলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলতেন যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না? নিবে কি নিবে না? এটা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত। এরপরে যখন ছাত্রজনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করল তখন সবার চোখে ধুলা দিল।

তারা বলল যে আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টা যখন দেশের বাইরে যান, তিনি সকল গণমাধ্যমকে একই উত্তর দেন যে, ফর দা টাইমবিং ফর দা টাইমবিং এবং আজকে তিনি যে ধরনের জঘন্য বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ। তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে এই বক্তব্য এসেছে। এবং এটা নিয়ে অনেকগুলো দল তারা প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যে, প্রধান উপদেষ্টা যদি ছাত্র জনতার সঙ্গে বেইমানী করেন, তিনি আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, শুরু থেকে যেহেতু এই সরকার পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে। যে কারণে আমি আজকে বলেছি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য যেকোন একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

আমি আজকে আরো যেটি বলেছি যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি যদি মনে করেন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করবেন সেক্ষেত্রে তিনি চাইলে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে পারেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে যেকোন একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিতে পারেন। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে পরিচালনা করার জন্য, অথবা তিনি আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।

মাহফুজ আলম বক্তব্য শেষ হওয়ার আগে আমি উপস্থাপক জিল্লুর রহমান ভাইকে বললাম যে আমার একটি প্রশ্ন আছে যদি মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা বক্তব্য শেষ করে দেন তো সেক্ষেত্রে আমার এই প্রশ্নের কোনো গুরুত্ব থাকবে না। তখন তথ্য উপদেষ্টা আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, আমি তাকে বললাম যে আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনাকে আমি বিব্রত করব না। আমি খুব যৌক্তিক একটি প্রশ্ন করব তখন আমি তাকে বললাম যে , আপনি যে বললেন আপনার চোখের সামনে বিএনপি, জামাত, ভিসি, ডিসি সমস্ত প্রশাসনে তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। তো জনগণের ভাগটা কোথায়? এদেশের জনগণ, ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুর্থানের মাধ্যমে আপনাদেরকে জনগণের ভাগ নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু আপনাদের চোখের সামনে বিএনপি জামাত সব ভাগ করে নিল। আর আপনি চুপ করে দেখলেন, এটা তো হইতে পারে না। এর মানে কি? এর মানে আপনি এখন আপনার সরকারের যে ব্যর্থতা এই ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্য এখন বিএনপি ও জামায়াতের উপর দায় দিচ্ছেন।

দেখেন আমি কিন্তু শুরুতে বলেছি যে এই সরকার একদম শুরু থেকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে। এবং বিভিন্ন জায়গায় গণমাধ্যমে খবর এসেছে না? যে কোন কোন উপদেষ্টার সচিব আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিল, এসেছে না? আমার দেশ পত্রিকায় সিরিজ নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। এখন যদি মাহফুজ আলেম এসে বলে যে বিএনপি জামাত সব ভাগ করে নিয়েছে ওই যে আওয়ামী লীগের ১৪ সালে যারা নির্বাচন করল ডিসিএসপিরা যারা ১৮ সালে করল, যারা ২৪ সালে করল, ওই সকল আমলা কামলা ওই পুলিশ লীগের সদস্যরা কোথায় এখন? তাদের কয়জনকে পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে?

অর্থাৎ এই যে মাহফুজ আলমরা, মানুষের কিন্তু তাদের উপর অনাস্থার জায়গাটা বাড়ছে এবং তারা অনেকটা ব্যর্থ হওয়ার পথে। এই ব্যর্থতার দায় এখন বিএনপির ঘাড়ে দিয়ে তারা এখন এক ধরনের পাপ মুক্ত হতে চায়। জনগণ তো বোকা না, আমরা তো বোকা না, আমার কাছে স্পষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে যে তারা কিভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে।

দেখেন সর্বশেষ বলি, এই যে প্রধান উপদেষ্টা তিনি আমরা যখন গণঅভ্যুর্থান করেছি, তিনি আমাদের পক্ষে কয়টা বক্তব্য দিয়েছেন? আমরা ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আমাদের পাশে কতটা সময় ছিলেন? কয়টা বক্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল?

দেখেন এই যে উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন এরা কয়দিন মার খেয়েছেন? এরা এখন ভয় পাচ্ছে যে ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগ ফিরে আসে তো সেক্ষেত্রে আমাদের কি হবে। এইজন্য তারা আওয়ামী লীগের প্রতি এখন সফট কর্নার প্রকাশ করছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর নাহরিন ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ তো ছিলই ফিরছে মানেটা কি? কারণ হচ্ছে এই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কথা বলছি শুধু তো ডক্টর ইউনুসকে বললে হবে না, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন তো সবার হাত দিয়ে হচ্ছে। আমি তো দেখছি যে দেশে গত ১৭ বছর ৯৫% মানুষ আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিল তাদেরকে। আবার পুনর্বাসন কি তারা একেক রঙের রূপে থাকে তাই না? আপনি ইলেকশনগুলার কথা দেখেন, ডাকসু জাকসু তাই না? আমরা তো এগুলা চোখের সামনে দিয়ে দেখেছি। যারা ইলেকশনে জিতছেন একটা দলের নামে হ্যা ইসলামিস দল বলেন বা অনেক কিছু তারা কে? বা আমাদের আন্দোলনে যারা ছিলেন তারা আসলে কে? সবাই তো আওয়ামী লীগ।

তাহলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? আওয়ামী লীগ তো ছিল আছে এবং থাকবে। রাশেদ একটা কথা বললেন যে পুলিশের কথা না পুলিশের ডিসিতে আছেন যারা পুলিশের নাকি মনোবল ফেরত আসে না। বলেন তো পুলিশে যখন আপনি চাকরি পেতে চান বা আর্মিতে জয়েন করেন আপনাকে কত সাইকোলজিক্যাল টেস্ট এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

দেশে মানে গত ১৭ বছরের যতগুলো নিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে যদি ৪০%-ই গোপালগঞ্জের হয় এবং তারা যদি বহালতবিয়তা থাকে, সেই দেশে কি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের দরকার আছে? আওয়ামী লীগ আছে। আপনি শিক্ষক নিয়োগের কথা দেখেন। বের হয়েছে না যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মানে ১৭ বছরে কত নিয়োগ হয়েছে? জাহাঙ্গীরনগরে কত নিয়োগ হয়েছে। তাহলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হচ্ছে। আমি আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে বলছি জাহাঙ্গীরনগরে গত আট বছরে যে নিয়োগ গুলা হয়েছে তাদেরকে একটা সার্টিফিকেট দিতে হয়েছে প্রত্যায়ন পত্র। একেবারে আমি দায়িত্ব নিয়ে বললাম যে তার ফুল ফ্যামিলি আওয়ামী লীগ করেছে এ ধরনের একটা প্রত্যায়নপত্র দিয়ে তাকে চাকরির জন্য এপ্লাই করতে বলা হয়েছে, তাহলে আওয়ামী লীগ নাই কোথায়? তাদের চাকরি আছে না? সব জায়গায় আছে।

আমি জানিনা আপনি আওয়ামী লীগ কেননা আপনি জানেন না আমি আওয়ামী লীগ। আমিওতো এপ্লাই করেছিলাম জাহাঙ্গীরনগরে, আমাকে কিন্তু এরকম কোনো প্রত্যায়ণ দিতে হয়নি। কিন্তু গত সাত আট বছর এটা এবং আমি দায়িত্ব নিয়ে বললাম আমার নিজের চোখে দেখা। হ্যাঁ এইটার মধ্যে কোনো দ্বিমত নাই। তো এই যে এবং আপনাকে হয়তো ভেবেছে যে আপনি রিয়েল আওয়ামী লীগ । আর না হ্যাঁ মানে ওইগুলারও বিষয় ছিল তো আসলে, আপনিও খুব ভালো করে জানেন, তার মানে আমি বলতে চাই যে আওয়ামী লীগ ছিল, আওয়ামী লীগ আছে, আওয়ামী লীগ থাকবে।

বহুরূপে থাকবে, বর্ণচোড়া হয়ে থাকবে, এবং বহুর রূপে ফেরত আসবে এটা ডক্টর ইউনুস পুনর্বাসন করুক আর না করুক। তবে হতাশার জায়গাটা হচ্ছে সেই জায়গাটাতে যে আমাদের তো গত এক বছরে আসার জায়গাটা অন্যরকম ছিল। আমরা তো ভেবেছিলাম যে অন্য অনেক কিছু হবে। কিন্তু যখন আমি দেখি যে উপদেষ্টারাও ঠিক সেই একই পথেই হাঁটছেন। আমরা যারা আছি সবাই সেই একই পথেই হাঁটছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে মানে ডক্টর ইউনুস আবার এই বক্তব্যে একটা কথা বলেছি যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ এমনি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।

তা আমরা আসলে ওই ন্যায়বিচারের আশায় আছি। কিন্তু যে জাতি যে জনপদের ভবিষ্যতই হচ্ছে, ন্যায়বিচার আশায় বসে থাকবে,  এবং প্রতিনিয়ত প্রতাারিত হবে। সেই জাতির কি হবে আমি সেটা জানি না।

এডভোকেট আবু হেমা রাজ্জাকী বলেন, একটা সরকারকে পালায়ে দিতে বাধ্য করা হইলো। যদি বলি আমরা যে আমি করি নাই সে করে নাই ও করছে ও করছে হবে না আমরা সবাই করছি ইফ ইট এ ফ্যাক্ট সে যাওয়ার পর সরকার নতুন আসল। সরকারটা ছিল কার? আমি কিন্তু বারবার বলছি অনেক টকশোতে বলছি। আওয়ামী লীগ গত ১২ বছর আওয়ামী লীগের জনগণ ছিল প্রজাতন্ত্রের ১৫-১৬ লক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারী। এরা ছিল তার জনগণ। আওয়ামী লীগের জনগণ বলতে এরা। এবং এই জন এই তার এই জনগণ এই প্রজাদনের কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে ওনরা একত্র হয়ে ওরা ছিল বাংলাদেশের ১৮ কোটি লোকের জন্য ইসরাইল অর্থাৎ সরকার এবং ১৫ লক্ষ লোক ইসরাইল আর বাকি লোকগুলো ছিলাম আমরা প্যালেস্টাইন। অর্থাৎ সে যে নির্যাতন যে টর্চার করছে তাতে ইসরাইল যেভাবে প্যালেস্টাইনরে মারছে আমাদেরকে সেইভাবে টর্চার করছে।

এইবার আসেন এর যখন অর্ধেক সরায় দিলাম এই সরকারটার অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করলাম। তারপর ইনসাগত নেওয়ার পর যখন বলা হলো রাষ্ট্রপতিকে অপসরণ করা হবে। তখন তার পক্ষে যারা বলেছিল যে তাকে সরাইলে অপসারণ করলে সাংবিধানিক সংকট হবে সেখান থেকে আবার রাজনৈতিক দলের সহায়তা শুরু। এই কথাটা সাংবিধানিক সংকট কি হতো আসলে কিছুই হতো না। কিছুই কেন হবে হাসিনাও তো ছিল সাংবিধানিক সে তো সাংবিধানিক ছিল নাকি অসাংবিধানিক ছিল?

তাকে সরাইলে সমস্যা হবে না এটা এই কথাটা তখন কি হয় ওই পক্ষে যায় এবং রাষ্ট্রপতি বহল তবিয়াতে আছে উনি তো বলছে যে অলরেডি আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি তো বসে আছে এবং আওয়ামী লীগের সময় দায়িত্বশীল যাদেরকে আপনার বিভিন্ন পদে রাখছে বড় বড় পদে। তার কিছু কাস্টডিতে আছে আর সবাই বহাল তবিয়াতে আছে। এবং সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার যে হাসিনাকে পাঠায়া দিয়া যে কি বলে এয়ারক্রাফট বলে না? জাতির যে যে বাহিনীর যেটাই যাক, তারা গিয়া ওইটা নিয়ে আবার ফেরত আইসা আবার চাকরি করতেছে ভেরি সিম্পল।

দুই নম্বর আসেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার একটা কথা আসছিল। তখন দায়িত্বশীল দলরা বলছে এটা জনগণের ব্যাপার আরে হোয়াট ইজ জনগণ আপনি বলতে পারেন এইটা না পরবর্তীতে। তো সেই বক্তব্য তারা মানে সরে গেছে তারা বলেছে রাজনীতি দল নিষিদ্ধ এর পক্ষেই না তারা। সেটা তাহলে বুঝেন তাহলে এগুলো তো তার পক্ষে যায় ওই মুহূর্তে সাইলেন্ট থাকলেও তো চলতো। ইউ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড মাই পয়েন্ট যদি সাইলেন্ট থাকতাম কিছু না বইলা ছাত্র আসছিল রাষ্ট্র ঠিক আছে চুপচাপ থাকি। কিন্তু এইগুলা বলার মানে হচ্ছে যে এটা সমর্থন করা ইনডাইরেক্ট ফর্মে। এইবার আসেন খেশারতটা কোথায় কোথায় দিছি ভিসি প্রভিসি আপনি ভিসি নিয়োগ করতেছেন কেউ বলে জামাতের কেউ বলে প্রভিসি বিএনপির কিচ্ছু আসে যায়? একটা ইউনিভার্সিটি শুধু ভিসি চালায় না। প্রভিসি চালায় না। দা বস নেক্সট টু বস প্রভিসি কিন্তু এখানে তো ৫০০ লোকের রেজিস্টার বিল্ডিং এ কতজন লোক চাকরি করে ওরা কারা? আপনি এক ভিসি কি করবেন?

আপনি যখন আমাদের দেশের থেকে এইযে ফকরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আক্তার এবং এইযে তাহের সাহেব এরা যে গেলেন ইউনূস সাহেবের সাথে। সেখানে টাল্টিপাল্টিটা দেখছেন? যেই গেট থেকে বের হওয়ার কথা না সেই গেট থেকে বের হইল। তাদের গায়ে ডিম মারল এ সিম্পল প্রোটোকলে সম্ভব না। যদি আপনার এম্বাসির লোকের কাছ থেকে ইনফরমেশন লিক না হয় এবং তারা মিসগাইড না করে। তাহলে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হয়ে আছে। এবং এখনো রাষ্ট্রপতি আছে, বহল তপিতে আছে। এবং যে সংবিধানটা ফালায়ে থুয়ে চইলা গেল, সেই সংবিধানে কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা নাই, কিছুই নাই। তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি না থাকে আপনি তো ওই সংবিধান চালাইতে পারতেছেন না। অথচ সবাই বলতেছে ওই সংবিধান দিয়ে এই হবে ওই সংবিধানের উর্ধে কিছু করা যাবে না।

আমি সিম্পল কমনসেন্সটা বুঝি না। যেমন ধরেন আপনি কোম্পানিতে এমডি, ডিএমডি, জিএম, এজিএম, ডিজিএম কতগুলা পদ আছে। আছে না? এর ভিতরে হঠাৎ করে যদি একজন এসে বলে আমি তো এই কম্পানির ইডি মানে এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এই পদটা নাই। কিন্তু পরে দেখা গেল যে বোর্ড অফ ডাইরেক্টররা বইসা একটা পদ ক্রিয়েট করছে।

একইভাবে আপনি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটা বানানো হইছে অন্তর্বর্তীকালীন ওই কনস্টিটিউশনে নাই। এই যে ইডি পথটা যেমন নাই, সে ওই অফিসে কাজ করবে কেমনে? যদি এই পদটাই না কেউ তো মানবে না তাকে। এখন এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটা ওটা তো ওই সংবিধানে নাই। তহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন ওই সংবিধান চালাবে কেমনে? এখন ওই সংবিধানের পক্ষে যারা জোরালো যুক্তি দিচ্ছে ওটা দিয়ে আমি বুঝি না। সুতরাং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন নানান ওয়েতে হচ্ছে।