ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ সালাহউদ্দিন আহমদের কৃষকের হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম: মির্জা ফখরুল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বসছে ইসি কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: তাহের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএওর যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ নিতে দেওয়া হবে না: সারজিস কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে বাবুলের বৈঠক

সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৫ জন পড়েছেন

শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর থেকে দিনদুপুরে মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বড়শি দিয়ে দেড় কেজি সাইজের ১৫ থেকে ২০টি বড় রুই মাছ ধরে আত্মীয়ের মাধ্যমে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছ চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ওবায়দুল বাশারকে অবহিত করেন।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অফিশিয়ালি চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিয়া বিনতে আফজল।

সরেজমিনে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের হেলাল ও অজ্ঞাত আরও দুইজন বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হেলাল নামে ওই ব্যক্তি বলেন- আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয়। তাই আমাকে সে মাছ ধরতে বলেছে।

অজ্ঞাতনামা অপর একজন বলেন, ইউএনও স্যার জানেন। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয় আমি। আমরা তার বাসায় মাছ দিয়েছি। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেন এসে মাছগুলো তার আত্মীয়ের কাছে দিয়ে দেন।

সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেন বলেন, দুই-তিনটা মাছ ধরছে, বেশি মাছ ধরেনি।

কার অনুমতিতে মাছ ধরেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসেন চা খাই আর আপনাকে খরচ দিয়ে দিচ্ছি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সার্ভেয়ার সাব্বির তার আত্মীয় হেলালকে দিয়ে মাছগুলো ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেন।

প্রায় ৪০ থেকে পঞ্চাশ কেজি রুই মাছ ধরে নিয়ে গেছেন সার্ভেয়ার সাব্বির। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুল বাশার এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউএনও কোনো অনুমতি দেননি।

ইউএনও সানিয়া বিনতে আফজল জানান, উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে বিনা অনুমতিতে মাছ ধরার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর থেকে দিনদুপুরে মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বড়শি দিয়ে দেড় কেজি সাইজের ১৫ থেকে ২০টি বড় রুই মাছ ধরে আত্মীয়ের মাধ্যমে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছ চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ওবায়দুল বাশারকে অবহিত করেন।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অফিশিয়ালি চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিয়া বিনতে আফজল।

সরেজমিনে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের হেলাল ও অজ্ঞাত আরও দুইজন বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হেলাল নামে ওই ব্যক্তি বলেন- আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয়। তাই আমাকে সে মাছ ধরতে বলেছে।

অজ্ঞাতনামা অপর একজন বলেন, ইউএনও স্যার জানেন। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয় আমি। আমরা তার বাসায় মাছ দিয়েছি। ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেন এসে মাছগুলো তার আত্মীয়ের কাছে দিয়ে দেন।

সার্ভেয়ার সাব্বির হোসেন বলেন, দুই-তিনটা মাছ ধরছে, বেশি মাছ ধরেনি।

কার অনুমতিতে মাছ ধরেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসেন চা খাই আর আপনাকে খরচ দিয়ে দিচ্ছি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সার্ভেয়ার সাব্বির তার আত্মীয় হেলালকে দিয়ে মাছগুলো ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেন।

প্রায় ৪০ থেকে পঞ্চাশ কেজি রুই মাছ ধরে নিয়ে গেছেন সার্ভেয়ার সাব্বির। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুল বাশার এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউএনও কোনো অনুমতি দেননি।

ইউএনও সানিয়া বিনতে আফজল জানান, উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে বিনা অনুমতিতে মাছ ধরার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।